চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি মো আতিকুল ইসলামের মহাপ্রয়াণে তিনদিনের শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোক মিছিল ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১ টায় তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে শোক মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি শিপনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, বিশিষ্ট কবি আবদুর রহিম,উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, কবি পরিষদ সভাপতি শৌমিক সাত্তার,সাধারণ সম্পাদক রুদ্র মুহম্মদ ইদ্রিস,তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস, যুবলীগ নেতা আলী আজম, সাকিল মিয়া, সংস্কৃতি সংগঠক সোহেল রানা ভূঞা,মাহবুব আলম উজ্জ্বল, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর, আবৃত্তিশিল্পী ফাহিমা সুলতানা, কবি শাওন চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, অদ্বৈতের তিতাস একটি নদীর নাম উপন্যাস এখনও একক এবং তুলনাহীন।’ ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম মূলত জেলে জীবনের পাঁচালি। জেলে জীবনভিত্তিক যে যে উপন্যাস রচিত হয়েছে, এদের কোনোটিই তিতাসের সমতুল্য নয়। নদীপাড়ের কৈবর্তজীবনের অনুপুঙ্খ দলিল বলা যেতে পারে তিতাসকে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ছিলেন অকৃতদার। স্বল্প আয়ের অদ্বৈত মল্লবর্মণ নিজের সাহিত্য আর জীবন দিয়ে তুলে এনেছিলেন নিম্নবর্গের মানুষদের আত্মকথা। ক্ষুদ্র জীবনে তিনি হয়ে উঠেছেন সাহিত্যে নিম্নবর্গের মানুষদের সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি।
তিনি আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটে কালজয়ী ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর জন্মভিটায় অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে তিনব্যাপী “অদ্বৈত গ্রন্থমেলা ২০২৩” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন, ভারতের ত্রিপুরার কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস।
এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশনা করেন তিতাস সাহিত্য- সংস্কৃতি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সঙ্গীত পরিবেশন করবেন আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসায় কোন রোগীর মৃত্যু হলে সেটি “ভুল চিকিৎসা নয়, এটি দুর্ঘটনা এবং এটি অপরাধ হিসেবে গন্য করা যাবেনা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছেন জেলা বিএমএর নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এফ. জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।
লিখিত বক্তব্যে ডাঃ আবু সাঈদ বলেন, চিকিৎসকরা রোগীদের সম্মতি নিয়ে অস্ত্রোপচার করে থাকেন। দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ ও ৮৯ অনুসারে চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক এক্ষেত্রে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার পরও রোগীর মৃত্যু হলে সেটা কোনোভাবেই হত্যা মামলা হতে পারে না। তিনি বলেন, এই আইনে চিকিৎসকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততার সাথে নিঃসংকোচ চিত্তে কর্তব্য পালন করার নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং হত্যা মামলার মতো ফৌজদারি মামলা হতে ‘দায়মুক্তি’ প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ ও ৮৯ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ অনুসারে ভাল উদ্দেশ্যে বা রোগ উপশমের উদ্দেশ্যে সম্মতিসহ কোনো রোগীর অস্ত্রোপচার করার সময় বা পরবর্তীতে যদি ‘মৃত্যু’ ঘটে তবে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। আর দণ্ডবিধির ধারা ৮৯ অনুসারে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা মানসিক প্রতিবন্ধী কোনো ব্যক্তি সম্মতি দিতে অসমর্থ হলে এবং তাকে সুস্থ করার উদ্দেশ্যে কোনো অস্ত্রোপচার করা হলে এবং সেটি করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটলে তা কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।
তিনি বলেন, তারপরও সম্প্রতি চিকিৎসা দুর্ঘটনায় কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে চিকিৎসকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। অথচ চিকিৎসা সঠিক নাকি ভুল সেই মতামত দেয়ার একমাত্র এখতিয়ার বিএমডিসির।
তিনি বলেন, তদন্তে চিকিৎসকের ভুল বা অপরাধ প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। চিকিৎসা দুর্ঘটনা কোনো অপরাধ নয়। তবে রোগীর স্বজনরা জানে না চিকিৎসা নিয়ে কোনো সন্দেহ হলে বিচারের জন্য বিএমডিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। এই সুযোগে কতিপয় অতিউৎসাহী মিডিয়া জনগণকে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেয়। বিচার প্রক্রিয়া যেমন আদালতে বিচারকের কাছে গোপনীয়, তেমনি চিকিৎসকের কার্যক্রম ও তার নিজের পেশাগত গোপনীয়তা বিএমডিসির আইন দ্বারা নির্ধারিত এবং সংরক্ষিত। রোগীর শরীর অস্ত্রোপচারে আকস্মাৎ দুর্ঘটনা ঘটে যায় যেমন জ্ঞান না ফেরা, হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ জখম হওয়া যা চিকিৎসকের কাছে অনাকাঙ্খিত। এ কারণেই বাংলাদেশ পেনালকোড-এ সার্জনকে দায়মুক্তি দেয়া আছে।
তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪, ৩০৪ এর উপধারা ক ও খ প্রয়োগ করে যদি কোনো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করতে হয়, সেক্ষেত্রে আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মতামত লাগবে। এবং উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক তদন্তে দোষী সাব্যস্থ হলেই কেবল এই ধারাটি প্রযোজ্য হবে। রোগীর মৃত্যুকে হত্যাকান্ড হিসেবে নথিভূক্ত করা অনাকাঙ্খিত। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি চিকিৎসক আবু সাঈদের অনুরোধ, তারা যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেন এবং সঠিক কারণ অনুসন্ধ্যানে বিএমডিসি, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করেন। সেই সাথে চিকিৎসায় কোনো রোগী মারা গেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্বাবধায়ক ডাঃ মো. শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রানা নূর সামস্, ডাঃ ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, ডাঃ আজহারুর রহমান তুহিন, খোকন দেবনাথ, মাহফিদা আলম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্য পাঠের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন চিকিৎসক নেতারা। কিভাবে মিডিয়া ক্রাইম হলো? একজন চিকিৎসক অধিক হাসপাতালে কিভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং তার মান কতুটুকু? বেসরকারি হাসপাতালে রাতে কেন কোনো চিকিৎসক থাকেন না? সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের দূর্ব্যবহারসহ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও রাতে র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটককৃতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি (২৬), পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন জয়, ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন আদি।
আফ্রিদিকে র্যাব-৯ এর একটি দল ও বাকি দুই জনকে সদর মডেল থানা পুলিশ আটক করে।
পুলিশ জানায়, ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই নাশকতার মামলা রয়েছে। ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাদেরকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটি।
গতকাল শুক্রবার ঢাকায় মন্ত্রীর বাসভবনে তাঁকে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া, এ্যাডহক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নারী নেত্রী এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সেক্রেটারী মোহনা টেলিভিশন ও দৈনিক মুক্তখবর পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহাজাদা, সদস্য প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, এম. এ. এইচ মাহাবুব আলম, এম সাইদুজ্জামান আরিফ, রবিউল হোসেন রুবেল, এডভোকেট ইফতেখার বারী তানভীর, মোঃ নাজির হোসেন ভূঁইয়া ও খন্দকার রায়হান।
ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানকালে নব নির্বাচিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁর সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে মন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ১০ জুন শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পৌর শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ জুন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ এবং কৃষকদলের আহ্বায়ক ভিপি শামীম ও ছাত্রদলের নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলায় চালায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পরবর্তীতে শনিবার রাতে ফের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে দুই দিন ধরে শহরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা হামলা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ জুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে শাহীন, সমীর, যুগ্ম আহ্বায়ক এলভীন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় গেলে সেখানে হামলা করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।