অনলাইন ডেস্ক :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের লোকসংগীতের জায়গাটি অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের বাউল ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি, কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী জিএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুদিনব্যাপী লোকসংগীত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগেরকার দিনে লোকসংগীত তথা বাউলদের অনেক কদর ছিল। যা হারিয়ে গিয়েছিল। নরওয়ের নাগরিক ওয়েরা সেথার আমাদের লোকসংগীতকে ভালোবেসে আবার উজ্জীবিত করেছেন। যা আবার আমাদের জগতে ফিরে এসেছে। তিনি লোকসংগীত চর্চায় প্রতিষ্ঠা করেছেন মায়ের তরী। যা দেখতে এসেছি।
কিশোর বয়সের স্মৃতিচারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে কিশোর বয়সে লোকসংগীতের আসর বসত। বসত গীতিকার সুরকার ও শিল্পীদের আড্ডা। তখন এসব আসরে ছুটে যেতাম। মাঝে এসব হারাতে বসেছিল। যা আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। সেই পুরনো বাদ্যযন্ত্র আজ এসেছে অনুষ্ঠানে। সেই তবলা, দোতরা, হারমোনিয়াম…। বাউলদের আসল জিনিস দোতরা। দোতারায় বাউলের সুর ওঠে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ তথা আমাদের লোকসংগীতকে ভালোবেসে তার উৎকর্ষ সাধনে যিনি কাজ করছেন। নরওয়ের নাগরিক সেই ওয়েরা সেথার চাইলে আমরা তাকে সানন্দে নাগরিকত্ব দেব ইনশাআল্লাহ।
৭ মার্চ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস আমাদের হৃদয়ের মাস। যে মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়, আমাদের মুক্তির ভাষণ দেন। আমাদের স্বাধিনতার মাস। কীভাবে নিরস্ত্র বাঙালি একটি ভাষণ শুনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে হানাদার মুক্ত করেন। আজ সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এ দিনে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। যা শুনে নিরস্ত্র বাঙালিরা দেশকে হানাদার মুক্ত করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৭ মার্চ শুধু ভাষণ নয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণাও। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ভাষণ শুনে আমাদের আর পেছনে ফিরতে হয়নি।
মায়ের তরীর প্রতিষ্ঠাতা নরওয়ের নাগরিক লোকসংগীত গবেষক ওয়েরা সেথারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহারিয়ার কবির, বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামান মানিক, স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, রংপুরের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মমিন, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর ই আলম সিদ্দিকী ও কবি সাহিত্যিক ফেরদৌস আরা বিউটিসহ অনেকে।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর গাড়ির সামনে দাঁড়ালেও এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এমন ২৩৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিল করাসহ লিংক বন্ধ করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ ৩১মে বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইন সংবাদপত্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের পরিকল্পনা আছে। কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।
সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা মোট ১ হাজার ১৫৮। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৫২২টি, সাপ্তাহিক পত্রিকা ৩৪৭টি ও মাসিক পত্রিকা ২৮৯টি।
তিনি বলেন, সরকারি বিজ্ঞাপন বর্তমানে চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। তাই বিজ্ঞাপন বাবদ সরকারি ব্যয় বা রাজস্ব আয়ের সঠিক তথ্য এ অধিদপ্তরে সংরক্ষিত নেই।
তিনি আরো বলেন, তবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবসের ক্রোড়পত্র প্রকাশের বিল থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১০ শতাংশ সরকারি কর, ৪ শতাংশ আয়কর ও ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় বাবদ ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা জেলা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা থেকে মোট ২ কোটি ৫৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
ডেস্ক :
আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। ইসি সচিব সন্ধ্যায় স্পিকার দপ্তরকে ফোন দিয়ে সময় চেয়েছেন। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সন্ধ্যায় জানান, সিইসির সাক্ষাতের জন্য ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান স্পিকার।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের অধিবেশন বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারিই শেষ হবে এই অধিবেশন। এ প্রসঙ্গে আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনো অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়েবে।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিলের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হবে। যেদিন ভোটের তারিখ হবে ওই দিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে। ওই বৈঠকে নির্বাচনী কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন। যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাকিদের বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আইনটি হচ্ছে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অবশ্যেই ৬০ দিনের আগে। ৯০ দিনের হিসেব শুরু হবে ২৪ এপ্রিল থেকে (পূর্ববর্তী) ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে হিসেবে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে।
২০১৮ সালে সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সে সময় বর্তমান রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
‘প্রাক্তন’ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ওই বছর ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আর এ পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
পদত্যাগের পর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ প্রধান ও উৎখাত হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
মামলার পরবর্তী তারিখ ১৮ নভেম্বর রেখে এই সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।
গত ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর প্রথমবারে মতো বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ শুরু হয়। এদিন বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কোর্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর চিফ প্রসিকিউটর মামলার আবেদন পড়ে শোনান।
এ সময় সংবিধানের বিভিন্ন সংশোধনী, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে গুম, খুন, তথ্য প্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলার পরিসংখ্যান, অর্থ পাচারের পরিসংখ্যান এবং সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনে বল প্রয়োগের তথ্য তুলে ধরেন।
চিফ প্রসিকউটর আদালতে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তদন্তে গণহত্যার প্রাথমিক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি প্রভাবশালী। এখনো দেশের বিভিন্নস্থানে আসামির লোকজন বিভিন্ন পজিশনে আছে। তাই আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মামলার তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করছি।
এক পর্যায়ে আদালত জানতে চান, রাষ্ট্রীয়ভাবে আসামির অবস্থান জানেন কিনা। জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, না।
তারপর আদালত চিফ প্রসিকিউটরের আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আর ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করেত বলেন।
পরে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে এই আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পক্ষ থেকে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরা এর আওতায় থাকবে। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।
অপরাধের ধরণে উল্লেখ করা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশিয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অপরাধ।
গণহত্যার অভিযোগে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলের নেতৃবৃন্দ, পুলিশের তৎকালীন আইজিসহ বেশ কয়েকজন সদস্য, র্যাবের তৎকালীন ডিজি, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে।
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) চলছে বিচারকাজ।
গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কিছুদিন পরেই ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান অবসরে যান। আর এক সদস্যকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। অপর সদস্য অব্যাহতি নেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটররা পদত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে গত ৫ সেপ্টেম্বর চিফ প্রসিকিউটরসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর ১৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে যোগ দেন তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল। ১৬ অক্টোবর তাদেরকে এজলাসে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আর প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার বিচার কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষার্থীদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে ফের আগামীকাল সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তিনদিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ ৪ আগস্ট রোববার সরকারের নির্বাহী আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, ৪ আগস্ট রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার। ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহর, জেলা সদর ও সিটি করপোরেশনে কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন (কারফিউ) বলবৎ করা হলো।
একইসঙ্গে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।