অনলাইন ডেস্ক :
লোহিত সাগর ও এডেন উপ-সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রণতরীতে হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান সমর্থিত সংগঠন হুথি। খবর আল জাজিরার।
আজ ৯ মার্চ শনিবার সংগঠনটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া স্যারি এক টেলিভিশন ভাষণে এ দাবি করেন। তিনি বলেন, লোহিত সাগর ও এডেন উপ-সাগরে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার বা ছোট রণতরীতে হামলা চালানো হয়েছে। ৩৭টি ড্রোনের মাধ্যমে এ হামলা চালানো হয়।
হুথিদের হামলার দাবির আগে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজের জন্য হুমকি ১৫টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই লোহিত সাগরে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে হুথি গোষ্ঠী। পশ্চিমাদের জাহাজ লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে ওই অঞ্চলে কার্যত অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সাথে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার হওয়া বৈঠকে সীমান্ত হত্যার জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। একইসঙ্গে ওই বৈঠকে ভারত থেকে মাদক আসা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা সোয়া তিনটা নাগাদ আগরতলা আইসিপির ল্যান্ড কাস্টমস কনফারেন্স হলে বিজিবি-বিএসএফ কমান্ডার পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বারের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।
এতে ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ মো. ইমতিয়াজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিএসএফের পক্ষে ৪২ ব্যাটালিয়ন, ১৫০ ব্যাটালিয়ন, ১০৪ ব্যাটালিয়ন ও ৮১ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সীমান্তে গুলিবর্ষণ, হত্যা বন্ধ করা, অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধ এবং চোরাচালানসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানায় বিজিবি
সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিজিবি-বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
পশ্চিম উগান্ডার একটি স্কুলে ইসলামিক স্টেট গ্রæপের হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। এমপন্ডওয়ের লুবিরিহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই হামলায় আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। খবর বিবিসি।
পুলিশ বলছে শুক্রবারের হামলাটি অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (ডিআরসি) ভিত্তিক উগান্ডার একটি গ্রুপ।
পুলিশ জানায়, ডিআরসি-তে বিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের দিকে পালিয়ে যাওয়া দলটিকে সেনারা তাড়া করছে।
জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র ফ্রেড এনাগা আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, দএখন পর্যন্ত স্কুল থেকে ২৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেভেরা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাতে হামলার সময় স্কুলের একটি ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি খাবারের দোকান লুট করা হয়।
উগান্ডার সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটারেরও কম (১.২৫ মাইল) দূরে অবস্থিত স্কুলে হামলা। অনেক বছর পর উগান্ডার স্কুলে এই ধরনের হামলা হলো।
এর আগে ১৯৯৮ সালের জুনে , ডিআরসি সীমান্তের কাছে কিচওয়াম্বা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে হামলায় ৮০ জন ছাত্রকে তাদের ছাত্রাবাসে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। অপহরণ করা হয়েছিল শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থানীয় সময় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছে। গাজা শাসনকারী হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েল এদিন সকাল থেকে গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১০৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলেছিল, ৬৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ‘শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক’। গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলাকে আবাসিক এলাকায় নির্বিচার বলে বর্ণনা করেছে ওয়াফা।
দিনের প্রথম দিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ২৪ নভেম্বর কার্যকর হয়েছিল এবং শুক্রবার সকালে তা শেষ হয়েছে।
আনাদোলুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর পরই পূর্ব গাজা উপত্যকায় ভারী গোলাবর্ষণ এবং ইসরায়েলি কামানের আঘাত আবার শুরু হয়েছে। উত্তর ও মধ্য গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় জুনায়েদ মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের মামা শামীম সরকার।
নিহত জুনায়েদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। তার বাবার নাম হামিদুল ইসলাম।
নিহতের স্বজনরা জানান, বছর খানিক আগে জীবিকার তাগিদে জুনায়েদ পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানে তিনি বলদিয়া কোম্পানির গাড়ির হেলপার ছিলেন। রবিবার দুপুরে দাম্মাম শহরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চালক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। জুনায়েদের মরদেহ দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। জুনায়েদের আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের বিষয়টি জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রবাসীর মরদেহ দেশে আনতে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা করব।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বরেকর্ড গড়তে কতরকম অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটান লোকজন। টানা সাত দিন কেঁদে সাময়িক দৃষ্টি হারিয়ে এমনই এক অদ্ভুত কাজ করেছেন টেম্বু এবেরে নামের এক নাইজেরিয়ান যুবক।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এবেরে গিনেস রেকর্ডে নাম উঠাতে জোর করে এক সপ্তাহ কান্না করেন। পরে তার মাথাব্যথা শুরু হয় ও চোখ-মুখ ফুলে যায়। এ ঘটনার পর ৪৫ মিনিট দৃষ্টিহীন ছিলেন এবেরে।
তবে রেকর্ড গড়তে ঝুঁকি নিয়ে নাইজেরিয়ানদের এমন কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছে জিডব্লিউআর।
টেম্বু বিবিসিকে জানান, যেহেতু গিসেস বুকে নাম লেখানোর জন্যে তিনি আবেদন করেননি, তাই তার এই রেকর্ড গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না।