চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ফারুক মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ মার্চ শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলার হোমনা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফারুক মিয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া উত্তর হাটির মৃত শাহজাহান মেম্বারের ছেলে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১২ বছরের ওই শিশু তার বান্ধবীর নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে বের হয়ে সে পথ হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া তাকে পথ দেখিয়ে দেবে বলে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যান। পরে সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার পরিবারকে ঘটনাটি জানালে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে কে বা কারা বিষয়টি ছড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের নজরেও আসে। পরে শনিবার নিপীড়নের শিকার শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার হোমনা থেকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার আসামি ফারুককে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক মামলা চলমান রয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।
অনলাইন ডেস্ক :
বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ইয়াশা সোবহানের নিজস্ব তহবিল থেকে বাঞ্ছারামপুরে পাঁচ দিনব্যাপী অসহায়, ভিক্ষুক, মাদরাসা ও এতিমখানা শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। গত ২৬ ডিসেম্বর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় দুর্গারামপুরে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কম্বল বিতরণের আগে আল-আমিন হাফিজিয়া মাদরাসার মাওলানা হাফেজ মো. মহিউদ্দিনের আয়োজনে বসুন্ধরা গ্রুপ পরিবারবর্গ ও দেশবাসীর জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার প্রমুখ।
উপস্থিত আছাদনগরের দুটি মাদরাসা ও দুর্গারামপুরের দুটি মাদরাসার এতিম ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই কম্বল। পর্যায়ক্রমে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক ৬০টি মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই হাজার ৫০০ কম্বল পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে রয়েছে বাঞ্ছারামপুরের ৫৬টি মাদরাসা, হোমনার তিনটি মাদরাসা এবং নবীনগর উপজেলার একটি মাদরাসা। পাশাপাশি বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষুক, অন্ধ ও পথচারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই শীতবস্ত্র।
কম্বল পেয়ে পথচারী প্রতিবন্ধী ইসমাইল (৬৫) বলেন, ‘হাটতা পারি না, রাস্তার দারে বইয়া বইয়া ভিক্ষা করি। এই কম্বলডা এত শীতে অনেক কামে লাগব। আল্লাহর কাছে যারা দিছে তাগু লাগি দোয়া করি।’
আছাদনগর মাদরাসার এতিমখানার ছাত্র জুনাইদ (৭) বলে, ‘ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা শুরু করি।
অনেক শীত, এই কম্বলটা অনেক কাজে লাগবে। বসুন্ধরার মালিকদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।’
হাফেজ মো. সাজিব (১০) বলে, ‘আমাদের মাদরাসার এতিমখানার সকল ছাত্র কম্বল পাইছে। এখন আর কেহর শীতের কারণে পড়ালেখা সমস্যা হবে না। আমরা সবাই একসাথে আল্লাহর কাছে দোয়া করমু, যাতে মালিকপক্ষ সবাই ভালো থাহে।’
হোমনার হরিপুর মার্কাযুল জিকির মাদরাসার ছাত্র ইমরান (৮) বলে, ‘বাঞ্ছারামপুর থেইকা আইসা আমাদের হোমনায় বসুন্ধরা গ্রুপের লোকেরা কম্বল দিয়া গেছে। এই শীতে আমরা কম্বলডা গায় দিয়া বেশি কইরা পরতা পারমু। আল্লায় হগলেরে ভালো রাহুক।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এক হাজার ২০০ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিনব্যাপী বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজ ও বসুন্ধরা আই হসপিটাল এবং ভিশন কেয়ারের যৌথ উদ্যোগে এই সেবা দেওয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নানা বয়সী লোকজন এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি এলবার্ট, ডা. আকতার ফেরদৌসী জাহান ও অপটোমেট্রিস্ট রুবেল রানাসহ ১২ জনের একটি দল চিকিৎসাসেবা দেয়।
বসুন্ধরা আই হসপিটালের ক্যাম্প অর্গানাইজার মো. আবু তোয়াব জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১২০০ রোগী দেখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে চোখ পরীক্ষা করে চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। যাদের চোখে ছানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের বিনামূল্যে অপরেশনের জন্য ঢাকার বসুন্ধরা আই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে।
চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধা রেজিয়া বেগম বলেন, স্বামী মারা গেছে চার বছর হয়েছে। আমার ছেলে সন্তান নেই। শুধু পাঁচটা মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার। ডান পাশের একটি চোখ একেবারে অন্ধ হয়ে গেছে। বাম চোখে ঝাপসা দেখি। এত টাকাও নেই যে, শহরে গিয়ে চিকিৎসা করাবো। আজকে আমাদের গ্রামে চোখের ফ্রি চিকিৎসা পাওয়াতে আমার অনেক উপকার হইছে। তাদের নিজ খরচে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বসুন্ধরা হসপিটালে চোখের ছানির ফ্রি অপারেশন করে দিবে। এমন না হলে আমার চোখের চিকিৎসাই হইতো না।
নিখরচে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুর রহমান বলেন, দিনমুজরের কাজ করে সংসার চালাই। দিন দিন বয়সও বাড়ছে। এখন চোখে তেমন দেখি না। জেলার বাইরে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই। এখানে চক্ষু ক্যাম্পে চোখের পরীক্ষা করেছে। প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দিয়েছে ফ্রিতে।
চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন বলছেন, মেঘনা নদীর পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত বাঞ্ছারামপুরের সাধারণ মানুষ নিজেদের হাতের নাগালে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। ঘরে বসে সেবা পাওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় গিয়ে বিনামূল্যে অপারেশনের আশ্বাসে তারা মহাখুশি।
রোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজের যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ মোমিন বলেন, বাঞ্ছারামপুরের প্রান্তিক যেসব মানুষ অর্থাভাবে শহরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন না, তাদের দোরগোড়ায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল। তারা এই কার্যক্রম অব্যহত রাখলে আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই গ্রামের মানুষকে সেবা দিয়ে যাবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৬৭তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে এভাবে ঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণের অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, কালেরকণ্ঠ শুভ সংঘের পরিচালক মো. জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো, চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. আমির হোসেন আনোয়ার, অফিসার মো. শাহজাহান, আলমগীর হোসেন, মুজিবুর রহমান, মো. অলি উল্লাহ, মো. কবির হোসেন ও মো. বাছির মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইমদাদুল হক মিলন বলেন, পৃথিবীর কোথাও সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয় বলে আমার জানা নেই। মানুষের কল্যাণের জন্য এভাবে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করছে বাংলাদেশের সুনামধন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। মানুষের কল্যাণ হউক এইটাই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চিন্তাধারা।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের এই ঋণ দিয়ে সচ্ছল করে তোলাই একমাত্র লক্ষ ও উদ্দেশ্য। অর্থনীতির মূল ধারায় বরাবরই অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা, সেসব তৃণমূল মানুষকে সামনে এগিয়ে নিতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। বাংলাদেশে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ একটি মডেলের নাম। এভাবে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যদি বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের মতো গরিব লোকদের কাছে এগিয়ে আসতেন, তাহলে হয়ত হতদরিদ্র লোকগুলো অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে উঠতে পারতেন।
সভাপতি ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ক্লান্তিকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
সেখানে উপস্থিত সব মা-বোনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই ঋণের টাকা দিয়ে যাতে অসামাজিক ও অবৈধ কোনো ব্যবসায় কাজে বিনিয়োগ না করা হয়। আজ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ৩৪৪ জন হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোক বসুন্ধরা গ্রুপের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ পেয়ে ৩৩টি স্কিমের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এর জন্য দোয়া চান যাতে করে বসুন্ধরা গ্রুপ সব অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের সেবা করতে পারে।
তিনি আরও জানান, সোমবার ৪৩১জন উপকারভোগীর মাঝে ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৮৭ জনের প্রত্যেককে ১৫ হাজার করে ২৮ লাখ ৫ হাজার, দ্বিতীয় ধাপে ২৪৪ জনকে ১৫ হাজার করে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই ঋণ শুধু নারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর মাধ্যমে তারা হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল এবং শাক-সবজি চাষসহ ৩২ ধরনের কাজে এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে উপকার পাচ্ছেন। ২০০৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। এই ঋণের পরিধি প্রথমদিকে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা পার্শ্ববর্তী উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে।
বাহেরচর গ্রামের নার্গিস আক্তার (৪০) বলেন, ৫ হাজার টাকার ঋণ পেয়ে দুইডা ছাগল কিন্না এহন বেশি হইতে হইতে প্রায় ২ লাখ টাকার ছাগল বেচ্চি। বসুন্ধরা আমারে ৩ বার টেহা দিছে। বসুন্ধরার হগল মালিকগনের লাইগা দোয়া করি আল্লায় যেন ভালো রাহে।
কমুলপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী ফুল মালা (৪০) জানান, আমার জামাই মাছের ব্যবসা করেন। আমি বসুন্ধরার ঋণের টাকা আমার জামাইয়ের কাছে দিয়ে মাছের ব্যবসায়ে লাগিয়েছি। এখন আমরা লাভে আছি।
দূর্গারামপুর গ্রামের রুপা (৩২) বলেন, আমি এই টেহা নিয়া সেলাই মেশিন কিনছি। আমি এবং আমার মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে হেইডা চালাই। যা দিয়া আমার পরিবারের খাওনের চাহিদা মিডাইয়া মাইয়ার মাদরাসার পড়ালেহার খরচ জোগাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
তৃতীয় দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এরমধ্যে আশুগঞ্জ উপজেলায় ৮জন এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৩জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হানিফ মুন্সী, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ আনিসুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক সভাপতি মোঃ আবু আসিফ আহমেদ, উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল করিম খাঁন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ শাহবুদ্দিন। আশুগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যানপদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৮জনের মধ্যে একজন হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বাকী ৭জন হলেন আওয়ামী ঘরনার।
এছাড়াও আশুগঞ্জ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারিরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম ও এ.বি.এম আলী কাউছার।
এছাড়াও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোননয়নপত্র দাখিল করেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা পপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ২৯ মে ওই দুই উপেজলায় ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।