অনলাইন ডেস্ক :
খাবারের জন্য অপেক্ষার সময় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৫৫ জন। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে জানানো হয়েছে, ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, আহতদের জন্য হাসপাতাল পেতে অনেক সময় লাগছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, তারা কুয়েত স্কয়ারে কোনো হামলা চালায়নি। ওই ঘটনার জন্য সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরই দায়ী করেছে দেশটি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেখানে ছড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি মরদেহ। রাস্তায় কাতরাচ্ছে আহত মানুষ। ইব্রাহিম আল-নাজার নামের এক ব্যক্তি জানান, আমরা সেখানে বসে ছিলাম। হঠাৎ তারা আমাদের ওপর বোমা ফেললো।
অনেক অনেক মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আমাদের শিশুদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিরল এক মাছের বদৌলতে এক দিনের ব্যবধানে সাধারণ জেলে থেকে কোটিপতি বনে গেলেন পাকিস্তানের করাচির এক ব্যক্তি। আজ ১০ নভেম্বর শুক্রবার সকালে নিলামে ওই মাছটি বিক্রি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাদ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাজি বালোচ নামে সৌভাগ্যবান ওই মাছ ব্যবসায়ী করাচির অন্তর্গত ইব্রাহিম হায়দারি নামে একটি দরিদ্র জেলেপল্লিতে বসবাস করেন। সোমবার তার কয়েকজন কর্মী আরব সাগর থেকে ‘গোল্ডেন ফিশ’ নামে বিরল ওই মাছটি ধরেন। মহামূল্যবান ওই মাছটি বাংলাদেশে ‘ভোলা মাছ’ নামে পরিচিত।
পাকিস্তানের মৎস্যজীবী ফোরামের নেতা মুবারক খান বলেছেন, শুক্রবার সকালে করাচি বন্দরে জেলেদের ধরে আনা মাছটি নিলামে সাত কোটি রুপিতে (পাকিস্তানি মুদ্রা) বিক্রি হয়েছে।
ভোলা মাছের পেটের ভেতরে বিজ্ঞানীরা এমন এক বস্তুর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন, যা চিকিৎসাক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এর পর থেকে মাছটিকে মহামূল্যবান এক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভোলা মাছের পেটের ভেতরে সুতার মতো কুণ্ডলী পাকানো ওই বস্তুটি মূলত অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ভোলা মাছ ২০ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্তও বড় হয়ে থাকে এবং এর দৈর্ঘ্য হতে পারে দেড় মিটার পর্যন্ত। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এ মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।
আরেকটি বিষয় হলো : ভোলা মাছের একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত বিশেষত্বও রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী কিছু ওষুধ তৈরি এবং স্থানীয় রন্ধনপ্রণালিতে এ মাছের চাহিদা বিপুল।
সৌভাগ্যবান জেলে বালোচ বলেন, আমরা আরব সাগরের মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই এ মাছটি আমাদের জালে উঠে আসে, এটি আমাদের কাছে আসা এক দৈব সম্পদের মতো।
বালোচ জানিয়েছেন, মাছটি বিক্রি করে যে অর্থ তিনি পেয়েছেন তা তার সহযোগী জেলেদের মধ্যেও ভাগাভাগি করবেন। মূলত প্রজনন মৌসুম এলেই গভীর সমুদ্র থেকে এই মাছটি উপকূলের কাছাকাছি আসে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড এলাকায় একটি স্কুলের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলায় দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।
অ্যাটরিয়া থিয়েটারের বাইরে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানেই গ্রাজুয়েটদের গাউন দেওয়া হচ্ছিল।
স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হুগেনোট হাই স্কুলের অনুষ্ঠানে এই বন্দুক হামলা চালানো হয়। পুলিশের জানিয়েছে, নিহতদের একজনের বয়স ১৮, তিনি স্নাতক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। আরেকজনের বয়স ৩৬। এই হামলার ঘটনায় একজন ১৯ বছর বয়সী সন্দেহভাজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও নতুন ট্রাম প্রশাসনের সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) চেয়ারম্যান ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাস্কের অভিযোগ, সংস্থাটি মার্কিন জনগণের করের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে এবং বিভিন্ন প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা পৃথক তিনটি পোস্টে ইলন মাস্ক বলেন, আপনারা জানেন কি, ইউএসএআইডি আপনাদের করের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে? এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর মতো জীবাণুও অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে কয়েক কোটি মানুষ মারা গেছেন। অপর এক পোস্টে অভিযোগ করেন, ইউএসএআইডি তাদের প্রচারণা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। ইউএসএআইডির মরে যাওয়াই ভালো।
গোপন নথি নিয়ে বিতর্ক, কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
ইউএসএআইডিকে ঘিরে বিতর্ক তখন আরো ঘনীভূত হয়, যখন সংস্থাটির দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা মাস্কের প্রতিনিধিদের গোপন নথি দেখাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
মার্কিন গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিওজিই-এর কর্মীদের নিরাপত্তা অনুমোদন না থাকায় তাঁদের ইউএসএআইডির সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে মাস্কের সমর্থকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশে গঠিত এই বিভাগটি সরকারি সংস্থার মতোই ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং তারা প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া ও ওয়েবসাইট বন্ধ
এ ঘটনায় হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং দাবি করেছেন, ডিওজিই-এর কর্মীরা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেননি এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তবে, ইউএসএআইডির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে সংস্থাটিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত শনিবার থেকে ইউএসএআইডির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যবহারকারীরা ব্যর্থ হয়েছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে ইউএসএআইডি?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে আনতে চাচ্ছে। এর ফলে সংস্থাটির ৪২.৮ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকতে পারে।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স আরো জানায়, ইউএসএআইডির সব সিলমোহরও কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউএসএআইডি পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে চলে গেলে এটি আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না এবং মূলত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির হাতিয়ারে পরিণত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউএসএআইডি কর্মকর্তা বলেন, এর ফলে মার্কিন সরকার এমন এক অবস্থানে চলে যাবে, যেখানে মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত কণ্ঠস্বর উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারণী আলোচনায় গুরুত্ব পাবে না।
নতুন মার্কিন কূটনৈতিক নীতির ইঙ্গিত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, আগের প্রশাসনগুলো বৈশ্বিক ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, যা চীনের অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। আমরা এখন আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হব।
এদিকে, হোয়াইট হাউস এখন এমন আইনি উপায় খুঁজছে, যার মাধ্যমে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করে ইউএসএআইডির স্বাধীনতা বাতিল করতে পারেন। তবে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না, এখনও তা স্পষ্ট নয়।
সংস্থাটির ভবিষ্যৎ কী?
ইউএসএআইডি অতীতে এমন দেশগুলোকেও সহায়তা করেছে যাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, যেমন ইরান। কিন্তু নতুন এই পরিবর্তন সংস্থাটির কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আল জাজিরা, এক্স, রয়টার্স, ওয়াল স্ট্রিট জর্নাল
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির ফেডারেল কর্মচারীদের একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে। যেখানে তাদের আগের সপ্তাহের কাজের সাফল্য বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতের মধ্যে এই তথ্য না দিলে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ই-মেইলে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ই-মেইল পাঠানোর কিছুক্ষণ আগেই, ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করা এক টুইটে বলেন, এই ইমেইলের উত্তর না দিলে তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ইলন মাস্ক এক্সে লিখেছেন, ‘সব ফেডারেল কর্মচারী শীঘ্রই একটি ই-মেইল পাবেন, যেখানে জানতে চাওয়া হবে তারা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন। উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে, তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বলে বিবেচিত হবে।’
মাস্কের এই পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্ট বলেন, ডিওজিইকে আরো আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং ২৩ লাখ ফেডারেল কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে সরকারকে ঢেলে সাজাতে হবে।