অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যাতে তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হয়। আমরা চাই, আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে।’
আজ ২ মার্চ শনিবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেজিমেন্ট, ‘বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট’ তথা ‘বীর’ এর তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমরা হাতে নিয়েছি। কাজেই আমরা চাই, আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে।’
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীও সেভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কাজেই এভাবেই আমরা সবাই এক হয়ে আমাদের দেশকে গড়ে তুলে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিচ্ছি। তাছাড়া দারিদ্র বিমোচন করে দেশকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ায় আজকের বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল বলে পরিচিতি পেয়েছে। আজকের বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটি আধুনিক, পেশাদার ও চৌকস সশস্ত্রবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। তার নির্দেশেই ১৯৭২ সালে কুমিল্লায় গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি। এ ছাড়া তিনি কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই আমরা ‘প্রতিরক্ষা নীতি ২০১৮’ ও ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন করা হচ্ছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্জয়, দুরন্ত, নির্ভীক–এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সঙ্গে রয়েছে আমার গভীর বন্ধন। কারণ, জাতির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল বাংলাদেশের নামে একটি রেজিমেন্ট হবে। ২০০১ সালেই সেই রেজিমেন্ট আমরা প্রতিষ্ঠা করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই রেজিমেন্টকে ‘রেজিমেন্টাল কালার’ প্রদান করি এবং ২০১১ সালে আমিই এই রেজিমেন্টকে মর্যাদাপূর্ণ ‘জাতীয় পতাকা’ প্রদান করি। বর্তমানে এই রেজিমেন্টে দুটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নসহ মোট ৪৬টি ইউনিট রয়েছে।” ‘এই ইউনিটের সদস্যরা দেশ ও দেশের বাইরে দক্ষতা, সুনাম ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে’, উল্লেখ করে সরকারপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, ‘তারা এই যে কাজের মধ্যদিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন, তা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অবদান রেখে যাচ্ছেন এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেখানেই যাচ্ছে, সেখানেই তারা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করছে। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সংসদে ভূমিকা কী হবে, এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় পদ-পদবি হারাতে চান না। এ কারণে তাঁরা সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি নির্দেশনা দিলে বেশির ভাগ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন।
অন্যথায় স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা রাখবেন।
জাতীয় সংসদের চিঠির অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু স্বতন্ত্রদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়ায় ইসির পাঠানো চিঠির জবাব দিতে পারেনি সংসদ সচিবালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে বিজয়ী হলেও দ্বাদশ সংসদেও বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকছে, এটা অনেকটা নিশ্চিত।
সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তেমনটিই জানিয়েছেন। ফলে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা থাকছেন না। সে ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রদের ভূমিকা কী হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে বেশির ভাগ সংসদ সদস্য সরকারি দলে যোগ দিতে আগ্রহী।
কারণ এবারের নির্বাচনে বিজয়ী ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের ৫৯ জন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। দুজন বাদে সবার দলীয় পদ-পদবি রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা, সংসদে বিরোধী দলের সঙ্গে থাকলে স্থানীয় রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে পারে। সরকারি দলের সংসদ সদস্যের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
আবার আগামী দিনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সমস্যা হতে পারে।
জানা গেছে, একই কারণে দলের পদ-পদবি না থাকলেও সরকারের সঙ্গে থাকতে চান গাইবান্ধা-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার। জাপার সঙ্গে সমঝোতার কারণে ওই আসনের নৌকার প্রার্থী আফরোজা বারী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় তাঁর মেয়ে নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। আফরোজা বারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর পিরোজপুর-৩ আসনে জয়ী শামীম শাহনেওয়াজেরও আওয়ামী লীগে পদ নেই। তাঁর ভাই উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জাপাকে আসন ছাড়ায় নৌকা হারান। শামীম শাহনেওয়াজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন নীলফামারী-৪ আসনে জেলা জাপার সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া সিদ্দিকুল আলম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে জয়ী হয়েছেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান। এ ছাড়া সিলেট-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন ফুলতলীর হুজুরের ছেলে ও অনিবন্ধিত দল আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মোহাম্মদ হুছামউদ্দিন চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করলেও সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র এমপিদের স্বতন্ত্র থাকাই ভালো।
বরগুনা-১ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের। কিন্তু দল থেকে এখনো কোনো সিগন্যাল পাইনি।
যেকোনোভাবেই সরকার ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে চান হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
রাজশাহী-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। শেখ হাসিনা আমার নেত্রী। তাই দলের সিদ্ধান্তের ওপর আমার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে।’
সরকারে থাকতে আগ্রহী বরিশাল-৪ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে সংসদে কাজ করব।
কুষ্টিয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফিন বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপিদের নিয়ে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে আমরা আওয়ামী লীগের বাইরে নই।’ সরকারে থাকতে চান ময়মনসিংহ-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান সুমন।
রংপুর-৫ আসনে জয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার বলেন, দীর্ঘ ৩৭ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে থাকতে চাই।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী ১৬ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য দশম সংসদে আওয়ামী লীগ নেতা হাজি সেলিমের নেতৃত্বে জোট করেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের পদে থাকলেও দলটির সংসদীয় দলে যোগ দিতে পারেননি। যদিও পরবর্তী নির্বাচনী দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবারও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের জোট করে বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে জোটবদ্ধ হয়ে তাঁরা সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন।
সংরক্ষিত নারী নির্বাচনের বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের চিঠির অপেক্ষায় আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির বৈঠকে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে। সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এই নির্বাচনের ভোটার। যদিও সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, কোন দল কতটি আসন পাবে, সে বিষয়ে জানানোর জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠির জবাব এলে সংসদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হবে। এটার সময় আছে, আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। আশা করছি, এই সপ্তাহে অথবা আগামী সপ্তাহে সংসদ সচিবালয়ের চিঠির জবাব পাব।
স্বতন্ত্র এমপিদের অবস্থান জানতে চেয়ে ইসির চিঠি
স্বতন্ত্র এমপিরা রাজনৈতিক দলে বা জোটে যোগদান করতে চাইলে তা আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। এ বিষয়ে মতামত জানানোর জন্য সংসদ সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার ইসি সচিব জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দল ও জোট গঠনের বিষয়টি ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো নির্দলীয় সংসদ সদস্য আপনার দলে বা জোটে যোগদান করেছেন কি না, অথবা সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে অন্য কোনো দলের সঙ্গে আপনার দলে জোট গঠিত হয়েছে কি না; তা ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমি ১৯৭৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একটা প্রেক্ষাপটের কারণে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছি। এখন সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে যোগদান করব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আলু, ডিম ও পেঁয়াজ বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের হেলিপোর্ট বাজার, হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনাসহ আলু বিক্রির কার্যক্রম হিসাবে হিমাগার তদারকি করা হয়। ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকা, মূল্য ও ক্রয় তালিকা হালনাগাদ না থাকা এবং দাম বেশী নেবার কারণে মেসার্স দিশারী ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা, মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ঘোষ হোটেলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষন ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ টানানোর বিষয়ে আলু পেয়াঁজ ও ডিম ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে জেলা পুলিশের টিম, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।
কাজী নজরুল ইসলাম চিরপ্রেমের কবি। তিনি যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী, কিন্তু তার প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাই মানুষটি অনায়াসেই বলতে পারেন ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন কয়জন আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সর্ম্পককে অস্বীকার করে পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন?
এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও নজরুল’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ দেন। ওই শিক্ষক হলো শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসন। এসময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম মঙ্গলবার সকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন।
এক পর্যায়ে শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেনকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ সঙ্গীত গাইতে না পারায় জেলা প্রশাসক রাগান্বিত হয়ে শরীর চর্চা শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
যতোদিন পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত বেতন স্থগিত থাকবে। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলেন জেলা প্রশাসক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ডিসি স্যার যে বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন বিষয়টি আমি জানি না। স্যার তো শোকজ করতেই পারেন।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডিসি স্যার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় ওই বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসন জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারায় তার বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে যেন অবৈধ অস্ত্র দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সতর্ক রয়েছে বিজিবির জোয়ানরা। এছাড়া মাদক ও চোরাচালান বন্ধে আগের থেকেও বেশি সক্রিয় আমাদের বাহিনীর সদস্যরা।’
আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিবিরবাজার সীমান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিবিরবাজার সীমান্ত পরিদর্শনে গেলে ভারতের বিএসএফ গোকুলনগর সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার রাজেশ সিং কানওয়ার তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বিএসএফের পক্ষে থেকে বিজিবি মহাপরিচালককে মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়।
এর আগে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান কুমিল্লা বিজিবির সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।