চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কসবা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে শোভা যাত্রা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহামমদ শাহরিয়ার মুক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা পৌর মেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার অবসরপ্রাপ্ত শামসুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৯২ কেজি গাঁজাসহ একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করেঝে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকেরা।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের রাস্তার উপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গাঁজাবহনকারি একটি রেজিষ্ট্রেশনবিহীন পিকআপ জব্দ করা হয়। অভিযান টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুর থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে এই বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালিয়ে ৭টি বস্তায় ভরে পানিতে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিদেশী বিয়ার উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে ৬জন আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোঃ সবুজ মিয়া (২৬), মোঃ রাকিব (২৬), কামাল মিয়া (৪০), রিপন (২৬). বাহারম (২৭) ও ফারুক (৩২) নামে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুইয়াপানিয়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পানির নিচে থাকা সাতটি বস্তায় ভর্তি ১২০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়িরা কৌশলগত কারণে এসব মদ পানির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সাব্বির আহমেদ (২৪) নামে এক যুবককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সাব্বির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারূপ পশ্চিমপাড়া গ্রামের হানিফ ভুঁইয়ার ছেলে।
আজ ৫ এপ্রিল শনিবার সকালে ওই যুবককে হত্যার অভিযোগ নিয়ে কসবা থানায় আসেন নিহতের পরিবারের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, দুবাইয়ে প্রবাস জীবন কাটিয়ে সাব্বির আহমেদ ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে।
নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সে পাশের ঘরে শুয়ে পড়ে। তবে রাতে অজ্ঞাত কয়েকজন এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে খায়রুল নামের এক যুবক এসে পরিবারকে জানায় সাব্বির গুরুতর অসুস্থ। পরে পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় সে জানায় তাকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে গিয়েছিল এরপরই সে অবচেতন হয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার লোকজনের দাবি সাব্বিরকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি টিম। এ ঘটনায় খাইরুল নামে এক যুবককে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে জানিয়েছে রাতে সাব্বির কসবা-নয়নপুর সড়কের পানিয়ারূপ এলাকাতে মাদকের ট্রাক আটকানোর জন্য অবস্থান করছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকটি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘাতক ট্রাকটিকে সনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামে নিখোঁজের দুইদিন পর পুকুর থেকে মো. তানজিম মিয়া (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তানজিম মিয়া ওই গ্রামের প্রবাসী মো. আবু তাহেরের ছেলে। তার মাতা ছলিমা আক্তার। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল মেঝো এবং স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে তানজিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। বাড়ির আশপাশ ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু কোনো খোঁজ মেলেনি। পরে নিখোঁজের ঘটনায় তানজিমের চাচাতো ভাই রমজান মিয়া ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
দুপুরে গ্রামের কয়েকজন লোক বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। মুহূর্তেই পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের বলেন, শিশুটির নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। গতকাল পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়। রাতের আঁধারে এক শিক্ষকের ওপর দুবৃর্ত্তদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার হাজীপুর শহীদ স্মরণিকা উচ্চ বিদ্যাপিঠের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয় মাঠে তাদের শিক্ষকের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম রাজা, শিক্ষিকা প্রনতী রানী দাস, সাবেক শিক্ষার্থী লোকমান চৌধুরী, মনির হোসেনসহ আরও অনেককেই। এসময় বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম সরকার (রফিক স্যার)- এর ওপর পরিকল্পিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আল্টিমেটাম দেন। নতুবা আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। বর্তমানে আহত শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন। তিনি ওই স্কুলের সহকারী একজন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অত্যন্ত সাদাসিধা সহজ সরল শিক্ষক রফিক স্যার। রাতের আঁধারে আমার বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার দ্রুত বিচার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় আহত শিক্ষক ও পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।