চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাল ভরাট করার অভিযোগে মোবারক নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, খাল ভরাট করার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ওই গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে মোবারককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে খালটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। তা না হলে দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনার পর সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রওনকূল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াকে সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিএনপি নেতা কবির আহমেদ ভূইয়া ও তার ভাই লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমানের পিএস আব্দুর রহমান সানি অযাচিতভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে চাপ দিয়ে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আহ্বায়ক শাহীনুরের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, শাহীন একজন মাদককারবারি। তাকে গত শুক্রবার শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় পেয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মারধর করে।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, পদ চলে যাওয়ার পর থেকে তারা এসব কর্মকাণ্ড করছে। এসব ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা সুস্থ ধারার রাজনীতি হতে পারে না। তবে গতকাল আমাদের ওপর হামলার ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাদেরকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।
জানা যায়, গত ৮ জুন মধ্যরাতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এতে শাহিনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। এরপরই ফুঁসে ওঠে সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় পদবঞ্চিতরা। এছাড়াও নবগঠিত ও সাবেক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষও হয়।
এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও বিশাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় ঘুরতে গেলে সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়ার নেতৃত্বে হামলা হয়।
এসময় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানকে কিল-ঘুষি দেওয়াসহ লাঠির আঘাত করা হয়। আত্মরক্ষার্থে শাহিনুর তিতাস নদীতে নেমে যান। তবে তার সঙ্গে থাকা বিশাল গুরুতর আহত হয়।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
কলেজের সামনে সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল। কলেজ শাখার সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ খান শ্রাবনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন – জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি আরাফাত হাসান, জেলা ছাত্রলীগ নেতা উৎস, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা, রাব্বি রায়হান, ইয়াদুল হাসান, কাজী মেহেদী, জুয়েল রানা, তাজিম , শাহিদুল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানান এবং এই ইসুতে কেন্দ্রীয় যে কোন নির্দেশনায় মাঠে থাকার ঘোষণা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামের মোঃ সোহেল (২৬), পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া (৫৫), একই গ্রামের আমীর হোসেন ওরফে মীর হোসেন ওরফে নাইক্কা (৩৬) ও পৌর এলাকার কাজীপাড়ার মোঃ উজ্জ্বল মিয়া (৪০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সোহেল ১০ বছরের সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের সাজাপ্রাপ্ত, দুলাল মিয়া ১ বছর ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত, আমীর হোসেন ওরফে মীর হোসেন ওরফে নাইক্কা ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ও উজ্জ্বল মিয়া ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চান্দিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার পৃথক উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান সমূহে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে ভিডিও কলে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান।
প্রধান অতিথি উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান সমূহে ঘাটিয়ারা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা খানম, সহকারী শিক্ষক তাসলিমা বেগম, সহকারী শিক্ষাক সুলতানা পারভীন, সহকারী শিক্ষক সাদিয়া আফরিন, সহকারী শিক্ষক ফাহমিদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক লক্ষী রানী মল্লিক, সহকারী শিক্ষক নাদিরা বেগম এবং চান্দিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা বেগম, সহকারি শিক্ষক খাদিজা বেগম, সহকারি শিক্ষক শারমিন বেগম, সহকারি শিক্ষক তোহেরা বেগম, সহকারি শিক্ষক রোকসানা বেগম, সহকারি শিক্ষক মোঃ আতিকুল ইসলাম, সমাজ সেবক আক্তারুজ্জামান, স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, সমাজ সেবক জামাল উদ্দিন, সমাজ সেবক আব্দুর রহমান, সমাজ সেবক মুস্তাকিন ও সার্ন ফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্ডেন প্রধান শিক্ষক হীরা মিয়া সহ প্রায় ছয় শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।