বিশ্ব গ্লকোমা দিবস আজ

জাতীয়, 12 March 2024, 792 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
মানুষের চোখের অন্ধত্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে গ্লকোমা। তবে গ্লকোমা কোনো একটি মাত্র অসুখ নয়। এটি আসলে চোখের অনেক সমস্যার একটি সমষ্টি। যার ফলে চোখের মধ্যে থাকা এবং দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ মুহূর্তে দেশে গ্লকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৫০ হাজার। গ্লকোমা সাধারণত দুই চোখে একসঙ্গে হয়।

banner

উপসর্গ
রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন উপসর্গ না থাকায় রোগী বুঝতে পারেন না যে তিনি ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পরে রোগীরা বুঝতে পারেন।
এই রোগের প্রথম উপসর্গটি হলো পার্শ্ববর্তী দৃষ্টি প্রায় হারিয়ে ফেলা। এ ছাড়া—

✍ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া।
✍ চোখে ঝাপসা দেখা বা আলোর চারপাশে রংধনুর মতো দেখা।
✍ ঘন ঘন মাথা ব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।

✍ দৃষ্টিশক্তি কমে আসা বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যপ্তি কমে আসা।
✍ কম আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
✍ চোখে লাল ভাব।
✍ বমি বমি ভাব এবং বমি করা।

কারণ
এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও চোখের উচ্চচাপ এই রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে চোখের স্বাভাবিক চাপেও কিন্তু এই রোগ হতে পারে। পরিবারের অন্য কোনো নিকট আত্মীয় যেমন মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, চাচা, মামা, খালা বা ফুপুর এই রোগ থাকলে, চল্লিশের বেশি বয়স হলে কিংবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, স্টেরয়েড নামক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে, চোখে ছানি অপারেশন না করলে বা করতে দেরি হলে অথবা জন্মগত চোখে ত্রুটি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

চিকিৎসা
✍ চোখে ড্রপ ব্যবহার করা।
✍ মুখে ওষুধ সেবন করা।
✍ লেজার থেরাপি।
✍ সার্জারি।

প্রতিরোধ
✍ নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করুন।
✍ আপনার পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি এবং যাঁদের গ্লকোমার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাঁদের প্রতি এক থেকে দুই বছর অন্তর চক্ষু বিশেষজ্ঞের দ্বারা চোখ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
✍ জিংক, কপার, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন এ, ই, সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন : শাক-সবজি।
✍ কফি পানের পরিমাণ কমাতে হবে।
✍ একবারই বেশি করে পানি খাওয়া যাবে না বরং অল্প পরিমাণ পানি বারবার খেতে হবে।
✍ শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
✍ চোখের প্রেসার বেশি থাকলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
মনে রাখবেন, গ্লকোমার কোনো প্রতিকার নেই, প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

তরুণী দিয়ে ফাঁদ, ছবি তুলে ৩০ লাখ টাকা আদায়

জাতীয়, 4 May 2024, 648 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লায় তরুণী দিয়ে ফাঁদ পাতা হতো। প্রেমের অভিনয় করে নিয়ে যেতো কোনো বাসায়। শারীরিক সম্পর্কের ছবি তুলে রাখা হতো। সেই ছবি দেখিয়ে খালি স্ট্যাম্পে সই রাখা হতো। ভুয়া পুলিশ ও সাংবাদিক সেজে ভয় দেখানো হতো। এভাবে কুমিল্লা শহরতলীর এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আদায় করেছে একটি চক্র।

banner

আজ ৪ মে শনিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ভুয়া পুলিশ ও সাংবাদিক সেজে এক নারী সদস্যকে দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রবাসীর বাবার নিকট থেকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এই অভিযোগে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
তারা হচ্ছেন-কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সুবর্ণপুর গ্রামের ভুয়া ডিবি পুলিশ সৈয়দ আয়াতুল্লাহ (৩৭), বালুতোপা গ্রামের কবির হোসেন (২৮), একই গ্রামের ভুয়া ডিবি সদস্য ইমরান হোসেন (৪০), বরুড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের ভুয়া সাংবাদিক মোজাম্মেল হক (৩৬), গালিমপুর গ্রামের আবদুর রহিম (৪২), লাকসামের বিজরা গ্রামের শাখাওয়াত হোসেন (২৮) ও চান্দিনার কেশরা গ্রামের তাসনুবা আক্তার (২৩)।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে শুক্রবার রাতে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্ট্যাম্প, তার স্বাক্ষরিত সাতটি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনে থোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান রাফি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া।

ঈদের দিন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 19 April 2023, 1537 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানটি হবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে।

banner

ওই দিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সকাল ১১টায় বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সমমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও মহামারি করোনার কারণে তিন বছর ধরে এ আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছিল।

করোনার আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে ঈদুল আজহার দিন গণভবনে সরাসরি সর্বস্তরের জনগণ ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে সেই সময় থেকে সরাসরি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়নি সরকারপ্রধানের।

সচিবালয়ে আনসারদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

জাতীয়, 25 August 2024, 508 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। আজ ২৫ আগস্ট রোববার রাত সাড়ে ৯টায় সচিবালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

banner

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লাহ মাহফুজ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, উপদেষ্টা নাহিদ ভাইসহ হাসনাত ও সার্জিস ভাইকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা। আমরা সবাই মিলে সচিবালয়ে মার্চ করে তাদেরকে মুক্ত করে নিয়ে আসব। সবাই যোগ দিন, বিষয় সবাইকে অবগত করুন, অতীব জরুরি।

ভাসুরের বটির কোপে কবজি হারালেন গৃহবধূ

জাতীয়, 9 February 2024, 812 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সিদ্ধিরগঞ্জে সহোদর ভাই-বোনদের সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ভাসুর মানিক মিয়ার ধারালো বটির কোপে সাবিনা নামে ভাইয়ের স্ত্রীর হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

banner

চুলায় রান্না ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে মধ্য সানারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।

আহতরা হলেন ওমর মিয়ার স্ত্রী সাবিনা, বোন চাঁদনী ও ইতি। কবজি বিচ্ছিন্ন সাবিনাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে পঙ্গু হাসপতালে নিয়ে গেলেও অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে ভর্তি না করায় তাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।

গৃহবধূর কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর জানান, এ ঘটনায় মানিক মিয়া (৪০) ও তার ছোট ভাই সুমন মিয়ার স্ত্রী ফাতেমাকে (৩২) গ্রেফতারা করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মধ্য সানারপাড় এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মানিক মিয়া, সুমন মিয়া, ওমর মিয়া, জুবায়ের মিয়া, সুজন মিয়া, বোন চাঁদনী, সুনিয়া ও ইতির মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পৈতৃক বাড়ি থেকে ৩ ভাই ও ৩ বোনকে বঞ্চিত করে ভোগদখল করতে চায় মানিক ও সুমন। এ নিয়েই মূলত বিরোধ শুরু। তবে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চরম রূপ নেয় অবিবাহিত বোন ইতিকে নিয়ে। কেউ তার ভরণ পোষনের দায়িত্ব নিতে চায় না। তবে সৌদি প্রবাসী জুবায়ের মিয়ার দেওয়া অর্থ ও টিউশনি করে ভরণ পোশন ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন ইতি। ইতিকে নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত। জানতে চাইলে আহত ইতি বলেন, আমার বড় ভাই মানিক মিয়া ও সুমন মিয়া আমাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না। আমার হাত খরচ বাবদ কিছু খরচ দেয় সৌদি প্রবাসী ভাই জুবায়ের। মাঝে মাঝে ভাই ওমর মিয়া খোঁজ খবর নেয়। তবে তার অর্থিক অবস্থা ভাল না। শুক্রবার দুপুরে গ্যাসের চুলায় সাবিনা ভাবী আমার জন্য খাবার রান্না করতে গেলে বড় ভাবী ফাতেমা গালাগালি শুরু করেন। তখন আমি ও বোন চাঁদনী প্রতিবাদ করলে বড় ভাই মানিক, সুমন ও ভাবী ফাতেমা আমাদের দুই বোনকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায় মানিক ভাই ধরালো বটি দিয়ে আমাকে লক্ষ করে কোপ দেয়। তখন সাবিনা ভাবী কোপ প্রতিহত করতে গিয়ে তার হাত কবজি পর্যন্ত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই হুমায়ূন কবির বলেন, তারা ভাই বোনদের মধ্যে আগে থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে চুলায় রান্নাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ভাসুর। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

জাতীয়, 12 January 2024, 903 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত এখন জেলার মানুষদের কাঁপিয়ে তুলছে। দিনভর সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।

banner

এমন পরিস্থিতিতে শীতের দাপটে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের। একই সঙ্গে দিন দিন বেড়েই চলেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাই। প্রতিনিয়ত বয়স্ক থেকে শুরু করে নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলে নিজেদের আরো সচেতন হতে হবে।

আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে দুজন করে রোগী। ৮টি বেডের বিপরীতে মেঝেতেসহ মোট ২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই ওয়ার্ডে। তারা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের কেউ জ্বর, ঠাণ্ডা, আবার কেউ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা। ভর্তিকৃত রোগীদের কিছুটা উন্নতি হলেও প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছেন নতুন নতুন রোগী। এতে করে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ২০-২৫ জন রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন থেকে এমন পরিস্থিতি চলছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব হাসপাতালের চিত্র এখন একই রকম। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্কদের তুলনায় উদ্বেগজনক হারে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় পরানো, ঘন ঘন মায়ের দুধ সেবন করাসহ তাদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।