কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই কৃতি সন্তান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 2 March 2024, 221 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি দুজন ডেপুটি গভর্ণর নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মো. হাবিবুর রহমান ও মো. খুরশীদ আলম- দুজনেরই বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তাদের ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরইমধ্যে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেছেন তারা।

২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের যোগদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান খুরশীদ আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক-১ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের স্নাতকোত্তর এবং পরে এমবিএ করেন। ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন তিনি। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, কৃষিঋণ বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন, এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট, সচিব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন খুরশীদ আলম। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে-মেয়ের বাবা তিনি।

এছাড়া ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মো. হাবিবুর রহমানও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। জেলার বিজয়নগর উপজেলায় অবস্থিত খিরাতলায় তার গ্রামের বাড়ি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ড. হাবিবুর রহমান।

হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ, মনিটারি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইউনিটে (বর্তমানে মনিটারি পলিসি বিভাগ) কাজ করেছেন। পরে তিনি বিশ্বব্যাংকের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্টের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি অ্যানালাইসিস ইউনিটে সিনিয়র রিসার্চ ইকোনমিস্ট হিসেবে নিয়োজিত হন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে উপমহাব্যবস্থাপক এবং সবশেষ গভর্ণর সচিবালয়ের পলিসি সাপোর্ট উইংয়ে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।

ড. হাবিবুর রহমানের সহধর্মিণী ড. সায়েরা ইউনুস বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত জীবনে এক মেয়ে এবং দুই ছেলের জনক।

Leave a Reply

আন্দোলনে আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান…

অনলাইন ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর Read more

বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সহনশীলতায় বিশ্বাস করে, শান্তিপ্রিয় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটদের বিশেষ সাধারণ সভা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটস সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও Read more

আখাউড়ায় মাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাকে দেখামাত্র অসুস্থ Read more

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইকুয়েডরকে হারাল ব্রাজিল

অনলাইন ডেস্ক : ইকুয়েডরের বিপক্ষে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে জয়ের দেখা Read more

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের…

চলারপথে রিপোর্ট : বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের Read more

মালয়েশিয়ায় একদিনে অভিযানে ২২২ বাংলাদেশি আটক

অনলাইন ডেস্ক : মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ২২২ জন Read more

নবীনগরে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী…

চলারপথে রিপোর্ট : উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি ‘সুরসম্রাট’ খ্যাত Read more

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ৬ সেপ্টেম্বর ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর Read more

জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে উদীচীর…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে Read more

সালমান শাহকে হারানোর আজ ২৮ বছর

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বাঁক ঘোরানো তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা Read more

দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত প্রায়…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের Read more

জেলা বাসদের শোক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 1 February 2023, 483 Views,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিপিবি’র সভাপতি কমরেড শাহারিয়ার মোঃ ফিরোজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জেলা বাসদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপন,সাধারন সম্পাদক সোহেল সরকার,সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,সাংগঠনিক সম্পাদক আমিলুল ইসলাম আহাদ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দেরা বলেন শাহারিয়ার মোঃ ফিরোজের মৃত্যুতে যে অপুনীয় হ্মতি হয়েছে তা পুরন হবার নয়।পরিশেষে মরহুমের রুহের আত্মার প্রতি জনান এবং শোকাহত পরিবারে প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।মরহুমের জানাজা শেষে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাসদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপনসহ অনান্য নেতৃবৃন্দেরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুজব প্রতিরোধে মানববন্ধন, গোলটেবিল বৈঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 27 March 2024, 152 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুজব প্রতিরোধে আজ ২৭ মার্চ বুধবার মানববন্ধন ও গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) নামে একটি এনজিওর উদ্যোগে এই কর্মসূচী পালিত হয়।

বুধবার বেলা ১১টায় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অংশগ্রহনকারীদের হাতে ‘গুজবে হয় ক্ষতি, নষ্ট করে সম্প্রীতি’, ‘শেয়ার করার আগে তথ্য যাচাই করুন’- ইত্যাদি লেখা পোস্টার দেখা যায়। অংশগ্রহনকারীরা গুজব প্রতিরোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মাওলানা ক্বারী আনিসুর রহমান, খতিব তৌফিক আহমেদ, প্রদীপ বল্লভ, ছবি ভট্টাচার্য। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌসি, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, ফারহানা মিলি প্রমুখ।

এসময় জানানো হয় গুজব প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়তে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কাজ শুরু করেছে সাকমিড। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সেতু থেকে বাস, ট্রাক পড়ে ২৭ জন নিহত হওয়ার গুজব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি সংসদীয় আসনে ২৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 9 January 2024, 282 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রয়াত দুই এমপির পুত্রসহ ২৫জন জামানত হারিয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সাবেক দুই এমপি পুত্র হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯১০। এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

এই আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ৪২৭ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম ওরফে গরীবুল্লাহ সেলিম-(লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ২০৪ ভোট, ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন (হাতুড়ি প্রতীক) ১৪০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এই আসনে নির্বাচন করেন জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭জন প্রার্থী। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০।

এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এই আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভ‚ইয়া মাত্র ৩ হাজার ৪০৮ ভোট, এই আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার ছেলে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ৪ হাজার ৩১৮ ভোট, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক) ৯৯৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক), ৩৭৯ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ( ফুলের মালা প্রতীক) ৫২২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩-(সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ২৯হাজার ৭৮৮। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী শাহ জামাল রানা-(নোঙ্গর প্রতীক) ৯৩১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা প্রতীক) সোহেল মোল্লা ৬৮৮ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ প্রতীক), মুজিবুর রহমান হামিদী ৪৭৩ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম (মোমবাতি প্রতীক), ৩৭৬ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ (আম প্রতীক), সৈয়দ মাহমুদুল হক ৩০৯ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান ওরফে ওমর (মশাল প্রতীক), ২২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি ২লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।

এই আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান (আম প্রতীক) ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট ও ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস (ফুলের মালা প্রতীক) ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১লাখ ৭৬হাজার ৮৭৩ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান ১লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন ( লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান (মিনার প্রতীক) মাত্র ২ হাজার ৭৫৪ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ (ফুলের মালা প্রতীক) মাত্র ৭৭৬ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার (একতারা) ৭৬২ ভোট, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ (ঈগল প্রতীক) ৪৭১ ভোট ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ প্রতীক) মাত্র ৪৩৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ০৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৯৭০জন। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন (লাঙ্গল প্রতীক) ২ হাজার ৮১৭ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া (একতারা প্রতীক) ১ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৬২ পরিবার পাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 20 March 2023, 667 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-প্রকল্পের আওতায় ঘর। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫ টি পরিবার, আখাউড়া উপজেলায় ৮ টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১০০ টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৬ টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৪৯ টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবার।

আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এই তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চতুর্থ ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন ঘর।

আগামী ২২ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬৬২টি পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জিত হওয়ায় ওইদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, ইতিমধ্যেই ঘরগুলোর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। ২ শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় তৈরী করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওইঘর গুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সুবিধাভোগী ভূমি ও গৃহহীনদের নামে ভূমির দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে খোলা মাঠ রয়েছে। নির্মানকৃত প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম আরো বলেন, বাংলাদেশে ভূমিহীনদের পূর্নবাসনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিপ্লব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবেন না। একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার গোলাম মুস্তফা মুন্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, জেলা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিকের সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।