চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অর্ধ শতাধিক দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর সমাজ কল্যাণ যুব পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় মাদরাসা মাঠে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ মতিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দূরবাজ রবিদাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এন. এস কবির পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রমজানুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসয় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রাজেন্দ্রপুর যুব পরিষদের কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ রুকন উদ্দিন লিটন, সহ-সভাপতি মামুন মিয়া, ইউপি সদস্য মুছা মিয়া, সদস্য মেম্বার আনু মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মুড়ি, খেজুর, ছোলা বুট, তেল, পেঁয়াজ, মুসরি ডাল, লবন ইত্যাদি।
বক্তারা রাজেন্দ্রপুর সমাজ কল্যাণ যুব পরিষদের মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। যার যার সাধ্যমত গরীব-দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য, কসবা-আখাউড়া আসনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী কবির আহমেদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, সাবেক অবৈধ আইন মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক ও তার দোসররা আখাউড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। মামলা-হামলা দিয়ে বহু নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছে। আনিসুল হক ও তার দোসরদের বাঁধার কারণে বিএনপির সম্মেলন করতে পারিনি। রক্তপাত এড়ানোর স্বার্থে আমরা তখন সম্মেলন থেকে সরে আসি। ৫ আগষ্টের পর স্বাধীন রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি আখাউড়ার ইতিহাসে একটি নজির বিহীন সফল সম্মেলন করতে পারবো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সম্মেলনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও কেন্দ্র ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর বুধবার (২৭ নভেম্বর) আখাউড়ায় উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসের ২৯তারিখ সর্বশেষ আখাউড়ায় বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকএর ৪টি পদে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হলেন বর্তমান আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেন বর্তমান সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া ও সদস্য সচিব প্রার্থী মোঃ আক্তার খান। সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করাহয়েছে। সম্মেলনেপ্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক উপস্থিত থাকবে বলে আশা করছে দলটির নেতারা। পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সভাপতি প্রার্থী মোঃ সেলিম ভূইয়া বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বত:স্ফূর্ত ভাবে সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করবে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের পর কসবা-আখাউড়ার গণমানুষের নেতা জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমেদ ভূইয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উৎসব মুখর পরিবেশে বিএনপির সম্মেলন করতে যাচ্ছি। একটি সেরা সম্মেলন করতে পারবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিল আখাউড়া উপজেলা। ওই দিন সড়ক বাজারের পোস্ট অফিসের সামনে উড়ানো হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের লাল সবুজের পতাকা। আখাউড়া মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হতে শুরু করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দুইদিন ব্যাপি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আনন্দ র্যালি বের করা হবে। র্যালি শেষে পোস্ট অফিসের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হবে।
আখাউড়ার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৩০ ডিসেম্বর ও ১ ডিসেম্বর উপজেলার আজমপুর ও রাজাপুর এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। ৩ ডিসেম্বরের যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত ও মুক্তিবাহিনীর দুইজন শহীদ হন। ৪ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী মিলে আখাউড়ায় আক্রমন শুরু করে। ওই দিন আজমপুরে শহীদ হন লেফটেন্যান্ট ইবনে ফজল বদিউজ্জামান। ৫ ডিসেম্বর দিন ও রাতের যুদ্ধে শত্রুমুক্ত হয় আখাউড়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে অবৈধভাবে গোপনকক্ষে গিয়ে অন্য ভোটারের ব্যালট পেপারে সিল মারার দায়ে মাহবুব মিয়া (৩৮) নামে এক পুলিং এজেন্টকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি মাইক প্রতীকের এজেন্ট ছিলেন।
এসময় ভোট কক্ষে দ্বায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল আলীকে নির্বাচনের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার এ ঘটনা ঘটে। এক ভোটারের ভোট জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য প্রতীকে দেওয়ায় দণ্ডবিধির ১৭১-চ ধারায় ০৭ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে হাফিজুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে আখাউড়া- কুমিল্লা রেল সেকশনের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে রেল সেতুর ওপর থেকে তার দ্বিখন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। নিহত হাফিজুল আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বনগজ গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেনে কাটা মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই পুলিশ। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন শিকদার জানান, ধারণা করা হচ্ছে সেতু পার হওয়ার সময় আখাউড়া-কুমিল্লা রেলপথে চলাচলকারী রাতের কোনো এক ট্রেনে কাটা পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।