চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টাউনখালে অবৈধ স্থাপনা ও ভরাট বন্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৪ মার্চ সোমবার বিকেলে শহরের কাজীপাড়া ও মৌলভীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশরাফ হোসেন।
এ সময় শহরের মৌলভীপাড়ায় সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের মাটি খালে ফেলে ভরাট করার সত্যতা পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আল হেরা লিমিটেড বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ আনোয়ার আহমেদ লিটনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি আগামী সাত দিনের মধ্যে খাল থেকে ভরাট করা মাটি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়াও কাজীপাড়া এলাকায় টাউন খালের মধ্যে টিনশেড ঘরের একটি অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জড়িত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সতর্ক করা হলে তারা স্বেচ্ছায় সেটি সরিয়ে নেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশরাফ হোসেন বলেন, টাউন খালে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও মাটি ভরাট করা হচ্ছে এমন দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ঘটনার সত্যতা থাকায় আল হেরা লিমিটেট বিল্ডার্সের চেয়ারম্যানকে পরিবেশ আইনে অর্থদণ্ড ও খালের ওপরে নির্মিত অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর মোহাম্মদ শাহীন, নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। সকাল ৯ টায় তিনি বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুমসহ কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় একটি রেষ্টেুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য সাবেক জেলা আমীর অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, জেলা নায়েবে আমীর কাজী ইয়াকুব আলী, জেলা সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অনিবার্য গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি। জামায়াতের উপর যারপরনাই নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি।
এ পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। আগামীকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আগমন উপলক্ষে দলের কর্মী, সমর্থক ও সহযোগিদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার প্রায় অর্ধশত সংবাদ-কর্মী অংশ নেয়।
এদিকে মঙ্গলবারের কর্ম সম্মেলনের সমর্থনে আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার সকালে জেলার সবকটি উপজেলায় আমীরে জামায়াতকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের নারী নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক উন্নয়নে আলাদা দলীয় তহবিল বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। নারী নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে যাতে দক্ষ নারী নেতৃবৃন্দ দলীয় মনোনয়ন লাভ করতে পারে এবং নির্বাচনে দলীয় প্রচারনায় দলীয় তহবিল এর জোগান নিশ্চিত করারও দাবি উত্থাপন করেন।
আজ ১১ মার্চ সোমবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই শিরোনামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির নারী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কে গুরুত্বপূর্ন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। রাজনীতির মাঠে একজন নারী নেতা অর্থনৈতিকভাবে কি কি চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয় তার বাস্তব চিত্র সকলের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। দেখা যায় দল হতে নারীদের কোন প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে না , আবার যারা দক্ষ ও যোগ্য স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয় না, এমনকি অস্বচ্ছল কিন্তু যোগ্যতা সম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ বর্তমান সময়ে নির্বাচন করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, দলের মূল কমিটিতেও তাদের স্থান দেয়া হয় না। ফলে সবক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে যাতে দলের যোগ্যনারী নেতৃত্ব যাতে ঝড়ে না পরে বা প্রতাপশালীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকটে না পারে , সেজন্য তাদের সুরক্ষা দেওয়া নিজ নিজ দলের দায়িত্ব। পাশাপাশি গনমাধ্যম ও সুশীল সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে এই সকল যোগ্য নারী নেতৃবৃন্দের পক্ষে কথা বলা এবং সমাজে ও দলের কাছে তার ইতিবাচক ইমেজকে প্রচার করা। এ লক্ষ্যে যদিও রাজনৈতিক দলের মধ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপকমিটি নিজ দলে অ্যাডভোকেসি করছে, পাশাপাশি এক দলের নারী নেতৃবৃন্দ অন্য দলের যোগ্যতাসম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ কে সহায়তা করছে পারে সে জন্য মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপ-কমিটি সক্রিয় রয়েছে।
ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল পরিচালিত স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা করেছে।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, এডভোকেট ইসমত আরা, আবু কাউছার খান, মো, মনির হোসেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান পাঠান, মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, নারীনেত্রী এডভোকেট জেসমিন, আনোয়ারা বেগম, হালিমা মোর্শেদ, মুক্তি খান, রুনাক সুলতানা পারভীন, খালেদা মুন্নী, আফরিন ফাতিহা জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করলে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে এই অজুহাত গত ৩ দিন ধরে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। এতে করে শহরের প্রধান বাজার আনন্দ বাজার, ফারুকী বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বৌ বাজার, কাউতলী বাজার, ভাদুঘর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে চলমান সংকট নিরসন ও মাংসের মূল্যের বিষয়টি পুনঃ বিবেচনা করতে গত মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হকের নেতৃত্বে মাংস ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে একটি স্মারকলিপি দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সরকার নির্ধারিত মূল্যেই তাদেরকে গরুর মাংস বিক্রি করার তাগিদ দেন।
তিনি দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রির যৌক্তিকতা তুলে ধরে জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত মূল্যেই মাংস বিক্রয় করার জন্য মাংস বিক্রেতাদের তাগিদ দেন, নাহলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
কিন্তু মাংস ব্যবসায়িরা তাদের দাবিতে অনঢ় থেকে আজ ২০ মার্চ বুধবারও শহরের বাজারগুলোতে মাংস বিক্রি বন্ধ রাখে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরই সরকার নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রিতে লোকসানের কথা জানিয়ে ওইদিন থেকে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেয় শহরের মাংস বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীদের দাবি খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ তাদের কেনা পড়ে ৭২০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রয় করতে হয় ৭৫০টাকা দরে। এ জন্য সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে সে দরে বিক্রি করলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
এদিকে গরুর মাংস কিনতে আসা মারুফ আহমেদ, কবির মিয়াসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, গত ৩ দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গরুর মাংসের দোকান বন্ধ থাকাতে ক্রেতাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে মাংস বিক্রির সুযোগ নেই।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের সাথে মাংস ব্যবসায়ীদের আলোচনা হয়েছে। সেখানেও জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত দামেই ব্যবসায়ীদের মাংস বিক্রীর নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন,খন্দকার মোশতাক জাতির পিতার সাথে বেঈমানি করে চিরকালের ঘৃণার পাত্র হয়ে আছেন আর জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে নেতার প্রতি অবিচল বিশ^াসের প্রমাণ চির স্মরণীয় হয়ে আছেন। জাতীয় চার নেতা দেশপ্রেমের উজ্জল উদাহরণ আর আনুগত্যের চরম প্রকাশ। আমরা চাই জেলহত্যার সাথে জড়িত পালিয়ে থাকা খুনীদের দ্রুত বিচার কার্যকর করা হউক।
আজ ৩ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মো.ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড.শাহানুর ইসলাম,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষকলীগ যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শেষে ফেরার পথে ছাত্রদের উপর হামলা করে টিকেট কালোবাজারিরা। এ ঘটনায় চার ছাত্র আহত হয়। আহতদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। ৭ মার্চ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ফ্ল্যাটফরমে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহজাহান নামে এক টিকেট কালোবাজারিকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। আটক শাহজাহানের বাড়ি পৌর এলাকার পুনিয়াউট মহল্লায়। একাধিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি ও দায়িত্বশীলদের টিকেট সিন্ডিকেট, ব্ল্যাকারসহ সিন্ডিকেটে জড়িত সকলদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বেলা ১১টার সময় “সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভুক্তভোগীরা” ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্ররা চলে যাওয়ার সময় তিতাস কমিউনিটার টিকেট কাউন্টারের সামনে টিকেট কালোবাজারি নাজমুল হক সানি ও শাহজাহানের নেতৃত্বে টিকেট কালোবাজারিরা ছাত্রদের উপর হামলা করে। হামলায় ৪ ছাত্র আহত হয়। আহতদের মধ্যে সৌরভ ও তারভীরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। নাজমুল হক সানি পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে কালোবাজারি শাহজাহানকে আটক করে। নাজমুল হক সানিসহ অন্যান্য টিকেট কালোবাজারিরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে টিকেট কালোবাজারি শাহজাহানকে আটক করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হবে।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টায় রেল স্টেশনের প্লাটফরর্মে “সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভুক্তভোগীরা” ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মূখ্য সংগঠক শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি মোঃ বোরহান সিয়াম, মোঃ মোহাইমিনুল আজমিন, মোঃ আবু বক্কর, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ মারুফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারি ও দায়িত্বশীলদের টিকেট সিন্ডিকেট, ব্ল্যাকারসহ সিন্ডিকেটে জড়িত সকলদের শাস্তির দাবিতে আমাদের এই মানববন্ধন। তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে প্রকাশ্যে টিকেট কালোবাজারি হলেও প্রশাসন নিরব। আমরা টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত (মাষ্টার) মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, কেউ যদি অনলাইনে কেটে বেশি দামে বিক্রি করে সেটাতো রোধ করা যাবেনা। টিকেট কালোবাজারির সাথে স্টেশনের কেউ জড়িত না বলে তিনি দাবি করেন।