বিজয়নগরে পিকআপ ভ্যান চাপায় অটোরিকশা যাত্রী নিহত

বিজয়নগর, 13 March 2024, 849 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পিকআপ ভ্যানের চাপায় জয়নাল মিয়া (২৬) নামে এক সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছে।

banner

আজ ১৩ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার শশই নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল উপজেলার আনন্দ গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আরো এক যাত্রী আহত হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাসড়কের শশই নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে জয়নাল মিয়া নিহত হয় এবং আরেক জন আহত হয়।

সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোল্লা সালাউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

বাড়ির উঠানে ফেলে শাশুড়ি-পুত্রবধূকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

বিজয়নগর, 11 February 2024, 860 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বাড়িতে ঢুকে উঠানে ফেলে শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।

banner

১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় দুই নারীকে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুরুতর আহতরা হলেন-ওই এলাকার নাসির মিয়ার স্ত্রী শিবলি বেগম (৪৫) এবং আকাশ মিয়ার স্ত্রী শারমিন (২২)। এই ঘটনায় রাবেয়া নামের আরও এক কিশোরীকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নাসির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতাম। গত দুইমাস আগে বিজয়নগরে পরিবার নিয়ে নতুন বাড়িতে বসবাস শুরু করি। বাড়িতে আমার স্ত্রী, স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ে এবং গত ৬ মাস আগে বিয়ে করিয়ে আনা পুত্রবধূ বসবাস করেন। আমার বাড়ির সামনে একটি নালায় স্থানীয় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিল। শনিবার তাদের জালের বাধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া মানিক এবং সবুজ দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। এসময় বাড়িতে তারা ঢুকে আমার স্ত্রী, আমার ছেলের নববধূ ও আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে উঠানে ফেলে বেধড়ক মারধর করে ফেলে চলে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেই। আমার স্ত্রী রক্ত বমি করছে।

ওসি আসাদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

আখাউড়া, কসবা, জাতীয়, নাসিরনগর, বিজয়নগর, রাজনীতি, সরাইল, 9 January 2023, 8233 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন বঙ্গবন্ধু। দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তারা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।
১০ জানুয়ারি সকালেই তিনি নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’
এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। পরের দিন দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।’
জনগণ নন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ‘আজ থেকে আমার অনুরোধ, আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়। মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ তোমাদের মোবারকবাদ জানাই তোমরা গেরিলা হয়েছো, তোমরা রক্ত দিয়েছো, রক্ত বৃথা যাবে না, রক্ত বৃথা যায় নাই।
বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘একটা কথা-আজ থেকে বাংলায় যেন আর চুরি-ডাকাতি না হয়। বাংলায় যেন আর লুটতরাজ না হয়। বাংলায় যারা অন্য লোক আছে অন্য দেশের লোক, পশ্চিম পাকিস্তানের লোক বাংলায় কথা বলে না, তাদের বলছি তোমরা বাঙালি হয়ে যাও। আর আমি আমার ভাইদের বলছি তাদের উপর হাত তুলো না আমরা মানুষ, মানুষ ভালোবাসি। ‘তবে যারা দালালি করেছে যারা আমার লোকদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবে এবং শাস্তি হবে’ উল্লেখ করে জাতির পিতা বলেন, ‘তাদের বাংলার স্বাধীন সরকারের হাতে ছেড়ে দেন, একজনকেও ক্ষমা করা হবে না। তবে আমি চাই স্বাধীন দেশে স্বাধীন আদালতে বিচার হয়ে এদের শাস্তি হবে। আমি দেখিয়ে দিতে চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।’ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমায় আপনারা পেয়েছেন। আমি আসছি। জানতাম না আমার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে। আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোড়া হয়েছিলো। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম, বলেছিলাম আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু আসে যদি আমি হাসতে হাসতে যাবো। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাবো না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। এবং যাবার সময় বলে যাবো জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকার তাঁর নির্দেশিত যুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ নিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জনের পথে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ তীব্র হয়। জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হলে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় তাঁকে সসম্মানে মুক্তি দিতে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে সরকার পরিচালনা করে অস্থায়ী প্রবাসী সরকার। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারিকৃত প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশ বলে গণপরিষদ গঠন করে নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দেয়া হয় এবং যা ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। বাসস।

বিজয়নগরে ভেজাল মসলা তৈরির মালামাল জব্দ

বিজয়নগর, 11 July 2023, 1180 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে একটি মিলে অভিযান চালিয়ে ভেজাল মসলা তৈরির মালামাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

banner

আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের সাতবর্গ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে কৃত্রিম রং, ধানের কুঁড়া ও কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় ভেজাল মসলা তৈরির অপরাধে মো. আনোয়ার হোসেন (৪১) নামের এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদ পাওয়া যায় যে, ওই মিলটিতে মাদক রয়েছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দলসহ মিলটিতে আমরা অভিযান চালাই। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মিলের সামনে মরিচসহ বিভিন্ন প্রকার মসলা সাজানো রয়েছে। মিলের ভেতরে ঢুকে দেখা যায় কৃত্রিম রং, ধানের কুঁড়া ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে মরিচ, ধনিয়া, হলুদের ভেজাল মসলা উৎপাদন করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় একজনকে আটক করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।

বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

বিজয়নগর, সারাদেশ, 11 April 2025, 459 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি মুরাদ হোসেন মুন্না নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের এক বাসিন্দাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।

banner

গতকাল ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে আউলিয়া বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা মুরাদ হোসেন মুন্নাকে আটকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসাইন, হেফাজত নেতা মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমী, পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিশু মিয়া, বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া খান, এনসিপি নেতা জোহান আহমদ ও খাইরুল ইসলাম, ইয়াহিয়া খান, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক শাহ আলম, উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহলুস-সুন্নাহ্ ফাউন্ডেশন সুমন হাজারী, রানা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে আমরা দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি করছি। বাংলাদেশ সরকারের কাছেও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি।

তারা বলেন, বারবার বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিএসএফের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ ও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

তারা এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিজয়নগরে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিজয়নগর, 7 April 2023, 1618 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সমন্বয় গঠিত বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম কতৃক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়।

ইফতার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুল হাসান শান্তের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সহ-সভাপতি এ বি এম মোর্শেদ কামাল এর কোরআন তেলওয়াতের পরে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক, বিজয়নগরের কৃতিসন্তান ডাঃ এ কে আজাদ, চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এম শামীউল হক চৌধুরী, চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিজয়নগর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ দবির আহমেদ ভূইয়া, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন, ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইসহাক সরকার, বুধন্তী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এফতেহারুল ইসলাম শামীম মাস্টার প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা উক্ত সংগঠনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এবং আগামী দিনে উপজেলার সকল শ্রেণী পেশার সকলকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করার পরামর্শ প্রদান করেন।

বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খান এর সভাপতিত্বে এসময় সংগঠনের পক্ষে সহ-সভাপতি মোঃ সাদেকুল ইসলাম রতন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশেক মাওলা কাইজার, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল মোবারক, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি হালিমা চৌধুরী, বিজয়নগর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াস সরকার, ইছাপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ রাষ্টু সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা রেনু সরকার, বিজয়নগর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হানিফ, সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবউল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোঃ আলাল উদ্দিন, ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান দস্তগীর, বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রধান শিক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার দের শতাধিক মানুষ।

এসময় মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় মিলাদ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের গদ্দিনিশী পীর আলহাজ্ব শাহ্ সূফী হযরত মাওলানা সৈয়দ নাঈম উদ্দিন আহমেদ।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম এর নেতৃত্বে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী আজ্জম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান হেলন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মাহিদুল ইসলাম, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মহি উদ্দিন রুবেল, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন, সহ-সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, জিয়াউর রহমানসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।