চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে ১৫ কেজি ওজনের সাগরের বাটা মাছ উঠেছে। মিজান মিয়া নামে এক মাছ বিক্রেতা আজ ৯ মার্চ শনিবার বিশাল আকারের বেশ কয়েকটি বাটা মাছ বাজারে নিয়ে আসেন। প্রতি কেজি বাটা মাছ তিনি ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। এদিকে, বড় মাছকে ঘিরে ক্রেতাসহ আশপাশের জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মাছ ব্যবসায়ী মিজান মিয়া জানান, বড় আকারের বাটা মাছ কুমিল্লার একটি মৎস্য আড়ৎ থেকে কেনেন তিনি। এরপর মাছ বিক্রি করতে আখাউড়ায় আসেন। একেকটি মাছের ওজন ৮ থেকে ১৫ কেজি ওজনের। এটি মূলত সাগরের মাছ। চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় আসে।
স্থানীয় একাধিক মাছ ব্যবসায়ী জানান, এখানে সহসায় বড় আকারের মাছ স্থানীয় বাজারে খুব একটা ওঠে না। আজকে বেশ কয়েকটি বড় আকারের সাগরের বাটা মাছ বাজারে উঠেছে। বড় আকারের মাছকে ঘিরে ক্রেতাসহ আশপাশের জনতার ভিড় দেখা গেছে।
মাছ ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, আসলে এতো বড় মাছ সহজে দেখা যায় না। বাজার করতে এসে মাছ পছন্দ হওয়ায় ৮ কেজি ওজনের একটি মাছ ৪ হাজার ৮০০ টাকায় কিনেছি।
মাছ ব্যবসায়ী অনিল বলেন, আমাদের আড়তে বিক্রেতারা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে আসেন। এখানে সবসময় বড় আকারের মাছ আসে না। মাছগুলো মূলত ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় চলে যায়। তবে মাঝে মাঝে এখানে বড় আকারের কাতল,বোয়াল, কার্প জাতীয় মাছ নিয়ে আসেন বিক্রেতারা।
মিজান বলেন, বড় আকারের মাছের চাহিদা ভালো। সবসময় কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট থেকে বড় মাছ সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। এখানে সকালে পাঁচটি বড় মাছ নিয়ে আসি। দুপুর পযর্ন্ত তিনটি মাছ বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ কেজি ওজনের একটি মাছ দু’জন মিলে কিনেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২২ বছরের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত ওই তরুণী হলো শান্তা আক্তার। সে তার মা মাজেদা বেগমের নিজ বাড়ি বাউতলা গ্রামে বসবাস করতো। তার পিতা ফারুক মিয়া জেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশহর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর আগে শান্তার তার মাজেদা বেগম তার বাবা ফারুক মিয়াকে তালাক দেয়। এরপরে বাউতলার গ্রামের নাসির মিয়ার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নাসির মিয়াকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। বাবাকে তালাক দেওয়া এবং মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি নিতে পারেনি বাকপ্রতিবন্ধি শান্তা। এ নিয়ে মায়ের সাথে তার মনোমালিন্য ছিল। মা তাকে প্রায় সময়ই মারধর করতো। মঙ্গলবার সকালে শান্তা পাশের বাড়ি চলে গেলে সেখান থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে বাড়িতে নেয় মা। এর কিছুক্ষণ পরই প্রতিবেশীরা জানতে পারে শান্তা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, শান্তা অনেক সময় রাস্তায় চলে যেত। এজন্য মা শাসন করতো। এটা সে মানতো না। সকালে তার মা যখন নাস্তা তৈরি করছিল তখন সে পাশের রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, তিনজনকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান, তিনজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকসহ আরো কিছু ক্যাটাগরিতে সেরার স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন।
স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন কাজী মোঃ তারেক। তিনি উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ আলহাজ্ব শাহ্আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
কাজী মোঃ তারেক উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক। তিনি এম.এ, এম.এড, ডিগ্রীর পাশাপাশি আইন বিষয়ে এল.এল.বি, এল.এল.এম এবং এস.এইচ.আর.এল ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, যোগ্যতা ও সুনামের সাথে বিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া সত্বেও বিদ্যালয়ের ফলাফল ও অন্যান্য কার্যক্রম সন্তোষজনক।
কলেজ পর্যায়ে আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজের অধ্যক্ষ গৌবিন্দ চন্দ্র রায় ও মাদ্রাসা পর্যায়ে টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাইউম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন।
তাছাড়া শ্রেষ্ঠ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজ (কলেজ পর্যায়), নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (স্কুল পর্যায়) ও টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসাকে (মাদ্রাসা পর্যায়) নির্বাচিত করা হয়।
কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের প্রভাষক (ইংরেজি) ফয়জুন্নেসা লিজা। স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ খান ও মাদ্রাসা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হয়েছেন টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (আরবি) মো. রেজাউল কবির।
শ্রেষ্ঠ স্কাউট শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সেলিম। শ্রেষ্ঠ গার্ল গাইড শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী সাফিয়া খাতুন।
শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের প্রভাষক (রসায়ন) এ জেড এম শামসুল আরেফিন। শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অদ্বীপ্ত চক্রবর্তী, টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার ও আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা খানমকে নির্বাচিত করা হয়।
শ্রেষ্ঠ স্কাউট নির্বাচিত হয়েছেন দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমতিয়াজুর রহমান। শ্রেষ্ঠ রোভার নির্বাচিত হয়েছেন আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমন।
শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ নির্বাচিত হয়েছেন মো. ইমতিয়াজুর রহমান ও তার দল। তারা দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আবেদনের পরিপেক্ষিতে তাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তোরণ নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হানিফ মিয়া (৪৫) নামে এক ডেকোরেটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া (৪২) আহত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আখাউড়া থানা মসজিদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া পৌরশহরের কলেজ পাড়ার মৃত আতর আলীর পুত্র। তিনি ১ ছেলে মেয়ের জনক। আহত ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া রাধানগর ভাড়া বাসায় থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবর্ধনা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করছিলেন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া বলেন, হানিফ মিয়া আমার পূর্ব পরিচিত। আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলাম হানিফ মিয়া গেইটের উপরে উঠে গেইট বানানোর কাজ করছিল। হঠাৎ দেখি হানিফের হাত দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। সেলিম মিয়া বাঁশ ধরা অবস্থায় কাঁপছে। তৎক্ষনাৎ আমি আরেকটা বাঁশ দিয়ে সেলিমকে সজোরে বারি দিয়ে সরিয়ে দেই। আমিও শট পাই। এসময় হানিফ মিয়া উপর থেকে নীচে সড়কে পড়ে যায়।
আহত সেলিম মিয়া বলেন আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে অর্ডার পেয়ে গেইট নির্মাণ করছিলাম। তখন হানিফ মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইকরাম চৌধুরী বলেন ৫ টা ১০ মিনিটে হানিফ মিয়াসহ দুইজন আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে। আমরা রোগীর ইসিজি করে কোন রেসপন্স পাইনি। ব্ল্যাড প্রেসার পাইনি। হাসপাতালের আনার আগেই হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেলিম মিয়া শঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন শ্রমিকরা কার গেইট নির্মাণ করছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের উদ্যোগে র্যালি ও পথসভা হয়েছে।
“প্রকৃতি বাঁচাও, প্রাণবিক ধরিত্রী গড়ো’ সবাই মিলে করি পণ বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ ৫ জুন সোমবার সকালে পৌর শহরের কলেজ পাড়া থেকে একটি র্যালীটি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সড়ক বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে পথসভা করে।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের উপদেষ্টা, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আকছির এম. চৌধুরী, ক্লাবের আহবায়ক সাংবাদিক রুবেল আহমেদ, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম, পরিবেশ ক্লাবের সদস্য সচিব রকিব উদ্দিন প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, খননের অভাব, ময়লা আবর্জনা আর প্লাস্টিকের বর্জ্য আখাউড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী, হাওড়া নদী, কালন্দি খালসহ বিভিন্ন জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খাল খনন করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃতিকে স্বাভাবিক রাখতে হলে মাটি, পানি এবং বায়ু এই তিনটি উপাদানকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে হবে।
পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সবার। তাই প্লাস্টিক বর্জ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। সবাই মিলে পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে রাসেল মিয়া নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী, শাশুড়ি, স্ত্রীর ভাই-বোনসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে নিহতের মা আরজু বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রাসেল আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের মো. আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন রাসেলের স্ত্রী শামীমা আক্তার (২৬), শামীমার মা হালিমা (৬০), বড় ভাই বেদন ভূঁইয়া (৪৫), সুমন ভূঁইয়া (৪০), রাজন ভূঁইয়া (৩৫), বড় বোন দিপালী (৩০) ও বড় কুড়িপাইকা গ্রামের সুরুজ ভূঁইয়ার ছেলে সাকিন ভূঁইয়া (৩৫)।
৯ জুলাই রবিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেন রাসেল মিয়া।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ বছর আগে শামীমাকে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। তাদের ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু শামীমা নানান জায়গায় বিচরণ করতেন। এছাড়াও একাধিক পর পুরুষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমালাপ ও ব্যভিচারসহ ইত্যাদি অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতেন। স্বামী রাসেলের আদেশ-নিষেধ না মেনে তার খেয়াল-খুশিমত উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করে। শামীমাকে বুঝিয়ে ভালোভাবে ঘর-সংসার করতে অনুরোধ জানালে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদান করতো। বহু চেষ্টা করেও শামীমাকে ভালো পথে ব্যর্থ হয় রাসেল।
রাসেল তাকে বুঝালেও উল্টো শামীমা তার মা, ভাই ও বোনের কু-প্ররোচনায় বিনা অনুমতিতে বাবার বাড়িতে চলে যায়। বাবার বাড়িতে থেকে রাসেলকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কটূকথা ও অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকে। রাসেল মিয়া নিজ সন্তানের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে শামীমার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখে আসছিল। তারপরও রাসেলকে কারণে-অকারণে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে আত্মহত্যা করতে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল। অবশেষে শামীমা, তার মা, ভাই ও বোনের মানসিক নির্যাতনে রাসেল আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী ড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল জানান, রাসেলের মা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে বিচারক ফরহাদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আখাউড়া থানায় এ সংক্রান্ত আর কোন মামলা আছে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে।