চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ফারুক মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ মার্চ শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলার হোমনা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফারুক মিয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া উত্তর হাটির মৃত শাহজাহান মেম্বারের ছেলে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১২ বছরের ওই শিশু তার বান্ধবীর নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে বের হয়ে সে পথ হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া তাকে পথ দেখিয়ে দেবে বলে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যান। পরে সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার পরিবারকে ঘটনাটি জানালে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে কে বা কারা বিষয়টি ছড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের নজরেও আসে। পরে শনিবার নিপীড়নের শিকার শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার হোমনা থেকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার আসামি ফারুককে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক মামলা চলমান রয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ, গুজব, অপপ্রচার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসললামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ভিকারুন নেছা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, জাতির জনক সারাজীবন বাঙ্গালীর অধিকার আদায় ও সেবার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। লক্ষ্য ছিল বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) ঐচ্ছিক তহবিল থেকে অনুদান প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলার মাটিতে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন তার বিকল্প আর বাংলাদেশে কেউ-ই হতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে পূর্বের ন্যায় জনগণ ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচিত করে দেশের উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য সুযোগ করে দেবেন। জনগণই আমার শক্তি, আমি জনগণের সেবক।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আমির, ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র মো. তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র মন্ডল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, স্বেচ্ছাসবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, এদেশের মাটির মালিক দেশের জনগণ, ক্ষমতায় আসতে হলে জনতার কাছে যেতে হবে। প্রবাসে বসে আর টকশোতে কথা বলে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। জাতির জনকের কথায় রক্ত দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। আর তারই সুযোগ্য কন্যা মামনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে দেশ।
তিনি আরো বলেন, ১৫, ২১ আগষ্ট যারা ঘটিয়েছে তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়, কিন্তু ষড়যন্ত্রে তারা নাম্বারে এক। আগামী নির্বাচনে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে জনগণ ভোট দিবে না, জনগণ শেখ হাসিনাকেই আবার নির্বাচিত করে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসিন করবে।
আজ ২১ আগস্ট সোমবার বাঞ্ছারামপুর ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ২১আগষ্ট গ্রেনেড হামলার আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মহি উদ্দিন আহমেদ মহি, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুুুবুর রহমান উজ্জল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৩৬ বছর পুলিশে চাকরি করে অবসরে গেলেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার কনস্টেবল সুলতান আহম্মদ। তার বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। ফুলে ফুলে সজ্জিত গাড়িতে চড়িয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর থানা থেকে আখাউড়া উপজেলার ধরখার গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় সুলতান আহম্মদকে। এর আগে ২ আগস্ট বুধবার রাতে বাঞ্ছারামপুর থানায় তাকে ফুল দিয়ে বিদায় জানানো হয়। কর্মজীবন শেষে এমন আয়োজনে মুগ্ধ তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল সুলতান আহম্মদ জানান, চাকরিতে যোগদানের আগে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কিন্তু বিদায়ের বেলায় তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকে না। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে এভাবেই বিদায় জানানো হোক। এ সময় তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম বলেন, এসপি স্যার এমন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন। এটা এসপি স্যারের উদ্যোগেরই একটা অংশ। বুধবার রাতে তাকে (সুলতান আহম্মদ) ফুল বিদায় জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ফুলসজ্জিত গাড়িতে করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিদায়বেলায় অনেকের মন ভারাক্রান্ত থাকে। তিনি যেন আনন্দ ও হাসি মুখ নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারেন তার জন্যই এই আয়োজন। বিদায়বেলায় তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমরাও আনন্দিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখা অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৩ টায় সোনারামপুর বাজার হাজী সিদ্দিক মার্কেটে অফিস উদ্বোধন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারী মো: আল মামুনের সঞ্চালনায় জামায়াতে ইসলামি সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নাজমুল আলম আরিফ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আমীর মাওলানা কাজী আবুল বাশার, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আলাউদ্দীন সাদী, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য শামীম নূর ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাহজাহানপুর ওয়ার্ড সভাপতি মাসুদুর রহমান, ওয়ারী ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: মো: ইসমাইল, উপজেলা ইসলামি ছাত্র শিবির সেক্রেটারী সোহেল আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: শাহ আলম, মো: লিটন মিয়া, মো: মতিউর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সোনারামপুর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন, জামায়াত কর্মী আনিসুর রহমান, মো: আলমগীর মাস্টার, মো: মমিন মাস্টার ডা: শফিক, ডা: রফিকুল ইসলাম, ডা: মফিজুল ইসলাম, ডা: আবুল হোসাইন, মো: ইউনূস বিন রমজান, রুবেল মিয়া, অনিক, সেলিম, মো: ইদ্রিস, মো: জালাল উদ্দিন, জুবায়ের ফয়সাল, মো: ইসমাইল, মো: আবদুল জব্বার, আবু হানিফ, মনির হোসেন, আবুল কালাম, আল মামুন, রাসেল আহমেদ, হাবীব, দ্বীন ইসলাম, আবু হানিফ প্রমুখ।