চলারপথে রিপোর্ট :
চার-পাঁচ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএসও’কে শক্তিশালী করতে মিতালী উপলব্ধি ও মেঘনা নামক তিন স্বেচ্ছাসেবক সংঘটনকে নিয়ে পিফরডি প্রকল্পের সহায়তায় মাঠে কাজ শুরু করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। ৩ বছর কাজ করার পর জেলা শহরে গড়ে ওঠে ‘জেলা পলিসি ফোরাম’ (ডিপিএফ)। এক সময় প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ শেষ হলেও থামেনি ডিপিএফ। নিজস্ব ও স্থানীয় দাতাদের অর্থায়নে দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে নানা সামাজিক কর্মসূচি। এসব কাজে বরাবরই ‘র্যাপ’-এর সহায়তা উল্লেখযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ডিপিএফ’র উদ্যোগে ও ‘র্যাপ’ নামক এনজিও’র আর্থিক সহায়তায় দিন ব্যাপি ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে উঠান বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হয় জেলার চান্দুপুর ইউনিয়নের দু-বাড়িয়ায়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। সূত্র জানায়, দু-বাড়িয়া গ্রামের র্যাপ এনজিওটি মানবিক ও সামাজিক কাজে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। র্যাপ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ভূইয়াও ডিপিএফ-এর সদস্য। ‘বাল্যবিয়েকে না বলি, ঘৃণা করি’ এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারীরা জড়ো হতে থাকে ‘র্যাপ’ অফিসের সামনে। সকাল ১১টার দিকে কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ হয় স্থানটি। অজপাড়া গায়ের দেড় শতাধিক নারীর উপস্থিতির ওই বৈঠকে ছুটে আসেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক। র্যাপ ও ডিপিএফ ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন তাঁকে।
ডিপিএফ’র সদস্য এস.এম শাহিনের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিএফ’র সম্পাদক মো. শরীফ উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্পের সাবেক ডিএফ খোদেজা বেগম, সদস্য মোহাম্মদ মাহবুব খান, মো. আশিকুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির, র্যাপ-এর সদস্য শেফালি বেগম ও জেসমিন আক্তার।
গ্রামীণ পরিবেশে কর্মব্যস্থতার সময়েও মহিলাদের মিলনমেলায় অভিভূত হয়ে পড়েন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। তিনি অত্যন্ত সাবলিল, শ্রুতিমধুর, সহজ-সরল ও হাস্যরসে ভরা ভাষার বক্তব্যে স্বল্প সময়ে মাতিয়ে তুলেন উঠান বৈঠককে। তিনি নিজের মেয়েকে পুত্রবধূ ও পুত্রবধূকে নিজের মেয়ে ভেবে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথি বাল্যবিয়ের কুফল গুলো সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, শিশু ও কিশোরীকে বিয়ে না দিয়ে শিক্ষিত করুন। ফলে সে পরিবার, গ্রাম, দেশ ও জাতীর জন্য সম্পদে পরিণত হবে। আপনার ছেলে মেয়েকে মাদক থেকে দূরে রাখুন। কারণ একটি পরিবারকে চিরতরে ধ্বংস করতে একজন মাদকসেবীই যথেষ্ট।
সরাইল উপজেলায় একটি অটোরিকশার গ্যারেজে ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) এলাকায় আটোরিকশার গ্যারেজে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মৃত আমির খানের ছেলে। সে পেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) সুমন মিয়ার রিকশার গ্যারেজে তার রিকশার ব্যাটারিতে চার্জ দিতে যায়। এ সময় গ্যারেজে পরে থাকা বিদ্যুতের তার অসাবধানতাবশত জহিরুল ইসলামের বাম পায়ে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী জীবন মিয়াসহ কয়েকজন লোক মিলে তাকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোহাগ রানা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জাল টাকার নোটসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ভূঁইশ্বর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে ৭২ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার ভূঁইশ্বর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (৩০) ও অরুয়াইলের আলী হোসেনের ছেলে মো. ইমন মিয়া (২৩)।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬০ পিস ইয়াবাসহ কুখ্যাত ডাকাত, আটটিরও অধিক মামলার আসামি মোঃ মোস্তফা (৪০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ মার্চ মঙ্গলবার গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সরাইল থানার এসআই কবির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স’সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোস্তফা মৃত ধন মিয়ার ছেলে।
অপরদিকে, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সরাইল থানার এসআই কবির হোসেন, এএসআই লুৎফুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া যাত্রী ছাউনি হতে যাত্রী বেশি অবস্থান করা হৃদয় মিয়া (২৪), পিতা হান্নান মিয়া, সিঙ্গারবিল, রোকসানা বেগম (২৩) স্বামী-মইন উদ্দিন কাশিনগর, উভয় থানা-বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়াদের সন্দেহ হলে তল্লাশি করে তাদের দখল ও হেফাজত হতে ৩০ পিস স্কপ সিরাপসহ আটক করা হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল হাসান গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশের চলমান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।