আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
আশুগঞ্জ উপজেলায় সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে মা ও দুই সন্তানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠান।
আহতরা হলেন- মনির হোসেনের স্ত্রী আকলিমা (৩৫), তার দুই সন্তান মোহাম্মদ (৮) ও মারিয়া (৬)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মনির মিয়া ইটভাটা শ্রমিক। গ্রামের অন্য বাড়িঘর থেকে মনির মিয়ার বাড়িটি কিছুটা দূরে। সেখানে চারচালা টিনের ঘর ও মেঝে কাঁচা অবস্থায় আছে। ইট তৈরির মৌসুম থাকায় তিনি ভাটায় আছেন। বাড়িতে শুধু তার স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান থাকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, বুধবার রাতের কোনো এক সময় ঘরের সিঁদ কেটে ভেতরে ঢুকে মনিরের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে এসে দেখি তিনজন রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। তাদের দ্রুত স্থানীয়দের দিয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়।
আব্দুর রউফ আরো বলেন, তিনজনকে কুপিয়ে জখম করলেও ঘরের কোনো জিনিস নেয়নি। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পুলিশকে খবর দিয়েছি।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফরিদ মিয়া (৬০) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ৭ মার্চ শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ফরিদ মিয়া শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া সফরের বাড়ির মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আহত ফরিদ মিয়ার চাচা আব্দুল আলীমের নামে ৬৭ শতাংশ ভূমির জায়গা নামজারি খতিয়ান করলে ফরিদ মিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশুগঞ্জে উক্ত নামজারি খতিয়ান বাতিল করান। সেই বাতিল নামজারি খতিয়ান দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন ও আব্দুল আলীম যোগসাজশ করে চেয়ারম্যারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির নামে দলিল করেন। এই দলিল দিয়ে চেয়ারম্যান জোর করে জায়গা দখলে নিবে অথবা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিলে এই জায়গা থেকে সরে যাবে বলে জানায় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দিন চৌধুরী।
আহতের ছেলে রাকিব বলেন, শুক্রবার বিকেলে চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন ও তার ভাই ইমান উদ্দিন-আলাউদ্দিন পূর্বের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ফরিদ মিয়াকে মারধোর করে রক্তাক্ত করেন। পরে স্থানীয়রা ফরিদ মিয়াকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন জানান, মারধোরের ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মাইক্রোবাসে করে গাঁজা পাচারের সময় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ মোঃ জাবেদ মিয়া (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ জুলাই রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জাবেদ মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের তাজুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহামেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল ২৯ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৫০ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১৫০টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট, বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়। তবে নির্বাচনের দিন ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৩ হাজর ৮৮২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদার জন্য ব্রাহ্মণবড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলায় দিদার হোসেন নামে ১৪ বছরের এক কিশোরকে এক পা গাছে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করেছে একদল বখাটে যুবক। এসময় তারা কিশোরের পরিবারের নিকট মোবাইল ফোনে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকায় মুক্তি মেলে।
এ ঘটনায় আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভুক্তভোগী দিদার হোসেনের বাবা মো. খায়ের মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন উপজেলার চরচারতলা গ্রামের জামির (৪১), মাসুদ রানা (৩১), তোফাজ্জল (২৮), সাইফুল ইসলাম শাকিল (৩০), নাসির (৪০) ও আকাশ (৩০)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে তোফাজ্জলের কাছে দিদারের কাজের পাওনা ৮’শ টাকা চাইতে গেলে তোফাজ্জল তা দিতে অস্বীকার করে। এসময় দিদারের সাথে তোফাজ্জলের কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। দুপুরে দিদার বাড়ি থেকে বের হলে একই এলাকার জামির, তোফাজ্জল, মাসুদ, শাকিল, আকাশ ও নাসির দিদারকে মিডল্যান্ড পাওয়ার প্লান্টের পাশে নিউ এশিয়া প্রজেক্টের খালি জায়গায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি কড়ই গাছের ডালে দিদারকে ডান পায়ে দড়ি বেঁধে উল্টো ভাবে ঝুলিয়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে দিদারের মাকে মাসুদের মোবাইল ফোন দিয়ে ২ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। পরে দিদারের মা বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ঋণ করে ৩০ হাজার টাকা মাসুদকে দিলে গাছের ঝুলন্ত অবস্থা থেকে দিদারকে মাটিতে নামানো হয়। ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার এবং দুই বোনকে তুলে নেয়ার হুমকি দেয় তারা।
মামলার বাদী খায়ের মিয়া বলেন, তাদের ভয়ভীতির কারণে আমি প্রথমে কাউকে জানায়নি। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, দিদারের পরবিারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের অবিলম্বে ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গুদামজাত করা ইউরিয়া সারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কামাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুরের একটি গুদামে এ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহা তাসনিম মৌ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামাল হোসেনের মালিকানাধীন গুদামে ভেজাল ডিএপি সার তৈরি করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার দুপুরে তার মালিকানাধীন গুদামে জেলা প্রশাসনের তিনজন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান। অভিযানে গুদামে ইউরিয়া সারের মজুদ পাওয়া যায়। তবে ভেজাল সার তৈরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
মজুদ সারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের সহকারি উপ-পরিচালক সারমিন জুই, আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কামাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহা তাসনিম বলেন, কামাল হোসেন গুদামে ভেজাল ডিএপি সার তৈরি করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গুদামে সারের মজুদ পেলেও সেগুলো ভেজাল সার না। আমরা তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করেছি। সারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং ইউরিয়া সার গুদামজাতকরণের দায়ে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে সারের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সারের মান ঠিক আছে কি না পরীক্ষার জন্য গুদামে সংরক্ষিত সারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষাগারে পাঠানোর জন্য সারের নমুনা সংগ্রহ করেছি।