চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে মেঘলা আক্তার নিলুফা (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৮ মার্চ দুপুরে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ইমামবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মেঘলা আক্তার নীলুফা (১৯) জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসগার (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মোঃ মুসলিম মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় আলহাজ্ব শাহআলম ডিগ্রি কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নীলুফার পিতা পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকসা চালক।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, দুপুরে একটি মালবাহী ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে নীলুফা আত্মহত্যা করেছেন।
তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে। জনগণ যদি নির্বাচনে ভোট দেয় তাহলে কে নির্বাচনে এলো আর কে এলো না সেটা বড় কথা থাকে না। জনগণের যে উচ্ছ্বাস, যে আনন্দ, যে ইচ্ছা এবং প্রত্যাশা এই নির্বাচন নিয়ে, সে কারণে আমি মনে করি নির্বাচন সফল হবে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। মনোনয়ন পত্র জমা শেষে বিএনপি নির্বাচনে না এলে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমি দশ বছর কসবা-আখাউড়ার জনগণের সেবা করেছি। আমার কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, তা আমি রাখতে পেরেছি। আমি আমার জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছি এবং তারা আমাকে দোয়া করেছে। তাদের দোয়া নিয়েই আমি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি।
এর আগে তিনি কসবা পৌর মুক্তমঞ্চে উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে দোয়া নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান। এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ ও সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিকসহ দলীয় সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরদৌস মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস। এ সময় কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের চাপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান ফেরদৌস। স্থানীয়রা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নো থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনা জেলে বসেই বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে ট্যানেল, রূপপুরে পারমাণবিক চুল্লিসহ এরকম কয়েকশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে সারা বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনা প্রশংসিত। এসব দেখে বিএনপির সহ্য হচ্ছে না।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এক সময় মিসকিনের দেশ বলা হতো। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করা হতো। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ হলো এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রুল মডেল।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের দেশ পরিচালনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তাদের ছিল লুটপাট ও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। তাদের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিকে মন্ত্রী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করার আহ্বান জানাই।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আফজাল হোসেন খান রিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জন্মদিনের কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অগ্নিকান্ডে একটি মাকের্টের চারটি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আজ ২১ জুন বুধবার বিকেলে কসবা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। খবর পেয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার বিকেল বিকেল ৪টার দিকে সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন টিনশেডের ওই মার্কেটে আগুন লাগে। আগুনে দু’টি রড সিমেন্টের দোকান, একটি ফুলের দোকান ও একটি এসএস পাইপের দোকান পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কসবা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার আবদুল আল খালিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসএস পাইপের দোকানে ঝালাইয়ের কাজ করা হয় বলে সেখান থেকে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট হয়ে আগুন লাগতে পারে। তিনি বলেন, তদন্ত না করে আনুমানিক ক্ষতির কথা বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিমুল এহসান খান, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন জুয়েল, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা যায় না। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনও পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপোস করেননি। ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানিরা নিরীহ বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা করলে তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন।
গতকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি তার ডাকে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানিরা বিশ্ববাসীর চাপে করতে পারেনি। পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে তাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল দেশটাকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুরকন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে ত্বরান্বিত করবেন।
তিনি বলেন, আমি কসবা আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দিয়েছি। তাই আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।
কুটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহম্মদের পরিচালনায় শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কাজী আজহারুল ইসলাম, এমরান উদ্দিন জুয়েল, মনির হোসেন, শামিম আহম্মেদ, বাহাদুর আলম প্রমুখ।