চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারধর মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার বেলা ১১ টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাট শ্যামল চন্দ্র বসাকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা হয়।
এসময় আশুগঞ্জ বাজারের চক বাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজার, সবজি বাজার পরিদর্শন করা হয়।
বাজার মনিটরিংয়ে দায়িত্বে থাকা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যাস্ট শ্যামল চন্দ্র বসাক প্রত্যেক দোকানীকে পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা পর্দশন ও গুণগতমান বজায় রেখে পণ্য বিক্রয় করার নির্ধেশ দেন। পুরো রমজান মাস জুড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানান।
এসময় মেসার্স মকবুল স্টোরে মূল্য তালিকা না থাকায় দোকানী কে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বাজার মনিটরিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, এস আই জসীম উদ্দিনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা এলএসডি গোডাউনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। স্থানীয় এস আলম অটো রাইস মিলের নিকট থেকে ৪০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রউফ, ওসি এলএসডি শিমুল দে ও উপজেলা অটোমেজর ও হাসকিং মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ এবং কৃষক ও মিল মালিকদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ কৃষক ও মিলারদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। বিগত ১৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে আমন ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট কৃষক ও মিল মালিকদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন শেষ না হওয়ায় যথাসময়ে উদ্বোধন সম্ভব হয়নি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রউফ জানান, এবছর আশুগঞ্জে ২২ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৪ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন আতপ চাল ও ২৫৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ২৪৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩ হাজার ৬১৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট মিলারদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৪৭ টাকা, আতপ চাল ৪৬ টাকা এবং ধান ৩৩ টাকায় সংগ্রহ করা হবে। তবে আশুগঞ্জ এলএসডি গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) শিমুল দে জানান, গোদামে সংকুলানের ব্যবস্থা না থাকায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে আশুগঞ্জ গোদামে ৯ হাজার ২০৩ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ২ হাজার ৪৩২ মেট্রিক আতপ চাল সংগ্রহের বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। বাকী চাল জেলার অন্যান্য গোদামের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। চালকল মালিকদের কাছ থেকে সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ইসমাইল মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে টয়লেটের পরিত্যক্ত ট্যাংকে ফেলে রাখলেন তার পরকীয়া প্রেমিকা। আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের এক পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংক থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পরকীয়া প্রেমিকা হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের শান্তা আক্তার (৩৫) ও তার স্বামী সুমন মিয়াকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। নিহত ইসমাইল মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার লামা শরীফপুর গ্রামের মৃত উজির আলীর ছেলে। তিনি ৬ সন্তানের জনক।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ইসমাইল মিয়া নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এরই মধ্যে বিকেল আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজন হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকের ভেতরে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক পরকীয়া প্রেমিকা শান্তা বেগম জানান, ইসমাইল মিয়ার সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। ইসমাইল মিয়া বিভিন্ন ছলে প্রায়ই তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় তার রাজমিস্ত্রি স্বামী কাজের সুবাধে বাড়িতে না থাকায় ইসমাইল তার ঘরে প্রবেশ করে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তিনি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে যাওয়ায় শান্তার খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই শান্তা ইসমাইলকে ঘর থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। এ সময় ইসমাইল শান্তার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ১৪ বছরের মেয়ে কেয়াকে ঘুমের মধ্যে ঝাপটে ধরে। এতে শান্তা ক্ষিপ্ত হয়ে রাজমিস্ত্রির যন্ত্র ‘কোটাবাড়ি’ দিয়ে ইসমাইলের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শান্ত তার পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর মেয়ের সহযোগিতায় লাশটি পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকে ফেলে দিয়ে আসেন। রাতে শান্তার স্বামী ঘরে ফেরেন। তবে মা-মেয়ে স্বাভাবিক থাকেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক সুমন মিয়া এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।
তবে নিহতের ছেলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সুমন ও তার স্ত্রীসহ অজ্ঞাত খুনিরা আর্থিক কোনো কারণে তার বাবাকে খুন করেছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আশুগঞ্জ-সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার ও আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: বিল্লাল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। খুনের সাথে সরাসরি জড়িত সন্দেহে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলগেটের মূল্য, উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের নাম লিখতে হবে। এমনকি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকতে হবে ওজনের তথ্যও। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ডায়ার মিল পরিদর্শন করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) আলমগীর কবির। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিযন্ত্রক আব্দুর রউফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ তকদির হোসেন, সরাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নূর আলী, কসবা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব, আশুগঞ্জ খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) মোহাম্মদ সোলাইমান মিয়া ও রজনীগন্ধা এ্যাগ্রোফুডের স্বত্বাধিকারী হাসান ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) আলমগীর কবির বলেন, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্য ও পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন।
এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে খাদ্য মন্ত্রনালয় এ নির্দেশনা জারি করেছে। যা গত পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য, ওজন এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে কাভার্ডভ্যান থেকে ১০৪ কেজি গাঁজাসহ জিয়াউর রহমান (৩৮) নামের এক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিয়াউর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার দেলি উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক উদ্ধারের অভিযানের সময় একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানার এসআই মো. কবির হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। গ্রেফতার কারবারিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।