চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ থাকা ১৪ নম্বর কূপ থেকে আবার গ্যাস উত্তোলন করতে কূপের সংস্কারকাজ (ওয়ার্কওভার) শুরু হয়েছে। সংস্কারকাজ শেষে ওই কূপ থেকে দৈনিক দেড় কোটি (১৫ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন।
আগামী দুই মাসের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিএফসিএল কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজিএফসিএলের আওতাধীন তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৩টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। কিন্তু পানি ওঠাসহ নানা কারণে সেখানকার চারটি কূপ বন্ধ আছে। এ ছাড়া দেশের আরও কয়েকটি কূপ থেকে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ আছে।
এমতাবস্থায় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাসক্ষেত্রের বন্ধ থাকা সাতটি কূপ সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) জন্য ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয় বিজিএফসিএল। বিজিএফসিএল সূত্র জানায়, সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত ১৪ নম্বর কূপটি ২০০০ সালে খনন করা হয়। এরপর ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওই কূপ থেকে ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ২০০৯ সালে গ্যাসের সঙ্গে অতিরিক্ত পানি আসায় কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংস্কার (ওয়ার্কওভার) করে ওই বছর আবার উৎপাদনে আসে। এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ হয়। ২০২০ সালে আবার পানি এলে গ্যাসের সরবরাহ কমে যায়। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। সরকার সাতটি কূপ সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) প্রকল্প নেওয়ার পর নতুন করে কূপটির সংস্কার শুরু হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লা বলেন, ২০২১ সালের নভেম্বরে ১৪ নম্বর কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন কূপটির ওয়ার্কওভার শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দুই মাসের মধ্যে ১৪ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে। ওই কূপসহ এখন তিতাসের তিনটি কূপ বন্ধ আছে। তিনটি কূপের ওয়ার্কওভার শেষে জাতীয় গ্রিডে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হবে। ইসমাইল মোল্লা আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে সাতটি কূপের ওয়ার্কওভারের কাজ করা হবে। তখন জাতীয় গ্রিডে ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া বাকি চারটি কূপ এখনো উৎপাদনে আছে। উৎপাদন ধরে রাখতে মেইনটেন্যান্স করতে হবে।
তিনি বলেন, সাতটি কূপের মধ্যে চারটি ওয়ার্কওভারের কাজ করবে বাপেক্স। দ্রুত গ্যাস উত্তোলনের স্বার্থে অন্য কূপগুলোর সংস্কার করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, প্রায় ৫৫ বছরে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের কূপগুলো থেকে প্রায় সাড়ে ৫ টিএসএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমছে। গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক রাখতে কয়েকটি কূপে ওয়েলহেড কম্প্রেসর বসানো হয়েছে।
এ ছাড়া বন্ধ কূপগুলোর ওয়ার্কওভার শেষ হলে বিজিএফসিএলের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের উৎপাদন আরো বাড়বে।
স্টাফ রিপোর্টার :
আইনমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আন্দোলনরত আইনজীবীরা। আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকে আইনজীবীরা তাদের কাজে যোগ দিয়েছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের পদচারনায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে আদালতপাড়ায়।
তবে, আইনজীবীদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন অব্যাহত রেখেছেন।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের ২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালত ১ মাসের জন্য (অবকাশকালীন ছুটি) বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে তিন আইনজীবী তিনটি মামলা দাখিল করতে যান। কিন্তু বিচারক মোহাম্মদ ফারুক নির্ধারিত সময়ের পরে যাওয়ায় মামলা তিনটি গ্রহণে আপত্তি জানান। এনিয়ে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর আইনজীবীরা সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। ১ জানুয়ারি আদালত খোলার পর এজলাসে বসে যথারীতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। বিষয়টি জানতে পেরে ২ জানুয়ারি আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে গিয়ে তাকে এজলাস থেকে নেমে যেতে বলেন। এ নিয়ে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে আদালতের কর্মচারিরা।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন শুরু করে আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নিজেদের দাবির কথা পুনরায় তুলে ধরেন আইনজীবীরা।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
এ অবস্থায় গত শনিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারন সভা করে দুই বিচারককে আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বদলির আল্টিমেটাম দিয়ে রবিবার থেকে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই বিচারককে বদলি না করা হলে তারা আবার সাধারণ সভা করে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন বলে আল্টিমেটাম দেন।
সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, দুই বিচারককে বদলির দাবি বহাল রয়েছে। আইনমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর তিনি এ বিষয়ে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রীর আশ্বাসের কারণে আমরা ওই দুই বিচারক বাদে বাকি সব আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে দীর্ঘদিন পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিচার প্রার্থীরা।
বাঞ্ছারামপুর থেকে আসা বিচার প্রার্থী মোশারফ সরকার জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। আমরা চাই আর যেন আইনজীবীরা আদালত বর্জন না করেন।
সদর উপজেলার সুলতানপুর থেকে আসা বিচার প্রার্থী আনোয়ার বলেন, আইনজীবীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে খবর পেয়ে আদালতে এসেছি। আর যেন ঝামেলা না হয় এমনটাই প্রত্যাশা করি।
নবীনগর থেকে আসা বিচার প্রার্থী শাহানা বেগম বলেন, কয়েকদিন আদালতে এসে ফিরে গেছি। রবিবার আদালত বসেছে। আমরা চাই আমাদের মামলা গুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হউক।
উল্লেখ্য, জেলা জজ আদালত এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোট ২৩ টি বিচারিক আদালত রয়েছে। দু’টি বাদে ২১টি আদালতের কার্যক্রম রবিবার শুরু হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফি সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৪০ টাকা ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা ফরম পূরণের ফি বাবদ নেওয়া যাবে। গতকাল রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এসব কথা জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২০ টাকা। ফরম পূরণ শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফির মধ্যে ব্যবহারিকসহ কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত বলেও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ১৪০ টাকার মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৬২৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৫১৫ টাকা। ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ২ হাজার ২০ টাকা ফির মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৫৩৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জের টাকা নিতে পারবে স্কুলগুলো। তবে নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি দিতে হবে। আর জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা অনুমতি বা তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের তথ্য-সংবলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার সময় ৫ জানুয়ারি শেষ হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রীড়াঙ্গন এখন সমৃদ্ধ হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভিভাবক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে যখনই স্মরণ করি তখনই ক্রীড়াঙ্গনকে প্রসার এবং সমৃদ্ধি করার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ্যাডটার্চ কাপ T- ২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৪ এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, এক্স ক্রিকেট এসোসিয়েশন খেলার যে আয়োজন করেছে তা প্রশংসার দাবিদার। এে খেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংগ সংগঠন বা ক্লাব অংশ গ্রহণ করায় খেলাটি পুরিপূর্ণতা পেয়েছ। তিনি ক্রীড়া সংস্থাকে আরোও সমৃদ্ধি করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিমের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন এক্স ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সদস্য ও আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আব্দুস সাকির ছোটন, আলী মাসুম, আবু কাউসার খান, আল মামুন, মঞ্জুর-ই মাসুদ, সাবেক ক্রিকেটার শামীম ভূইয়া, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মহিম চৌধুরী। ফাইনাল খেলায় ফুলবাড়িয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিংস্ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের আশফাক আহমেদ রোহান।
খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল ও নাজমুল হক সেলিম।
খেলায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ডাঃ সাইফুদ্দিন সুব্র, আলী মাসুম, আলমগীর সুজন ও নাদিম বাবু।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল এলাকায় জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহযোগিতায় আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এ সময় মেসার্স এলআরবি ব্রিকস নামক ইট ভাটাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর এলাকায় মেসার্স শিহাব ব্রিকস নামক আরেকটি ইট ভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ৪টি ইট ভাটাকে প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) আইন মেনে ভাটা পরিচালনার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় দায়িত্বরত ছিলেন জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ।
উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, আসনার বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী জানান, পরিবেশ সুরক্ষায় এই ধরণের কার্যক্রম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয় কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয় বার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যাপক প্রচারণা ও ভোটারদের উদ্বুদ্ধকরণে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুলকে আর সদস্য সচিব করা হয়েছে পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খানকে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এই কমিটি নির্বাচনী আচরণ-বিধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উপজেলায় নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়ন থেকে ৫ জন করে এবং ধরখার ইউনিয়ন থেকে ৬ জন আর উপজেলা জেলা থেকে ১৫ জন এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
নির্বাচনের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্যরা হলো। আবু কাউছার ভূঁইয়া, মোহাম্মদ মনির হোসেন, মোহাম্মদ জুয়েল খান, খাইরুল বাশার রিপু, জুয়েল রানা, মোঃ সিরাজুল ইসলাম ইমরান, এবিএম সাইদ হোসেন লিটন, জাহিদ হাসান, সাইফুল ইসলাম খাদেম (রুবেল), মোঃ হান্নান মিয়া, মোঃ রানা শরীফ, রুবেল আহমেদ, রাজেশ সাহা, মোঃ মোতাহার হোসেন, জয়ন্ত দাস, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মোঃ শওকত চৌধুরী, হাসান মাহমুদ পারভেজ, ইকবাল হোসেন, মোঃ মশিউর রহমান, হানিফ রানা, আতিক ভূঁইয়া, মোঃ তোফাজ্জল আলী উজ্জ্বল, কাজী শাহ আলম, বিএম ফরহাদ, মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ রাসেল মিয়া, শরিফুল ইসলাম জনি,রুকন উদ্দিন, মোঃ মুছা মিয়া, মোঃ মোজাম্মেল খান, মোঃ জাবের ভূঁইয়া, আব্দুল আজিজ, ইকবাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম সবুজ, হাফেজ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আল-আমীন ভূঁইয়া, শেখ ইয়াকুব রহমান খোকন, মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ ইয়াছিন খান (টুক্কু) ও ইকবাল হোসেন।
উপজেলা প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য সচিব ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির খান বলেন, প্রচারনায় সকলকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দসহ উপজেলার সকল কেন্দ্র কমিটির লোকজন। আমরা মাইকিং পোষ্টারিং হেনবিল বিতরণ ঠিকঠাক মত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি দেখবাল করবো।
প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের এই কমিটি। আমাদের দায়িত্ব এই উপজেলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনের প্রচার ও প্রচারনাকে বেগবান করা।