চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অজ্ঞাত পুরুষ (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মৃত ব্যক্তিকে ভিক্ষুক বলে ধারনা করছে পুলিশ।
আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মোঃ নফিল বলেন সকালে মৃতদেহ দেখতে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই।
প্রাথমিকভাবে ভিক্ষুক বলে ধারনা করছি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করতে পিবিআইকে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ৩টি কলেজের ফল বিপর্যয় ঘটেছে। এসব কলেজের পাশের হার ৩১ থেকে ৫৯%। তিন কলেজ থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। অপরদিকে ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একটি কলেজ ২০জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাশ করেছে।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার সারাদেশে একযোগে এইচএসসির ফল প্রকাশ হয়েছে।
প্রকাশিত ফলাফল ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ থেকে ৫০৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশ করেছে ৩০৪ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ২০৩ জন। জিপিএ-৫ নাই। শতকরা পাশের হার ৫৯.৯৬। আখাউড়া জাহানারা হক মহিলা কলেজ থেকে ১৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৬২ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১৩৬ জন। জিপিএ-৫ নাই। শতকরা পাশের হার ৩১.৩১। ছতুরা চান্দপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭৯ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা অংশ নিয়ে পাশে করেছে ২৯ জন। ফেল করেছে ৫০ জন। শতকরা পাশের হার ৩৬.৭১। এ কলেজে থেকেও কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
অপরদিকে আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে ১০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০জন।
ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাহানারা হক মহিলা কলেজের প্রভাষক সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের এ ব্যাচটি খুব খারাপ ছিল। যারা অন্যান্য কলেজের ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি এমন কম পয়েন্টের ছাত্রীরা আমাদের কলেজে ভর্তি হয়। তাছাড়া ছাত্রীরা নিয়মিত ক্লাশ করেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বলেন, এ বছরের ব্যাচটি করোনার কারণে ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারেনি। এরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পাশ করেছিল। তাছাড়া দুর্বল ছাত্রছাত্রীরা আখাউড়ায় ভর্তি হয়। এসব কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিজয় দিবসে যথাযথ নিয়মে পতাকা উত্তোলনে জনসচেতনা সৃষ্টি এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে জাতীয় পতাকা উপহার দেওয়া হয়েছে। আখাউড়া নববন্ধন খেলাঘর ব্যতিক্রম এ আয়োজন করে। ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫২টি পতাকা উপহার দিয়েছে খেলা খেলাঘর।
আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে পৌরশহরের সড়কবাজারে প্রধান অতিথি হিসাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আখাউড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জমশিদ শাহ।
নববন্ধন খেলাঘরের সভাপতি সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, নববন্ধন খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক জুটন বনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুজ্জামান সুমন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ যুবরাজ শাহ রাসেল, সাংবাদিক মাসুকুর রহমান, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জমশিদ শাহ বলেন, পতাকা উপহার দেওয়া একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটি আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, ঋণের চেক ও প্রশিক্ষণের সনদ ও উপকরণ বিতরণ করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, যুব, যুবতীসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভিন রুহি।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম, আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রওশন আলী প্রমুখ।
বক্তারা ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-যুব-জনতার আন্দোলনের ফসল আমাদের নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
যুব-যুবতীদেরকে বেকার না থেকে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের মেধা শ্রম কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠার আহবান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া প্রেসক্লাবে সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন, সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইফতাখারুল আলম শিমুল।
সবশেষে ৪০ প্রশিক্ষণগ্রহণকারী যুবক-যুবতীকে সনদ ও উপকরণ প্রদান এবং ২ জনকে ঋণের চেক দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে মো. মোরসালিন ভূঁইয়াকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামীদের তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশি পাহারার মধ্যেই আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল পৌণে নয়টার দিকে আসামী আব্দুল্লাহ, সেলিম ও শাহদুল এর তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে পরিবারসহ হত্যা মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই এলাকাতে এখনো পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত রবিবার আখাউড়ায় দেনাদারের বাড়িতে মো. মোরসালিন ভূঁইয়া (২৬) নামে এক পাওনাদারের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে মো. আব্দুল্লাহ নামে অভিযুক্ত দেনাদার পরিবারসহ পালিয়ে গেছে। মোরসালিনের পরিবারের পক্ষ থেকে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতানামা কয়েকজনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আব্দুল্লাহর কাছে মোরসালিন দুই লাখ ৪০হাজার টাকা পেতেন। পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাকে তালাবদ্ধ ঘরে ফেলে রাখা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ও অভিযুক্ত দু’জনই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। এসব নিয়ে দেওনা-পাওনা নিয়ে বিরোধেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৬টি মামলা আছে। মোরসালিনের বিরুদ্ধে আছে চারটি মামলা। তবে তারা একসঙ্গেই চলাফেরা করতো বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
নিহত মোরসালিন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুটগ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। রবিবার বিকালে একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর তালাবদ্ধ বসত ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।
সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে দাফন করা হয়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক বলেন, আগুন লাগানোর বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি সেখানে যাবো। তবে কে বা কারা লাগিয়েছে সেটি বুঝতে পারছি না।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ একটু সরে অন্যদিকে যাওয়ার সুযোগে আগুন জ্বালিয়ে তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানার চেষ্টা চলছে। তবে হত্যাকান্ড ঘটনো পরিবারটির উপর এলাকাবাসীরও ক্ষোভ ছিলো। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। আগুন লাগার ঘটনায় অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্টের (নোম্যান্সল্যান্ড) শূন্য রেখায় সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডারদ্বয়।
এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা আইসিপি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার মো. জাবেদ সশীলের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন আখাউড়া চেকপোস্ট ৬০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম। এ ছাড়া দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডাররা কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম বলেন, সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করে আসছে বিজিবি ও বিএসএফ। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সুদৃঢ় হবে।