চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১৫৫০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উত্তোলন এবং ১ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা আজ ৬ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া ও দক্ষিণ আরিফাইল গ্রামে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। জরিমানাপ্রাপ্তের নাম নূর আলম। তিনি হালুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
একটি চক্র বিভিন্ন বাসা বাড়িতে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে হালুয়াপাড়া ও দক্ষিণ আরিফাইল গ্রাম থেকে ৪৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১৫৫০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি বাসাবাড়ির গ্যাস সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কাজে গ্যাস ব্যবহার করার দায়ে নূর আলম নামে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনায় সরাইলে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা আঞ্চলিক সড়কের ১০/১২টি দোকান ভাংচুর চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা আলমগীরের ছেলে আমান এর মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে বড্ডাপাড়া গ্রামের মৃত তাহাজ্জত আলীর ছেলে ভ্যান চালক এরশাদের গাড়ির।
এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।
এসময় আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের শুরুতে খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী এসে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানে হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে রাতের আঁধারে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার দায়ে মফিজুল হক ও নাঈম ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে কারাদন্ড-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে কারাদন্ড ও জরিমানা করেন।
এদের মধ্যে সরাইল উপজেলার আঁখিতারা গ্রামের মফিজুল হককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের নাঈম ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সম্প্রতি কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও মালিকানাধীন কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন লাগিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে আসছে।
স্থানীয়রা তাদেরকে বাঁধা দিলেও প্রভাবশালীরা তাদের বাঁধা উপেক্ষা করেন। খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে কারাদন্ড ও জরিমানা করেন। এ সময় মাটি ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, রাতে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিলে কৃষি জমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার দায়ে অভিযান পরিচালনা করে দুই জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১জনকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অপরজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান কালে সেখান থেকে একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পারিবারিক কলহের জেরে মণি রানী নাগ (৩৮) নামের এক স্কুলশিক্ষকের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ১৩ আগস্ট রবিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান।
মণি নাগ উপজেলার শাহবাজপুরের অজিত নাগের মেয়ে। তিনি উপজেলার কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার স্বামী উপজেলার অরুয়াইলের ফটো স্টুডিও ব্যবসায়ী অনিক রায়। ঘটনার পর পুলিশ তার স্বামীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ১৮ বছর আগে মণি রাণী নাগকে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের সাহাপাড়ার জিতু ধরের ছেলে অনিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে মণির বাবা অনিককে ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র দিয়েছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মণির ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন স্বামী অনিক। তারপরও সংসার করে যাচ্ছিলেন মণি।
বিয়ের দুই বছর পর মণি কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এরই মাঝে তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারপরও স্বামী অনিকের নির্যাতন থেমে থাকেনি। বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি ছিল তাদের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এসব ঘটনায় তাদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও হয়। দুই মেয়ের কথা ভেবে সেই মামলা সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেন মণি নাগ।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরের পর আত্মহত্যা করতে চালে দেওয়ার কেড়ির বড়ি খান মণি নাগ। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্বামী অনিকসহ মণিকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মণির চিকিৎসা শুরু করলে পালিয়ে যান স্বামী অনিক। এর কিছুক্ষণ পর মণি রানী নাগ মারা যান।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। তার স্বামী অনিক রায়কে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শ্রীমৎ মহারাজ আনন্দ স্বামীর প্রবর্তিত সর্বধর্ম সমন্বয় মতবাদ অনুসারীদের সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ দয়াময় আনন্দ আশ্রম মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক সংসদ সদস্য ও সর্বধর্ম অনুসারীদের সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহবায়ক অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি যু্দ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
প্রধান বক্তা ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শাহিনুর ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ জাবেদা খাতুন পারুল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসভার সাবেক বিধায়ক শ্রী কৃষ্ণ ধন দাস, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,
বক্তব্য রাখেন, সর্বধর্ম প্রবর্তিত মিশনের সভাপতি প্রভাত কান্তি পাল, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. নাজমুল হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের আপ্যায়ন ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, সরাইল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সাবেক শিক্ষক প্রমোথ নাথ চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রাশেদ, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, মনমোহন দত্তের নাতনি প্রমুতি শংকরিন দত্ত, অ্যাড. মামুন কবির, সাতমোড়া আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব বর্মণ, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পরিমল দেব, চন্দ্রনা আচার্য্য, অঞ্জনা রানী সাহা, কানু দেব প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলীর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বাদ জোহর রাজাপুর চকবাজার সংলগ্ন মাঠে জানাযা শেষে গ্রামের প্রধান কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবা উল আলম ভূঁইয়া ও সরাইল থানার সাব ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কর্মকর্তা মন্তাজ আলীর লাশকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়েছেন।
এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মরম আলী উপস্থিত ছিলেন।