চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় পুলিশের অভিযানে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ৮ মার্চ শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অ্যাম্বুল্যান্সসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোর্ট উপজেলার বাগমারা এলাকার কোরবান আলীর ছেলে শহিদ (৫৭), চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার মাইজের বাড়ি এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে মো. হাবিব (২০), একই জেলার কচুয়া উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মাদরাসা এলাকার আলী এক্কাবর এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন (২৮), ময়মনসিংহ জেলার মাঠখোলা বাজার এলাকার রফিক হাসান ওরফে রবির ছেলে মো. জনি মিয়া (২১)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অ্যাম্বুল্যান্সে ৫০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অপহরণের ঘটনায় জড়িত স্কুল শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩ ডিসেম্বর রবিবার চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার কাঠগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত ইকবাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নিবড়া এলাকার আরু মিয়ার ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক। তারই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ইকবাল। তার উত্ত্যক্তের কারণে একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
গত ২৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বাড়ির পাশ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান ইকবাল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে কসবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন। এতে ইকবালকে একমাত্র আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে রবিবার গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিএসএফর গুলিতে মো. হাসান নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে। আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে উপজেলার বায়েক সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান কায়েমপুর গ্রামের দারু মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ওই ব্যক্তিকে ধাওয়া দিয়ে গুলি করে বিএসএফ। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ঘটনাটি তারা জেনেছেন। সেখানে তাদের স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিরা রয়েছে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেখানে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ৬৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকাশাইর দারোগা বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে মনকাশাইর দারোগা বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। পরে কাভার্ডভ্যান তল্লাশী করে ৬৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বসে থাকা যেন নেশার মতো হয়ে উঠেছে যুবক নাসিরের। গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি টাওয়ারে উঠার পরে অভিনব কায়দায় নামিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। এর ৫ দিনের মাথায় ৩০ মে পাশের কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের টাওয়ারে উঠে জিকির করছিলেন ওই যুবক। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও কসবা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পরীক্ষিত সেই কৌশল অবলম্বন করেই ১৭০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনেন তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ৩০ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বাড়িখোলা গ্রামের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ওই যুবককে দেখতে পান স্থানীয়রা। দেখতে দেখতে এলাকার লোকজনও জড়ো হন। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি ও অনুরোধের পর হ্যান্ড মাইকে আজান দিলে ওই যুবক ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে। ৫ দিন আগেও সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকার বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে বসে থাকে এই যুবক। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামায়। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাড়িখোলা গ্রামের শরীফ উদ্দিন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে চারদিকে সাড়া পড়ে কেউ একজন টাওয়ারে উঠে বসে আছে। কিছু তরুণ বিষয়টি ফেসবুকেও লাইভ প্রচার করেন। আমরা তাকে ডাকাডাকি করলেও সে না নেমে আপন মনে জিকির করছিল।
তিনি আরো বলেন, ওই যুবক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। টাওয়ারের চূড়ায় উঠে জিকির করার পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর পর টাওয়ারে নিজের মাথাকেও বাড়ি দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে কসবা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাসেত সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইকে আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামিয়ে আনি। এর আগেও পাশের সদর উপজেলার একটি টাওয়ারে উঠেছিল বলে খবর পেয়েছি। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হওয়ায় তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন অফিসারদের পরামর্শ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-কসবা উপজেলার দরুইল গ্রামের মো. আনোয়ার (৩৮) ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের আলফু মিয়া (৪৮)।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে পুলিশের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নবীনগর উপজেলার বিটঘর টিয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে, একই রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. আলফু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।