চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মারধরের শিকার কাষ্টম্স এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা প্রধান মো. কামরুল পারভেজ বাদী হয়ে আজ ১৬ মার্চ শনিবার চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই হৃদয় (২৮) নামে একজনকে আটক করেছে। হৃদয় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ইদন মিয়ার ছেলে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আখাউড়া স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে এনে শুল্ক ফাঁিক দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। শুক্রবার বিকালে ভারত থেকে আসা এক বা একাধিক যাত্রী সাত-আটটি বড় ব্যাগে (লাগেজ) করে মালামাল নিয়ে আসেন। নিয়ম অনুসারে ওই সব সব লাগেজ কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিংয়ের কক্ষে না নিয়ে কৌশলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বুঝতে পেরে ওই তাদেরকে লাগেজ স্ক্যানিং কক্ষে নিয়ে যেতে বলেন।
এতে ওই চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে জোর করে অটোরিকশা দ্রুত চলে যায়। এসময় কাস্টমস কর্মকর্তরা মোটর সাইকেল নিয়ে তাদের পিছু নেয়। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রধান মোঃ কামরুল পারভেজের নেতৃত্বে তিনজন কিছু দূর পরে বক্সের চড় মসজিদের সামনে সড়কে ওই অটোরিক্সাটির গতিরোধ করে। লাগেজগুলো চেকিং করার জন্য কাষ্টম্স এ ফেরত নিতে বলেন। এমন সময় পেছনে থেকে মোটর সাইকেলে এসে কয়েকজন যুবক কাষ্টম্স কর্মকর্তাদের উপর হামলা করে তাদেরকে কিল ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে। অপর আহতরা হলো কাস্টমসের সিপাহি পদে কর্মরত মো. জুম্মন ও মো. ইমন মিয়া। এক পর্যায়ে ওই চক্রটি কাষ্টম্স কর্মকর্তাদের মোটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ভারতীয় মালামাল ভর্তি অটোরিক্সাটি ছাড়িয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা লোকজন এগিলে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আহত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুল পারভেজ বলেন, ভারতীয় মালামাল স্ক্যানিং করতে বলায় কবির, আওলাদ, হৃদয়সহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে রাতেই থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নূরে আলম বলেন কাষ্টমস এর কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে আসমাী করে মামলা দিয়েছে। রাতেই এজাহারনামীয় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদেরকে আটকে চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা নৌ কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ভূঁইয়া (১০২) আর নেই। গতকাল রবিবার দিনগত রাত ২টার দিকে নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের এই মহান বীর সেনানীর মৃত্যু সংবাদ জানার পর আত্মীয়-স্বজন, রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ বারের মত তাকে দেখতে বাড়িতে যান। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
এদিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার বাদ আছর বড় বাজার জামে মসজিদে তার প্রথম জানাযা ও বাদ মাগরিব তার পৈত্রিক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা গ্রামে ২য় জানাযা শেষে কোড্ডা কবরস্থানে দাফন দেওয়া হবে। এই চৌকস নৌকমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা আখাউড়া পৌরশহরের বড় বাজারে তিতাস নদীর পাড় ঘেষে একটি ছাপড়া ঘরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিভৃতে বসবাস করেছেন। শেষ বয়সে জাতীর এই বীর সন্তান অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, আখাউড়া প্রেসক্লাব, টেলিভিশন জার্নালিষ্ট ক্লাব, উপজেলা প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নব বন্ধন খেলাঘর আসর, আত্মীয়, লেখক আলী মাহমেদ, ৫নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর শিপন হায়দার। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, ফজলুল হক ভূঁইয়া ছিলেন একজন চৌকস নৌ-কমান্ডো। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে ১৯৭১ সালের ১৩ মে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার আম্রকাননে সুইসাইডাল স্কোয়াডে নাম লিখিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর অপারেশন এবং জামালপুর ফেরিঘাট অপারেশনে অংশ নেন। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে একটি ব্রিজও ধ্বংস করেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডো এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের স্বাক্ষরে নৌ কমান্ডো ফজলুল হককে একটি সনদপত্র দিয়েছেন। সনদে উল্লেখ আছে নৌ কমান্ডো নম্বর ০১০১।
এদিকে নৌ কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ভূইয়ার মৃত্যুতে আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ বলেন, আমরা একজন বীর সন্তানকে হারালাম। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তিনি আরও বলেন, আমার জানামতে আখাউড়ায় আর কোন বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডো নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়ায় ট্রেন যাত্রীদের সেবা প্রদান করেছে স্কাউট ও রোভাররা। আজ ৫ জুলাই বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমনকারী যাত্রীদেরকে ট্রেনে আরোহন, মালামাল উঠানো-নামানোসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করেছে স্কাউট সদস্যরা।
আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট দুই দিনব্যাপী ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। ট্রেনে উঠা-নামায় সহযোগিতা, যাত্রীদের সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা এবং ষ্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্কাউটস সদস্যরা। সেবামূলক এ কাজে ৬টি স্কাউট গ্রুপের ৩০/৩৫ জন সদস্য অংশ নিচ্ছে।
জেলা স্কাউট সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন হয়ে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে।
এসময় ষ্টেশনে প্রচুর ভীড় হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট ট্রেন এবং ট্রেনের বগি খোঁজে পাওয়া এবং নারী-শিশুদের নিয়ে ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এ অবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট ২ দিন ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কার্যক্রমে অগ্নিবীণা, গোধুলী, সূর্য সৈনিক, হলি চাইল্ড, দিগন্ত এবং প্রত্যাশী রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের স্কাউট ও রোভার এবং কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছে। এসময় যাত্রী সেবার পাশাপাশি অনলাইন টিকেটের রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়া হয়।
সেবা কার্যক্রমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে জেলা স্কাউট সম্পাদক এস.কে. খাদেম সেলিম, সাবেক সম্পাদক আহসান কবির লিটন, সহকারী কমিশনার কাজী হান্নান খাদেম, সহকারী কমিশনার তোফাজ্জল আলী উজ্জল, হলি চাইল্ড সম্পাদক আকতারুজ্জামান রান, জেলা রোভার প্রতিনিধি মোঃ সাকিবুল হাসান, সূর্য সৈনিক যুগ্ম সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, রোভার রাব্বি চৌধুরী, গার্ল ইন রোভার সাদিয়া সুলতানা, স্কাউট নাসিবা হক, লামিয়া ইসলাম, পল্লী চিকিৎসক বিনা আক্তার।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাস চাপায় আইয়ূব মিয়া-(২২) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া সড়কের সদর উপজেলার কোড্ডা ব্রীজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ূব মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দতাইসার গ্রামের জানু ভূঁইয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আইয়ূব মিয়া মোটর সাইকেল নিয়ে আখাউড়া থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আসার পথে কোড্ডা ব্রীজ এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মোটর সাইকেলটিকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, আইয়ূব মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। দলের নিবন্ধন প্রাপ্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় শুকরানা দোয়া ও কেক কাটা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পৌরশহরের সড়ক বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের সদস্যদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মোঃ ইদরিস মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ জামির হোসেন, মোঃ ইউসুফ সরকার, মোঃ রাব্বির রহমান, শেখ রাসেল প্রমুখ। আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া পাঠ করা হয়।
পরে শুকরানা স্বরুপ কেক কাটা হয়। এসময় সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ জামির হোসেন বলেন, আমাদের দলের মূল বিষয় হলো সব মানুষ ভাই ভাই। মানবতার দুনিয়া চাই। সকল মানুষকে আমরা সমান ভাবে দেখি। আমাদের কাছে ধর্ম বর্ণ কোন ভেদাভেদ নাই। আমরা মানবতার দুনিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ’র দলীয় প্রতীক আপেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে নিয়ে না যাওয়ায় আখাউড়ায় স্বামীর সাথে অভিমান করে সাথী ইসলাম (২৬) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সাথী ওই গ্রামের অটো চালক মোস্তাফা কামালের স্ত্রী। সে কে ঘরের তীরের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরহদেহ উদ্ধার করে আখাউড়া থানায় নিয়ে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারনা করছে।
আখাউড়া থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাথী ইসলাম তার স্বামীকে ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে। ঈদ মৌসুমে গাড়ি চালিয়ে ভালো রোজগার হওয়ায় পরে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে অটোচালক স্বামী। এরইমধ্যে একদিন ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার আবার স্বামীর কাছে ঘুরতে যাওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু বলেন এখন যাত্রী বেশি ঈদ মৌসুম শেষ হলে আবার ঘুরতে নিয়ে যাব। একথা বলে তিনি বিকালে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাত ১২ টার দিকে মোস্তাফা কামাল বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করলে সাথী রাগ করে দরজা না খুলে তাকে অন্য ঘরে ঘুমাতে বলে। মোস্তাফা কামাল তখন তার ভাতিজার সাথে অন্য ঘরে ঘুমায়। সকাল ৬ টার দিকে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৩ বছর আগে মোস্তাফা কামাল ও নারায়নগঞ্জ জেলার সাথী ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয়। ঈদুল ফিতরের পর সাথী তার স্বামীকে কুটি কাঠের পুল এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে।
কিন্তু ঈদের মৌসুমে যাত্রী বেশি থাকায় কুটি না নিয়ে আখাউড়া চেকপোষ্ট এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার বিকালেও সে আবার ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এ নিয়ে স্বামীর প্রতি অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।