চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৫০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। আটক মো. সোহেল (৩২) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকার মো. শহীদ মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ব্রিজের পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মূল্য গ্রাম ইউনিয়নের বাউরখন্ড মঈনুল চেয়ারম্যানে এর বাড়ি সংলগ্নে ফসলি জমির মাঝখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের জমিগুলো।স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তার মালিকাধীন জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। যার চারদিকে অনেক কৃষকের জমি রয়েছে। অনেক বার নিষেধ করার পরও তিনি কারও কথা তোয়াক্কা করছেন না। ফলে আশপাশের ফসলি জমিগুলো ভেঙ্গে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধ ড্রেজার দ্বারা ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ২৪ মে শনিবার সরেজমিন মূল্য গ্রাম, বাউরখন্ড গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমির মাঝখানে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। এ মেশিনের মাধ্যমে খনন যন্ত্রের সাহায্যে তোলা হচ্ছে বালু। সে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে তিন ফসলি জমি। ফলে আশপাশের অন্যান্য জমিগুলোর আইল ভাঙ্গনসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করে পুকুর বানানো হয়েছে।
নাম গোপন রাখার স্বার্থে স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করেই দিনে রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে কোনো কৃষকই ফসল করতে পারবে না। এরফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিই লাভবান হবেন। কারণ, তিনি পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করবেন। কিন্তু আশপাশের কোনো কৃষক লাভবান হবেন না। ড্রেজার দিয়ে অতিরিক্ত মাটি কাটার ফলে জমি গভীর হয়। ফলে অন্য জমিগুলোর পাড় ভেঙ্গে যায়। এই চক্রটি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই কাজটি করছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষকদের ফসলি জমিগুলো যাতে রক্ষা করা হয়।এ বিষয়ে প্রভাবশালী জমির মালিকানাধীন বলেন, আমি এখানে পুকুর বানাবো, মাছ করবো সেজন্য বালু উত্তোলন করছি। আরো বলেন আমি কার অনুমতির প্রয়োজন মনে করি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবৈধ লিজার ব্যবসায়ী এরশাদ মিয়া ও ইয়াসিন জানান, আমরা এসিল্যান্ডসহ উপরের লেভেলের সবকিছুই ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন ও বিভিন্ন জায়গাতে বালু মাটি বিক্রি করে থাকি। এ বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ছমিউল ইসলাম বলেন, আমি দুদিনের জন্য ট্রেনিংয়ে চলে আসছি, আপনি কসবা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ফসলি জমির মাটি কাটার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের আলমপুর ও রাজনগর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের আলমপুর ও রাজনগর এলাকায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে করা হচ্ছে। খবর পেয়ে দুুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তৌহিদ আলম (৩৪) ও রিশাদ আলম চৌধুরী (২১)কে আটক করেন। এ সময় ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এর অধীনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার বলেন, ফসলি জমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনো ভাবেই জমির উর্বর মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হবেনা। ফসলি জমির মাটি কাটায় ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে জমির মালিক ও কৃষকেরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার ১০ দিন পর মহসিন মিয়া নামে এক অটোচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কুটি ইউপির শান্তিপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মহসিন মিয়া (৩৪) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ার গ্রামের আয়েত আলীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পার্শ্ববর্তী গ্রামের মন মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়াকে চট্টগ্রাম থেকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আয়েত আলী বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জানা যায়, মহসিন মিয়া একজন অটোচালক। তিনি কিছুদিন আগে একটি মোবাইল পাশের গ্রামের মন মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। মোবাইল বিক্রির পর তার ব্যবহৃত নম্বরগুলো সংরক্ষণের জন্য ফের মোবাইলটি ফেরত আনেন। মোবাইলটি ফেরত দেওয়া নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে মহসিন ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় রাসেল মিয়া তাকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন মহসিন মিয়া। পরেরদিন থেকে রাসেল মিয়াও এলাকা ছেড়ে চলে যান। মহসিন মিয়াকে পরিবারের লোকজন কোথাও খুঁজে না পেয়ে ১৮ ডিসেম্বর রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে কসবা থানায় জিডি করেন নিহতের বাবা আয়াত আলী। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় রাসেল মিয়াকে ২৫ ডিসেম্বর রাতে কসবা থানা পুলিশের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
রাসেল মিয়া পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে, মহসিনকে তিনি এবং রিপন মিয়া মিলে হত্যা করে শান্তিপুর গ্রামের ছোবহান মিয়ার পরিত্যাক্ত বাড়িতে ফেলে রেখেছেন। তার স্বীকারোক্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহসিনের অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় যাত্রী বেশে গাঁজা পাচারের সময় মো. জসিম (৪৭) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ১৫ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহাম্মেদ।
গ্রেফতার মো. জসিম কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কালতা (দিঘিরপাড়) গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে।
ওসি রাজু আহাম্মেদ বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই উপজেলার কুঠি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু লোক যাত্রী বেশে গাঁজা বহন করছে। পরে বাসস্ট্যান্ডের কাজি পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশি করে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ সরকার, সোহেল মিয়া ও নজু মিয়া নামে তিন জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনকে (৫১) শ্যুটার গানসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরের তাকে উপজেলা খাড়েরা ইউনিয়নের দারোগাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শরীফুল উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হকের ছেলে। গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানায় নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্র জানান, আগামী ০৬ এপ্রিল উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনসহ উপজেলা বিএনপির নেতা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফখর উদ্দিন আহাম্মদ খানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী-পাতাইসার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়। পরে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে দারোগাবাড়ী এলাকায় স্বপনের শরীর তল্লাশি করে একটি লোডেড শ্যুটার গান পাওয়া যায়। এ সময় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে এবং আগের একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ০৬ মে কসবায় উপজেলা বিএনপি কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা বিএনপি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় গ্রেফতার হওয়া শরীফুল হক স্বপনকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি।