অনলাইন ডেস্ক :
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিল্ডিংস অ্যান্ড ক্লাইমেট গ্লোবাল ফোরাম-২০২৪ আয়োজিত মিনিস্টারিয়াল রাউন্ড টেবিল বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যায়ক্রমের সবার ওপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে অধিক মাত্রায় প্রভাব ফেলবে। এর প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। আর এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে এই সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হলেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় অন্যতম বলে জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে মুজিব প্রস্পারেটিভ প্লান (২০২২-২০৪১) এর আওতায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছেন বলে মন্ত্রী সভাকে অবহিত করেন।
এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স দুর্যোগ সহনীয় স্থাপনা গড়ে তুলতে নিত্য নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। সমীক্ষা মতে, প্রতিবছর দুর্যোগে গড়ে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় দুই শতাংশ সমপরিমাণ কমে যায়।
বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশের জন্য এ ধরনের সেমিনার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও সহায়ক ভূমিকা পালনের সক্ষম বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
সরকার জিটুজি, বিজনেস টু বিজনেস এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে যেকোনো সহযোগিতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উন্নয়নশীল দেশের জন্য ২০২১ সালে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-এর ৩৭টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের কল্যাণ, নিরাপত্তা, মুক্তি ও শান্তি কামনা ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শুরায়ে নেজামের ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে সকালের আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে অপার করুণা ও অশেষ রহমত কামনা করেছেন দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
হাজারো মানুষের কাক্সিক্ষত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। এর আগে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের (বোম্বে) মাওলানা আব্দুর রহমান।
সকাল ৯টায় দীর্ঘ ১৫ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন মোনাজাতে হাজারো কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহিম আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। মনিব-ভৃত্য, ধনী-গরীর, নেতাকর্মী নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষ পরওয়ারদেগার আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে চিল্লাধারী মুসল্লিরা ছাড়াও ঢাকা, গাজীপুর, টঙ্গী ও আশুলিয়াসহ আশপাশের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সকাল থেকে ময়দানে জড়ো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা ও সংরক্ষণে ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। নিষেধাজ্ঞার সময় নিবন্ধিত জেলেদের খাদ্য সরবরাহ করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, মজুত, বেচাকেনা ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলেদের সচেতন করার জন্য নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং, পোস্টারিংসহ সব ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রতিদিন নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
এখন দেশে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য (এমপি) রয়েছেন বলে যে আলোচনা চলছে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে সংবিধানের সেই বিষয়ে স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বলা হচ্ছে সংসদে ৬৪৮ এমপি এখন। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আপনি মনে করেন কি না। সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজ সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরো স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
আপনি আইনমন্ত্রী হিসেবে স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেন কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো বললাম, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, তাহলে দেখা যাবে।
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পদ্মা সেতুতে এক দিনে রেকর্ড ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময় যানবাহন পারাপার হয়েছে ৪৩ হাজার ১৩৭টি। সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু সাইড অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, মাওয়াপ্রান্তে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকা ও জাজিরাপ্রান্তে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছিল স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে।
আমিরুল ইসলাম আরো জানান, পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ৮০৯ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ২৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে ঢাকাগামী ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেনের ৬৩০ জন যাত্রীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৫ টাকা ভাড়া ও জরিমানা আদায় করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের আওতাধীন বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে ব্লক চেকিংয়ের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়।
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে রাজশাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে এই অভিযান চালানো হয়। ব্লক চেকিংয়ের রেলওয়ে স্টেশনগুলো হলো রাজশাহী, ঈশ্বরদী বাইপাস, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম, বড়াল ব্রিজ, উল্লাপাড়া, নাটোর এবং সান্তাহার।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদারের নেতৃত্বে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা কে এম নুরুল ইসলাম, ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষক আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠু, গোলাম মুস্তফা, প্রবীর কুমার, কামরুল ইসলাম, মঞ্জুরুল হাসানসহ ট্রেনগুলোর পরিচালক (গার্ড) এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসব অভিযানে অংশ নেন।
অসীম কুমার তালুকদার বলেছেন, সরকারি ছুটির দিনে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে উপচেপড়া ভিড় থাকে। অনেকে টিকিট ছাড়াই ট্রেনে চড়ে বসেন। আমরা সাধারণত আন্তঃনগর ট্রেনে বিনা টিকিটের যাত্রীদের শাস্তি হিসেবে পরবর্তী স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে থাকি। কিন্তু, রেল ভ্রমণ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যের হওয়ায় তারা নামতে চান না। অনেকেই ভাড়াসহ জরিমানা দিয়েই গন্তব্য পথে যেতে চান।
তিনি জানান, আন্তঃনগর ছয়টি ট্রেনে মধ্যবর্তী স্টেশনে আকস্মিকভাবে অভিযান চালিয়ে ৬৩০ জন যাত্রীর কাছ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৫ টাকা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাড়া ৯৫ হাজার ১৪৫ টাকা এবং জরিমানা ৩১ হাজার ৭১০ টাকা। অন্যান্য যাত্রীবাহী ট্রেনে অভিযান অব্যাহত আছে।