আশুগঞ্জ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ বাসায় ফিরেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ৫টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন।
২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সাংবাদিকরা তার বাসায় যান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে আমার কাছে নির্বাচন অগোছালো মনে হয়েছিল। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি বেশি চাপ নিতে পারছিলাম না। বেশি চাপ অনুভব করাতে আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি। চাপ নিয়ে আমি থাকতে পারব না। এ জন্য আমি নির্বাচন ছাইড়া সইরা গেছি।’
আবু আসিফ বলেন, ‘চাপ নিতে পারছিলাম না। আমি মানসিকভাবে ভেঙে গিয়েছিলাম। নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমি চলে এসেছি।’ কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছিলাম আমার একটি জায়গায়।’ সরে দাঁড়ানোর জন্য কেউ কোনো চাপ বা ভয়ভীতি দেখিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্ত্রী মেহেরুননিসা মেহেরীন তাকে থামিয়ে দেন।
সন্ধ্যায় আবু আসিফ নিজ কক্ষে বিছানায় কম্বল জড়িয়ে শুয়েছিলেন। কিছুটা অসুস্থ দেখাচ্ছিল তাকে। সেই সময় স্ত্রী মেহেরুননিসা, শ্যালক সায়ায়েত সুমন, দারোয়ান ইছু মিয়াসহ অনেকেই তার কক্ষে ছিলেন।
আসিফের স্ত্রী মেহেরুননিসা মেহেরীন বলেন, ‘আমি আশুগঞ্জের বাসায় ছিলাম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার দিকে জানতে পারি, স্বামী ঢাকার বসুন্ধরার বাসায় ফিরেছেন। আমাকে ফোন দেওয়ার পর ঢাকায় চলে যাই। স্বামীকে নিয়ে বিকাল ৫টায় আশুগঞ্জে চলে আসি। তিনি অসুস্থ বোধ করছেন।’
মেহেরুননিসা বলেন, নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগে থেকে তিনি চাপ অনুভব করা শুরু করেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই চাপমুক্ত থাকতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এক কাপড়ে গেছেন, এক কাপড়েই ফিরেছেন। এতটাই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি, নিজের মুঠোফোনটিও বাসায় রেখে চলে যান।
নিরাপত্তাহীনতার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। নিজে নিজে ভয় পাচ্ছিলেন। অন্য কোনো কারণ নেই। কোনো সংস্থা বা কেউ ভয় দেখিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানসিক চাপ থেকে ভয় পাচ্ছিলেন। নিখোঁজের দু’দিন আগেও তিনি কাজে বের হননি। মানসিক চাপে থাকলে মানুষ যেমন অসুস্থ থাকে, তেমনই এখন তার অবস্থা।
এর আগে দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মেহেরুননিসার বরাত দিয়ে আসিফের সন্ধান পাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, আসিফের স্ত্রী জানিয়েছেন – তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় তাদের বাসায় আছেন। সন্ধ্যার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছাবেন।
আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে আবু আসিফের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মুঠোফোন বাসায় চার্জারে রেখে বের হন তিনি। এর পর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। নিখোঁজের ৯২ ঘণ্টা পর তার সন্ধানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন তার স্ত্রী মেহেরুননিসা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী মো. রুবেলের ছুরিকাঘাতে হৃদয় খান (২৫) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রুবেলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলায় আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে রুবেল, আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে সেলিম, সৈয়দ হোসেন মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন বাক্কি, আরিজ মিয়ার ছেলে মো. মনির ও আবু আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মতিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে হৃদয় খানকে ছুরিকাঘাতে খুন করে।
নিহতের পিতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল ও সেলিম। পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ আহম্মেদ জানান, নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা রুবেল ও মতিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলমান আছে। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ সদস্যরা।
গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিকে জেলার আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতার সাচ্চু মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামার ছেলে।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে র্যাব-৯ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ আগস্ট রাত সোয়া ৯টার দিকে তালশহর নতুন বাজার জিল্লুর রহমান ব্রিজে যুবলীগ নেতা জনি মিয়ার (৩৫) ওপর হামলা চালায় সাচ্চু মিয়া ও তার সহযোগীরা। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে কুপিয়ে আহত করে। এসময় জনির চাচাত ভাই আউয়াল মিয়ার ওপর হামলা চালায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় নিতে বলেন। পথে জনি মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকসেন মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার পর র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
পরবর্তীতে শনিবার বিকেলে প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে এ মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাহিদ আহমেদ বলেন, পায়ের রগ কেটে হত্যার মামলার প্রধান আসামিকে র্যাব গ্রেফতার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মেসার্স স্টার ব্রিকস নাম ভাটাকে ১ টি মামলায় ১,৫০,০০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। একই সাথে ৮ টি ভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ ( সংশোধিত ১০১৯) মেনে ভাটা পরিচালার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন কাজী তাহমিনা সারমিন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তর।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহাসড়কের যানবাহনে তল্লাসী করে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল, গাঁজা ও বিদেশী মদসহ ৪ পাচারকারীকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার রাত ৮টা থেকে আজ ১১ আগস্ট রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫৫৬ বোতল ফেনসিডিল, ২০ কেজি গাঁজা ও ৪ বোতল বিদেশী মদ।
আটককৃতরা হলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোঃ হাসনাত, হবিগঞ্জের চুনারঘাটের জীবন, হবিগঞ্জের মাধবপুরের মাহমুদুর রহমান, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের জাবেদ হোসেন। পরে আটককৃতদের মাদক দ্রব্যসহ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার আটক করা হয়। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক জয়ন্তি বিশ্বাস জানান, মহাকসড়কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম না থাকায় সেই সুযোগে মাদক কারবারীরা সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান মাদক বিভিন্ন পরিবহনে করে মাদক পাচার করছে। তাই শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে মহাসড়কের উপর চেক পোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাসী করে এসব মাদক উদ্ধার করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগপর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানান।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এ সব মাদক ক্রয় করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দিতে তারা মাদক বহন করে পাচার করছিলেন।