চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনার কারণে আপনারা শান্তিতে আছেন, আপনারা শান্তি দেখতে পেয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এমপি।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবড়িয়া জেলা কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল এই বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার শিখিয়েছেন। তা না হলে এই দেশের মানুষ অধিকার সম্পর্কে জানতো না। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক করতেন। কখনো নিয়মের বাইরে রাজনীতি করতেন না। তিনি সহিংসতা রাজনীতি করতেন না, মানুষ হত্যায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি বিশ্বাসী ছিলেন গণতন্ত্রের। সেই গণতন্ত্রের জন্য ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। স্বাধীনতা আদায় করতে কিভাবে প্রস্তুত দিতে হবে সেই দিক নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যখন এই ভাষণ শুনেছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছে এই ভাষণ হবে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণ শুনে আমাদের চোখে পানি এসেছিলো, এ ভাষণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে যাওয়ার উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। তারা বাংলাদেশকে শেষ করতে দিতে চেয়েছিলেন। খন্দকার মুস্তাক, জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা। তারা বাংলাদেশের উপর আবার পাকিস্তানি কায়দায় হত্যাযোগ্য চালায়। জিয়া এই দেশে রাজাকার ও আলবদর দিয়ে সরকার গঠন করেছিলো। আজ তারা বড় বড় কথা বলে, তারা নাকি গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, তারা সব সময় হত্যাতন্তের জন্য যুদ্ধ করেছে। তারা বাঙালি ও বাঙালির জাতির পিতা কে হত্যা করেছে। মন্ত্রী বলেন, তাদের এই ভাওতাবাজি ভুলবেন না। তাদের আর কখনো ভাওতাবাজি দেওয়ার সুযোগ দিবেন না। মন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের আমাদের শপথ হবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন। ২০৪১ সালে আমরা তার স্বপ্ন মতে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব উন্নত দেশ হিসেবে মর্যাদা এনে দিব। আমরা সকলে শেখ হাসিনার সাথে থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো।
মতবিনিময় সভায় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজল হোসেন রিমনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. ফারুক ইসলাম (ঘোড়া) ৮ হাজার ৮ শত ৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোস্তাক আহমদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩শত ১০ ভোট।
আজ ২৬ মে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৩৫ জন। মোট ১১টি ভোটকেন্দ্রে রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩০ এবং বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২২৬। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপারে ভুল প্রতীক মুদ্রণ হওয়ায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাঈদা সুলতানা প্রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। ওই পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সাঈদা সুলতানা একক প্রার্থী হিসেবে থেকে গেলেন।
কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার মঙ্গলবার বিকেলে জানান, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় শুধু একজন প্রার্থী রয়ে গেলেন। যে কারণে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। এরপরই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষিত হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী (৫৫) নিহত হয়েছে।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ বিশ্বাস জানান, সকালে সৈয়দাবাদ এলাকায় সড়ক পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত পরিবহনের একটি গাড়িচাপায় ঘটনাস্থলে এক নারী নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়েছে। অজ্ঞাতনামা নারীর পরিচয় শনাক্ত না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সংগঠন বেওয়ারিস হিসেবে দাফন করা হবে বলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আজহার উদ্দিন জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্ত হাট চার বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবারও খুলছে।
আগামী ২৯ জুলাই সোমবার থেকে হাট বসবে বলে জানিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থানা কমিটি।
এ লক্ষ্যে আজ ২ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে সীমান্ত হাট পরিদর্শন করেছেন হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা।
পরিদর্শন দলে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা এবং ভারতের পক্ষে ছিলেন ত্রিপুরার সীপাহিজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মজুমদার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্থে ২০১৫ সালে কসবার তারাপুর সীমান্ত এবং সীপাহিজলা জেলার কমলাসাগর সীমান্তে চালু করা হয় হাটটি। এতে দুই দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান রয়েছে। করোনার প্রকোপ দেখা দিলে ২০২০ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাটটি বন্ধ ঘোষণা করে ব্যবস্থাপনা কমিটি।
সীমান্ত হাট পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ অংশের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেসমিন সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, কমিটির আলোচনার মাধ্যমে হাট খোলার জন্য সম্ভাব্য তারিখ ২৯ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতের তরফ থেকে হাটে নতুন বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে তাজা মাছ চাওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আর সীমান্ত হাট দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন হাটের ভারত অংশের সভাপতি।