অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টারইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম তিনটি শট ঠেকিয়েছেন।
প্রথমার্ধে ভারত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না গোল করে সমতা আনেন। কোনো দল আর গোল করতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ এ। ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ হলো টাইব্রেকারে।
শুরু থেকেই চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে ভারতের মেয়েরা। বাংলাদেশ ছিল এলোমেলো। ভুল পাস ও সমন্বয়হীনতায় শুরুর দিকে ছন্নছাড়া ছিল সাইফুল বারী টিটুর দল। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত।
মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল ঠিকঠাকমতো ডিফেন্স করতে পারেননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বল বের করে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আনুসকা কুমারী। তিনি বাম দিকে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে।
বিরতির বাঁশির দুই মিনিট আগে বাংলাদেশ সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পেয়েছিল। সাথীর কর্নার রুখে দেন ভারতের গোলরক্ষক মুন্নী । তবে ৭০ মিনিটে বদলি অনন্য মুরমু বিথীর কর্নার থেকে গোল করেন বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না।
ইয়ারজান বেগম, অর্পিতা বিশ্বাস, শিউলি রায়, আরিফা আক্তার, সাথী মুনদো, আলপি আক্তার, ক্রানুচিং মারমা (অনন্যা মুরমু বিথি), ফাতেমা আক্তার (মমিতা) ও সুরভী আকন্দ প্রীতি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম (ভাষা সৈনিক শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম) ইয়ং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ বিভাগীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর সি গ্রুপের খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১১৭ রানে বড় ব্যবধানে কক্সবাজারকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি ১ম খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০৮ রানের ব্যবধানে বান্দরবানকে পরাজিত করে।
১৭ জানুয়ারি ২য় খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৬ রানে চাঁদপুর এর কাছে হেরে যায়। সি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নীট রান রেটে ৪র্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২য় সেমিফাইনাল অংশ গ্রহণ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বনাম চাঁদপুর।
২৩ জানুয়ারি ১ম সেমিফাইনালে অংশ গ্রহণ করবে নোয়াখালী বনাম লক্ষীপুর, ২৬ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো খেলা চট্টগ্রামের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গেইম ডেভলপমেন্ট এর আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লীগ ভিত্তিক খেলায় অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন : তপু দত্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান শ্রাবণ (সহ: অধিনায়ক), ইশান বনিক (উইকেট কিপার), সাকিব আল জামান, নুর আলম রাফি, আনাছ, আলিফ, সাদমান, শিমুল, ইয়াছিন আরাফাত, সজিবুর, মাহিন, সাবাব, নওশাদ, সিফাত ও নুর হোসেন কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ম্যানেজার নাজমুল হক ভূঁইয়া সেলিম।
স্পোর্টস ডেস্ক
টানা দ্বিতীয় জয়ে সুপার সিক্স পর্ব নিশ্চিত করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল তারা।
এরপর বল হাতে দারুণ অবদান রাখলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও অন্য বোলাররা। আর তাতেই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের যুবারা।
২০২৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ ১২১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্লুমফন্টেইনে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯১ রান সংগ্রহ করে তারা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রকে ১৭০ রানেই অলআউট করে দেন বাংলাদেশের বোলাররা।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য স্বস্তির ছিল না। দলীয় ২৯ রানেই ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিকের (১৩) উইকেট হারায় তারা। এরপর অবশ্য আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি লড়াই চালিয়ে চান চৌধুরী মো. রিজওয়ানকে নিয়ে। তাদের জুটি বড় হওয়ার আগেই অবশ্য বিদায় নেন শিবলি (২৭)।
শিবলির বিদায়ের পর রিজওয়ান ও আরিফুল মিলে ভালো জুটি গড়েন। সেই জুটিও ভাগে দলীয় ১০০-এর আগেই। ৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস আসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তবে এরপর বিপদ হতে দেননি আরিফুল ও আহরান। দুজনের ১২২ রানের জুটিই বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয়।
আহরার ফেরেন ৪৯ বলে ৪৪ রান করে। আর আরিফ খেলেন ১০৩ বলে ৯ চারে সাজানো ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। এছাড়া লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি খেলেন ১৭ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
বল হাতে যুক্তরাষ্ট্রের বোলার আর্য গার্গ ৩টি এবং আরিন নাদকার্দি নেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র সুবিধা করতে পারেনি শুরু থেকেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। ওপেনার প্রান্নাভ ছেত্তিপালায়াম ও উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ছাড়া বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেননি দলটির অন্য ব্যাটাররা। প্রান্নাভ ৫৭ রান করতে খেলে ফেলেন ৯০ বল। আর ৪৯ বলে ৩৭ রান করেন উৎকর্ষ। কিন্তু আর কেউ তাদের সঙ্গ দিতে না পারায় বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
বল হাতে বাংলাদেশ দলের রাব্বি ১০ ওভারে ৩১ রান খরচে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন, শেখ পারভেজ জীবন, রাফি উজ্জামান রাফি, এবং আরিফুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। বাংলাদেশের জয়ে গোল করেছেন আকলিমা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পায় বাংলাদেশ। রিপার বাড়ানো পাসে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন আকলিমা খাতুন। এরপর ম্যাচের ১৩ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে ব্যবধান দিগুণ করে বাংলাদেশ। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। ২৪ মিনিটে কর্নার থেকে থেকে গোল করে ব্যবধান কমান নেপালের মানমায়া দামাই।
প্রথমার্ধে শামসুন্নাহার আঘাত পাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে তাকে ছাড়াই নামে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে না পারায় তার বদলে আইরিনকে নামান কোচ। বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে শুরু থেকেই। তবে সেসব চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। নেপালি রক্ষণ সেসব সামলেছে ভালোভাবেই। অন্তিম সময়ে এসে দলের ব্যবধান বাড়িয়ে স্বস্তি দিয়েছে শাহেদা আক্তার। এতে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
এ জয়ে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাফ পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। দিনের প্রথম ম্যাচে ১২ গোলের ব্যবধানে জেতা ভার এখন আছে টেবিলের চূড়ায়। আগামী রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপ চলাকালীন ক্রিকেটার নাসুমকে চড় মারার ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার ডাকযোগে এবং ই-মেইলে এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান এটি পাঠিয়েছেন। এতে দোষ প্রমাণ হলে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাথুরু সিংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বিসিবিকে।
এছাড়াও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছেন। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি রবিবার থেকে এ তদন্ত শুরু করে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বানভাসিদের জন্য এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রভাবশালী অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলও।
অভিনেতা ডিপজল বরাবরের মতো এবারও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও ফেনীতে ট্রাকে করে তার টিম ত্রাণ বিতরণ করেছে। নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে।
ডিপজলের পাঠানো ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, চিড়া, গুড়, স্যালাইন, লাইটার, মোমবাতি, লুঙ্গি, শাড়িসহ প্রয়োজনীয় পণ্য। ডিপজলের এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন তার সহকারী ফয়সাল।
তিনি বলেন, ‘ডিপজল সাহেব আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুরো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার। আমরা তার নির্দেশমতো দিন-রাত পরিশ্রম করে পণ্য প্যাকেট করে ট্রাকে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।’ যতদিন প্রয়োজন ততদিন বন্যার্তদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যেকোনো দুর্যোগে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যায় সবসময়ই পাশে দাঁড়ান ডিপজল। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমার সময় সময় শত শত বাস বিনাভাড়ায় মুসল্লিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন এই অভিনেতা। এ ছাড়া সারাবছরই চলচ্চিত্রে বেকার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন তিনি। ফলে চলচ্চিত্রে দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডিপজল।
এর আগে, ২০২২ সালেও সিলেটের সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার সময় দুর্গত এলাকায় দশ ট্রাক পণ্য পাঠিয়েছিলেন ডিপজল। বরাবরই দেশের দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই অভিনেতা।