অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে আগামী ২ মার্চ শনিবার রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হবে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে কনসোর্টিয়াম রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার জন্য আগামী ২ মার্চ সকাল ৭টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা এই ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ থাকবে। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন (সি-এমই-ডব্লিউই-৫) ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কে ফকিরহাটের শটের বটতলা এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সুমন (৩২) নামে এক ট্রাক ড্রাইভার নিহত হয়েছেন।
আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনার পর প্রায় আধাঘণ্টা মহাসড়কে যান চলচলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে বাগেরহাট ও ফকিরহাট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও ট্রাক দুটি সরিয়ে নিলে মহসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহত ট্রাক ড্রাইভার সুমন কুমিল্লার মোকলেসুর রহমনের ছেলে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরির্দশক এস এম আশরাফুল আলম জানান, বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কে ফকিরহাটের শটের বটতলা নামক স্থানে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা মোংলাগামী ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে মোংলাগামী ট্রাকটির চালক সুমন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। খবর পেয়ে বাগেরহাট ও ফকিরহাট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাক দুটি সরিয়ে নিলে প্রায় আধাঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ট্রাক চালকের লাশ উদ্ধার করে থানায় পাঠানো হয়। পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় দুর্ঘটনার শিকার ট্রাক দুটি।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল কোনো পরামর্শ দেয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরের পর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাইবার আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি ওনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগেণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে। এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন উপমহাদেশে নেই, এমনকি এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, তাদের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তাতে কী পরিবর্তন রয়েছে সে বিষয়ে। আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি। নির্বাচন নিয়ে তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিসিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিসিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। তারা মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি তা বলেছি।
আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এই ৩টি জিনিস খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপ হবে কিনা জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি-না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দিনমজুর একটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।
ফলে ওই পরিবারের কোনো সদস্য মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছেন না, তাদের সন্তানরাও সকালে মক্তবে আরবি পড়তে যেতে পারছে না। এমনকি প্রতিবেশীসহ স্থানীয়রা তাদের সঙ্গে কথাও বলছেন না।
কেউ তাদের সঙ্গে কথা বললেই ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান করা হয়েছে। গত ২২ দিন ধরে অসহায় এ পরিবারটি অমানবিক জীবনযাপন করছে। সমাজের কলহ নিরসনে ওই পরিবারকে এভাবেই পরিবারটিকে এক ঘরে করে রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।
পরিবারটির একমাত্র কর্তা অটোরিকশাচালক মইজ উদ্দিন বলেন, আমাদের স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে ইস্যু করে কয়েকজন মানুষ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এই অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। আমার বাচ্চাদের মসজিদে যাওয়া নিষেধ করেছে। আমার রিকশায় কেউ ওঠে না। এই সমাজের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বললে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার নিয়ম করেছে। জরিমানার ভয়ে কেউ আমাদের সাথে কথা বলে না। আমার সন্তানদের মক্তবে পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে। আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউ এই সমাজের কারো সাথে কথা বললে আমাদেরকেও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী মইজ উদ্দিন বলেন, আমার অভাব-অনটনের সংসার। প্রায় সময়ই আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়ে থাকে। পারিবারিক সমস্যা প্রায় প্রতিটি ঘরে। এর চেয়ে জঘন্য নানান ঘটনা সমাজে ঘটে। তাই বলে কাউকে এক ঘরে করে রাখার আইন আছে শুনিনি। আমরা গরিব ও অসহায় বলে এই জুলুম চালানো হচ্ছে। আমি খেটে খাওয়া মানুষ। একটি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই।
সমাজের কারা আপনার ওপর এই জুলুমের নিয়ম করছে জানতে চাইলে মইজ উদ্দিন বলেন, তবে এই সমাজ যারা চালায়, যারা বিত্তশালী ক্ষমতাবান তারা সবাই। না হয় আমাদের অপরাধ থাকলে তারা বিচার করবে কিন্তু এক ঘরে করার এই জুলুম তারা করতে পারতো না।
তিনি জানান, গত ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে এ নিয়ম করে তার পরিবারকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। যে কারণে ঈদের সময় সমাজের কেউ তাদের কোনো মাংস দেয়নি।
মইজ উদ্দিন বলেন, গরিব বলে সমাজ থেকে যে একটা ভাগ পাই তা থেকেও তারা আমাদের বঞ্চিত করেছে। কলিজা ফেঁটে যায় এই ঈদে আমি আমার সন্তানদের ১ টুকরা মাংস কিনে খাওয়াতে পারিনি। আমার বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। শুনেছি তাদের ডেকে এনে স্বাক্ষর রেখেছে। সমাজের সবাই নাকি আমাদের এক ঘরে করার বিষয়ে স্বাক্ষর দিয়েছে। মিজানুর রহমান মিজান নামের একজন লোকের প্ররোচনায় আমার পরিবারকে তারা এক ঘরে রেখেছে। আমাকে তারা বলেছে সমাজের সবার স্বাক্ষর নিয়েছে। আমি এই বিষয়ে কোন কথা বললে তারা নাকি আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে। এই ভয়ে এতদিন আমি কাউকে কিছু বলিনি। আমি এই জুলুমের বিচার চাই। আমি এই অত্যাচারের শাস্তি চাই। কিন্তু কে করবে তাদের বিচার? কে দেবে তাদের শাস্তি? তারাই তো এই সমাজের জমিদার।
পরিবারটিকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে স্বীকার করেন ছেংগারচর পৌরসভার কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন। তাদের এক ঘরে করে রাখা হয়েছে। আমি বলেছি তাদের অন্যায় থাকলে বিচার করা হবে। সমাজ থেকে বিতাড়িত করার কোনো আইন নেই। আমি তাদের ১ মাসের সময় দিয়ে এসেছি। কিন্তু ওই সমাজের লোকজন আমার কথা অমান্য করে এ কাজ করেছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, এটা অমানবিক ঘটনা। তারা অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিবারটি এখন কী করবে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একি মিত্র চাকমা বলেন, কোনো ব্যক্তি বা পরিবারকে একঘরে করে রাখা আইন বহির্ভূত কাজ। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিয়াল্লিশহর এলাকায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে রনি ঢালী (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৮ মার্চ শনিবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশহর মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি জেলা শহরের ভাদুঘর এলাকার মানিক ঢালীর ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাজু (১৭) পলাতক রয়েছে।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রনি এবং রাজু দুইজনের বাড়ি ভাদুঘরে। রনির সঙ্গে কোনো একটি বিষয় নিয়ে রাজুর কথা কাটাকাটি হয়। তবে কী নিয়ে কথা কাটাকাটি- তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। এর জেরে শনিবার রাতে বিয়াল্লিশহর এলাকায় রনিকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে রাজু। পরে স্থানীয়রা রনিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই রাজু পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
আজ ১৪ আগস্ট সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসক ও গোয়েন্দা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করলে ১৩ আগস্ট রবিবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২০১৯ সাল থেকে কাশিমপুর কারাগারে আছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এর আগে ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী ১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করেন তার বাবার প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় একটি মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও পরে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় স্থানান্তরিত হন। বাংলা, উর্দু, আরবি ও পাঞ্জাবি ভাষায় দক্ষ এবং ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায়ও তার দক্ষতা রয়েছে।
১৯৮০’র দশকের প্রথমদিকে সাঈদী দেশব্যাপী ইসলামী ওয়াজ-মাহফিল ও তাফসির করা শুরু করেন এবং তার সুন্দর বক্তব্যদানের জন্য দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ সময়ই তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নেতা নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনী জোট গঠন করে এবং তিনি এই নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।