চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় দিগন্ত পরিবহনের বাসের ধাক্কায় সাইমন (৫) নামে একটি শিশু নিহত হয়েছে।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার ছতুরা শরীফ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইমন উপজেলার ছতুরা শরীফ গ্রামের উত্তর পাড়ার ইউনুস মিয়ার ছেলে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, সাইমন সকালে বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় কসবার কুটি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলীগামী দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস শিশুটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘাতক বাসটি জব্দ করে থানায় নেয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়৷
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় খেলাঘর আসরের নববন্ধন খেলাঘর আসরের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন খেলাঘর আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
শিক্ষক অলক কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েলুর রহমান।
সম্মেলনে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, প্রান্তিকা সাহা, হুমায়রা লাবিবা খুশবু ও রুদ্রজিৎ পাল। তাদের বক্তব্যে অচিরেই আখাউড়াতে একটি আঞ্চলিক ক্যাম্প করার দাবি জানানো হয়। এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। আলোচনা শেষে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুকে সভাপতি, দৈনিক ভোরের কাগজের আখাউড়া প্রতিনিধি জুটন বনিককে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি কাজী স্বপ্না সিফাত, পরিমল সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান, আশীষ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় সাহা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রুবেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মাসুকুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাহমিনা আক্তার।
কার্যকরি সদস্য হলেন, আশিষ বিশ্বাস, পলাশ সাহা, নাহিদা আহমেদ শিথিলা, বাসুদেব বিশ্বাস, শুক্লা রায়, মোঃ সাগর, প্রানেশ ঘোষ, সাজ্জাদ খান প্রান্ত, দুর্জয় বনিক, মনি দাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় রেলসেতু পারাপারের সময় ৪ জন নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই রেলসেতুটির উভয় পাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের নিরাপত্তা বেষ্টনী। পাশাপাশি রেললাইন এলাকায় মানুষের চলাচল নিরাপদ রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঢাকা-সিলেট রেলপথের খরমপুর রেলসেতুটির উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে যাতে রেলসেতুর ওপর দিয়ে কেউ চলাচল করতে না পারে। ট্রেন আসার সময় বাঁশগুলো সরিয়ে ফেলা হয়, চলে গেলে আবার বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, তিতাস নদী হয়ে নৌকায় করে এসে অনেকেই রেললাইনের পাশ দিয়ে খরমপুর মাজারে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে অতিরিক্ত পুলিশ রেললাইন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা সরেজমিনে ঘটনার খোঁজ-খবর নেন।
এর আগে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেককে কমিটির আহ্বায়ক করে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সহকারী কমাডেন্ট, একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং একজন সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ডিআরএম (ঢাকা) মো. শফিকুর রহমান বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায় ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) বার্ষিক ওরস শুরু হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার শরীফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট বাইপাস রেলপথ দিয়ে ভক্ত-আশেকানরা মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রেলওয়ে সেতু অতিক্রম করার সময় ট্রেনের থাক্কায় এবং নদীতে ছিটকে পড়ে চারজনের মৃত্যু হয়। ওই রাতেই ২ জন এবং পরদিন শুক্রবার দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আখাউড়া মোগড়া বাজারের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানকালে মূল্য তালিকা না থাকায় এক ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ১৬ মার্চ শনিবার সকালে জেলার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কাঁচা মাল (সবজি বাজার)মুদিমালের দোকান, ফলের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোগড়া বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকায় এক ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত চক্রবর্তী, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ নুরে আলম, আখাউড়া খাদ্য গুদামের সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক রিকেশ চন্দ্র দাস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এবার উপজেলার ৫৩৩ জন কৃষকের কাছ থেকে মোট ১৬৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। একজন কৃষক তিন মন থেকে শুরু করে তিনটন পর্যন্ত ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সজীব কাউসারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুন নাহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, চলতি মৌসুমে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। উদ্বোধনী দিনে একজন কৃষক ধান দিয়েছেন।
ধান দিতে আসা কৃষক উপজেলার দ্বিজয়পুর গ্রামের তাহের মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে বিক্রি করলে লোকসান হয়। বেপারিরা ১১০০ টাকা মন দরের বেশি নিতে চাননা। সরকারের এ উদ্যোগের ফলে তিনি ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।