চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৩৯ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ বুধবার সমিতির প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে ইউসিসি‘র অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সহকারী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কমল চন্দ্র বনিকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারজানা খন্দাকার, ইউসিসি‘র চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, ইউসিসির সাবেক সহ-সভাপতি নবী নেওয়াজ ভূঁইয়া, ইউসিসির সহ-সভাপতি সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া, সমবায়ী হুমায়ুন করীর ভূঁইয়া, অরুণ জ্যোতি ভট্রাচার্য প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
সভায় আয়-ব্যয় ও প্রতিবেদন পাঠ করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্ত মো: তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন সমিতির সভাপতি/ম্যানেজারগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের অপরাধে দুই ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোনাব্বর হোসেন উপজেলার কুন্ডা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার জিম্মায় দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোনাব্বর হোসেন বলেন, উপজেলার কুন্ডা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ বালি/ মাটি উত্তোলনের দায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ব্যক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৫(১) ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে ১৫(১) ধারায় প্রতিজনকে ৫ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন ইতি পূর্বেও নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষী ব্যক্তিদের অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে শিশু হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটনের (১৭) সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কুলিকুন্ডা গ্রামের মোঃ রনি মিয়া (৭)। ঘটনার তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে শিশু রনির মরদেহের খোঁজ মেলে। পরিবারের লোকজন এর সাথে রিফাত ও লিটনের সম্পৃক্ততার কথা তুললে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। এ ঘটনায় আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আসামী করে গত ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম।
পরবর্তীতে আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া।
মামলারবাদী ও নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে তারা। এখন আমার ছেলেকে হত্যা করে আবার উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। হত্যাকারী রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
রনি হত্যা মামলার সাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল মিয়া। এখন আমি ভয়ে আছি।
আসামীদের করা মামলার বাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনাটা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২১ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির আহ্বায়ক ফেরদৌসী বেগম নাদিরা ও সদস্য সচিব নিপা আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টি নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক শাহনুল করিম গরীবুল্লাহ সেলিম।
গত ২৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি রোমানা আক্তার শ্যামলীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ওই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সুবর্ণা চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াসমিন আক্তার ভূঁইয়া, আয়েশা আক্তার, হাবিবা আক্তার, স্বর্ণা বেগম, শায়মা আক্তার, শিলা রায়, রোজী চৌধুরী । সদস্য হলেন শান্তা বেগম, মুন্নি আক্তার, মাসুমা আক্তার, সাবিনা ইয়াসমিন, শেফালী বেগম, সামিহা আক্তার ভূঁইয়া, রোজি আক্তার, আকলিমা আক্তার, ফরিদা আক্তার, সেলিনা আক্তার, স্বর্ণালী আক্তার বিউটি প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক শাহনুল করিম গরীবুল্লাহ সেলিম জানান, আগের যেকোনো সময় থেকে আমার এখন নাসিরনগর উপজেলা ভালো অবস্থানে আছি। এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম।
এর আগে ২৪ মে নাসিরনগর উপজেলা জাতীয় কৃষক পার্টির ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। ওই কমিটির সভাপতি হলেন হবিব পাঠান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে দুইশত বছরের পুরনো খাল ভরাট করায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় তিনশত পরিবার। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর পক্ষে গত ১৯ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর লিখিত অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কালন চৌধুরী। অভিযোগের পরও জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বিপাকে গ্রামবাসী।
লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মান্নান মিয়া, রুহুল আমীন, সোলমান মিয়াসহ কয়েকজন প্রভাবশালী লোক মিলে কয়েক বছর পূর্বে খালটি ভরাট করেন। ভরাটের সময় গ্রামের অন্যান্যরা বাধা দিলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা (ড্রেন নির্মাণ) করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে খালটি ভরাট করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা সেখানে কোন ড্রেন নির্মাণ না করে সরু পাইপের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করে। এতে করে সামান্য বৃষ্টি হলেই গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার সরেজমিন ফুলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে ডুবে আছে বাড়ির উঠান, গবাদি পশুর খড় আর রান্নার চুলা। পানিবন্দি থাকায় স্কুলে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। বাড়ির সামনে থাকা আবাদি জমিগুলো ডুবে আছে। সাপ, জোঁক সহ অন্যান্য বিষাক্ত প্রাণীর ভয়ে শিশুদের নিয়ে আতংকিত অভিভাবকরা।
ফুলপুর গ্রামের কৃষক ছুরুক মিয়া বলেন, খাল ভরাট করায় জমে থাকা পানিতে আমার গরুর খড়, রান্নার চুলা পানিতে ডুবে গেছে। আমি কিছুই করতে পারছি না। আমি কৃষক মানুষ, কৃষি না করলে খাব কি। এভাবে পানি জমে থাকলে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় উঠা লাগবে।
গ্রামের বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জামাল উদ্দিন জানান, আমরা জন্মের পর থেকেই দেখছি এখানে খাল ছিল। এখন খাল ভরাট করার কারণে গ্রামে পানি জমে আছে। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। আমরা চাই খাল উদ্ধার করে জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান করা হোক।
খাল ভরাটের বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে মান্নান মিয়া বলেন, আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গা আমরা ভরাট করেছি। গ্রামবাসীর কথা চিন্তা করে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপও বসিয়েছি।
সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস বলেন, খাল ভরাট করার বিষয়টি আমি শুনেছি। আশা করছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত জলাবদ্ধতার নিরসন হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোনাববর হোসেন বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ওই জায়গা পরিদর্শন করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশব্যাপী ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নাসিরনগর উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা গাউছিয়া কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, প্রথমবারের মতন ইমাম সাহেবদের তালিকা করে ভাতা দেওয়া চালু করেছেন। এছাড়াও তার বক্তব্যে তিনি ইসলামের খেদমতে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের নানান কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
গাউছিয়া কমিটি নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. এখলাছুর রহমানের সভাপতিত্বে সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাফেজ মুফতি নেছার উদ্দিন।
উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, গুণিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, খান্দুরা দরবার শরীফের পীর সৈয়দ আহমদ বখত মতিন ও পীর সৈয়দ জোবাইর কামাল, নাসিরপুর দরবার শরীফের পীর সৈয়দ আশ্রাফুল আবদাল মুকাল্লিদ, নাসিরনগর নূরে মদিনা দরবার শরীফের পীর মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ খান, দাঁতমন্ডল আজিজিয়া দরবার শরীফের পীর মাওলানা আনোয়ারুল আজিজ, নাসিরনগর সদর খানকায়ে গাউছিয়া চকদার মঞ্জিল এর পীর শাহজাহান হোসাইন চকদার প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় মাওলানা সৈয়দ অলি হায়দার, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হুসাইন আশ্রাফী, মাওলানা নূর আলম রেজা, মুহাম্মদ মতিউর রহমান, মাওলানা ক্বারী মনিরুল ইসলাম শান্তিপুরীসহ উপজেলার অন্যান্য পীর মাশায়েখ, আলেম-ওলামা ও স্থানীয় মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।