চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০ কেজি গাঁজাসহ জান্নাত আক্তার (২৩) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার ভোরে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জান্নাত আক্তার লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জান্নাতকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার ঘর তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গিয়াস উদ্দিন পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত জান্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরে করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে কয়েক গ্রামের মানুষ।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ঈশাননগর চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
স্থানীয় যমুনা গ্রামের বাসিন্দা এসএম শামীম আকতারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী ময়নাল হোসেন, কাদির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মমিনুল ইসলাম পারভেজ ও সুমন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেহারী ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এক থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ জানতে চাইলে প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শিদ। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখান বলে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঈশাননগর সড়কে ঝাড়ু ও জুতা হাতে মিছিল করেন। মিছিলে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষ দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের অপসারণের দাবিতে শ্লোগান দেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। সেবা নিতে কোনো অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয় না মর্মে আমি সারা এলাকায় মাইকিং করে দিয়েছি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই। এরপরও পরিষদের উদ্যোক্তার ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় আমি তাকে বহিষ্কার করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ীর আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১ শ ৭৯ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে কৃষি উপকরন বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এসব কৃষি উপকরন বিতরন করা হয়। প্রতি কৃষক কৃষাণীকে ২টি করে আম, লেবু, পেপের চারা, ৪৫ কেজি জৈব সার ও নেট, ঝাঝরি ও বীজ সংরক্ষন পাত্রসহ তিন মৌসুমের জন্য ৮ প্রকার শাক-সবজির বীজ প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকতা হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় কৃষি উপকরন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, কসবা প্রেসক্লাব সহ- সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন প্রমুখ। এসময় কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাগন ও আশ্রয়ন প্রকল্পসহ উপজেলার উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণীসহ গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান মানিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা এক ইঞ্চি জায়গাও যেন খালি না থাকে সেই ঘোষনা বাস্তবায়ন উপলক্ষে উপজেলার কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে আজকের এই কৃষি উপকরন বিতরণ। আপনার সকলেই নিজ বাড়ির আঙিনায় চারাগুলো রোপন করবেন এবং তার উপকার ভোগ করবেন।
সভাপতির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা রয়েছে। কারো বসতবাড়িতে যেনো এক ইঞ্চি জায়গাও যেনো খালি না থাকে তারই অংশ হিসেবে পুষ্টিবাগান উপকরন দেয়া হচ্ছে। সকলের নিকট অনুরোধ থাকবে কৃষি উপকরণের যথাযথ কাজে লাগাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণ করার যে লক্ষ্য আপনারা যদি আজকের এই উপকরণগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগান তাহলে ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে তা সফল হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৫০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। আটক মো. সোহেল (৩২) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকার মো. শহীদ মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ব্রিজের পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের পৃথক অভিযানে বিভিন্ন ধরণের মাদকসহ তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা সবাই যুবক বয়সি। জব্দ করা বিভিন্ন মাদক ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আসা। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।
পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সোমবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের দাস পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৯৬ বোতল মদ ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এসময় অপু মিয়া (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার রাতে কসবা পৌর এলাকার মরাপুকুর পাড় নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আশরাফুল ইসলাম (২২) ও গোলাম জিলানী (২৩) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।