চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ। অভিযানে বিহাইর গ্রামের একটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৬০০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ১ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করাসহ ৩১টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের আভিযানিক দল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে ৩১ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির, উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বড় কয়েকটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক আমরা উচ্ছেদ করেছি। অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে আম ও কাঁঠাল তুলে দেওয়া হয়েছে। ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ. কুদদূস। শোকের মাস আগস্ট এর প্রথম দিন উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় ফল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাউছার আহমেদ, হিসাব কর্মকর্তা গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজী, নগর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্ত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা, সাংবাদিক আ ফ ম কাউছার এমরান, আজিজুর রহমান পায়েল।
অনুষ্ঠানে মোট ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে আম ও কাঁঠাল তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল জলিল নামে এক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ, স্বপ্নতরী ও মৌসুমী প্রেস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানে এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যের ‘গুঁটিদাড়া’ খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে শহরের শেরপুরে লাল-সবুজ দলে ভাগ করে এ খেলার আয়োজন করা হয়।
শিপন খান নামের এক খেলোয়াড় বলেন, এটি গ্রামীণ খেলা। খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামের মতো বড় জায়গা লাগে। তাই কৃষি জমিতে যখন ফসল না থাকে তখন আমরা খেলি। তবে আমরা চাই এটি ভালো কোনো খেলার মাঠে হোক। এতে করে খেলাটি ঠিকে থাকবে। লোকজন আনন্দও পাবে।
প্রবীণ খেলোয়াড় শাহ আলম খান বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে খেলাটি খেলছি। মহিষের শিং দিয়ে গুঁটি বানানো হয়। আমরা যে গুঁটিটি দিয়ে খেলি এটি কমপক্ষে ৫০ বছর আগের হবে। আগে এ খেলা আরও বেশি জমজমাট হতো।
খেলা শেষে দুই দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, মো. ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নয় সারাদেশে এক সময় প্রচলিত ছিল এ খেলাটি। এখন খেলাটি প্রায় বিলুপ্ত। খেলাটি টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাষা সংহতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ করা হয়েছে ভারতের আসামের শিলচরের বাংলা ভাষা শহীদদের।
আজ ১৯ মে রবিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গভ. মডেল গার্লস স্কুল শহীদ মিনার ও মিলনায়তনে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কমলা ভট্টাচার্য সহ ১১ ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ফুলেল শ্রদ্ধা, কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবদুল মান্নান সরকার।
প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস ও তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার ও আবৃত্তিশিল্পী সাদিয়া রহমান বীথির সঞ্চালনায় কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি আবদুর রহিম, শিরীন আক্তার, শৌমিক সাত্তার, রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, হেলাল উদ্দিন হৃদয়। একক আবৃত্তি করেন সাহিত্য একাডেমী সদস্য নুসরাত জাহান বুশরা, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, নবীনগর আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র পরিচালক শুভেন্দু চক্রবর্তী, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সদস্য রেজা এ রাব্বী, ফারদিয়া আশরাফি নাওমী, ফাহিমা সুলতানা ও অবন্তিকা চক্রবর্তী। দলীয় পরিবেশনা করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ছোটদল, মধ্যমদল বালক, বালিকা ও অভিভাবকদল।
স্টাফ রিপোর্টার :
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত সাবেকুন নাহার সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ভুইয়ার ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
নিহত সনির ফুপাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম ইমন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা তিনমাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। একমাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে। একটি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সকালে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা যান।’
তিনি আরো বলেন, মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ এশা স্থানীয় বাজারের বড় মসজিদে জানাযা শেষে দাফন করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা মেয়েকে হারানোর পর ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের’ দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন থেকে ৮ জুন ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই কর্মসূচিতে তিনি প্রতিবছর উপস্থিত হয়ে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে আসছিলেন। মামা মারা গেছেন কিন্তু আফসোস, দীর্ঘ ২১ বছরেও উনি তার সন্তান সনি হত্যার বিচার কার্যকর হতে দেখে যেতে পারেননি।’
২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপ। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের সামনে সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
সাবেকুন নাহার সনি কেমিকৌশল বিভাগের (৯৯ ব্যাচ) লেভেল ২, টার্ম ২ এর ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নিম্ন আদালতে মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়।
২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। পলাতক রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। শুধু জেলে রয়েছেন টগর।
চলারপথে রিপোর্ট :
অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য, অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আমেরিকান ইন্টারকন্টিনেন্টাল হেলথকেয়ার গ্রুপ ইউএনএ’র ইন্টারন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর মোঃ সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য আইনুল ইসলাম।