অনলাই ডেস্ক :
আসন্ন ২২ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাধারণ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা জমা দিতে হবে। তবে সদস্যদের তা দিতে হবে না।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এমন নির্দেশনা প্রার্থীদের অবহিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর এস, আর, ও নং ২৭৭- আইন/২০২৩ অনুসারে চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত ফরমে হলফনামা দাখিলের বিধান রয়েছে।
এক্ষেত্রে হলফনামার সঙ্গে যে কাগজপত্র বা তথ্য জমা দিতে হবে:
(১) প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি।
(২) বর্তমানে তিনি কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত আছেন কিনা।
(৩) তার বিরুদ্ধে অতীতে দায়েরকৃত কোনো ফৌজদারি মামলার রেকর্ড আছে কিনা, থাকলে রায় কি ছিল।
(৪) তার ব্যবসা বা পেশার বিবরণী।
(৫) আয়ের উৎস বা উৎসসমূহ।
(৬) নিজের ও অন্যান্য নির্ভরশীলদের সম্পদ ও দায় এর বিবরণী।
(৭) কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে তদকর্তৃক একক বা যৌথভাবে বা তার ওপর নির্ভরশীল সদস্য কর্তৃক গৃহীত ঋণের পরিমাণ অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা পরিচালক হওয়ার সুবাদে উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণের পরিমাণ।
মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার কুটি, লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী ইউপিতে আগামী ২৮ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ এপ্রিল, আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ ৯ এপ্রিল।
অনলাইন ডেস্ক :
হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় ১৮ জুলাই সন্ধ্যায়। যদিও এর আগে গত ১৬ জুলাই থেকে গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ আছে মোবাইল ইন্টারনেট। এতে বিপাকে পড়েছেন মাসব্যাপী মেয়াদে কেনা মোবাইল ডাটা গ্রাহকরা। তাদের দাবি, ক্রয় করা ডাটার মেয়াদ বৃদ্ধির।
দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সচল হলে অব্যবহৃত এই ডাটা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন কি না, তা জানতে উদগ্রীব গ্রাহকরা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক ১৩ কোটি। এসব গ্রাহকদের বেশির ভাগেরই ডাটা প্যাকেজ কেনা ছিল। কারো বেশি, কারো কম। ফলে সবাই কমবেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এ বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রাহকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কতটা; কীভাবে পূরণ করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে কথা চলছে আমাদের। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এদিকে, অব্যবহৃত ডাটা নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থের বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। অপারেটরগুলোকে একসঙ্গে ডেকে বৈঠকও করা হবে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আগামী রবিবার ও সোমবার (২৮ বা ২৯ জুলাই) মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে। সে বিষয়ে এখনো পরীক্ষা চলছে। তবে বিটিআরসির নির্দেশনা পেলেই তারা গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে টেলিকম কোম্পানিগুলো।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী আর নেই। আজ ১৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এভার কেয়ার হাসপাতালের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, সকাল ১১টার দিকে ’কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয় মতিয়া চৌধুরীকে। অ্যাটাক খুব ভয়াবহ ছিল। চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৮২ বছর বয়সী মতিয়া চৌধুরী বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই আজ তাঁর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে তাঁর পরিবারের একটি সূত্র।
মতিয়া চৌধুরীর জন্ম পিরোজপুরে ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। তিনি সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। ১৯৬০–এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সামরিক বিভিন্ন সরকারের সময় কারাবরণ করেন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মঠবাড়িয়ায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মো. সবুজ গাজী (১৭) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই মোটরসাইকেলে থাকা মো. আলা উদ্দিন আকন (১৭) নামের অন্য এক কলেজছাত্র আহত হয়েছেন।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজ ছাত্র সবুজ গাজী উপজেলার মানিকখালী গ্রামের কবির গাজীর ছেলে। আর আহত মো. আলাউদ্দিন আকন একই গ্রামের নুরুল আমিন আকনের ছেলে। তারা উভয়েই উপজেলার ডাক্তার রুস্তুম আলী ফরাজী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
নিহতের বাবা কবির গাজী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মোটরসাইকেল নিয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে তার এক বন্ধুকে নিয়ে কলেজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় সবুজ নিহত হয়।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে গেছে, দুই কলেজ ছাত্র মোটর সাইকেলে করে কলেজে যাচ্ছিলেন। এ সময় দক্ষিণ সোনাখালী এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় মোটরসাইকেল চালক সবুজ গাজী ও তার সঙ্গে থাকা আরোহী মো. আলাউদ্দিন গুরতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবুজ গাজীকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার রাজিব রায়হান বলেন, সবুজ গাজীকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত আলা উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
রুস্তুম আলী ফরাজী কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আলম মারুফ বলেন, ওই কলেজ ছাত্ররা বাড়ি থেকে কলেজে আসার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। নিহতের বাড়িতে কলেজের পক্ষ থেকে টিম পাঠানো হয়েছে। আর আহতকে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করা হবে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, নিহত কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ ৬ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচন কমিশন থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে তার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
গতকাল শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। ভাষণে সিইসি জনগণকে সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রার্থীদের প্রতি আহবান জানাবেন।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। রয়ে যাওয়া রাজধানীবাসীর অনেকেই আষাঢ়ের প্রথম দিন মেতে উঠেছিলেন বর্ষা বন্দনায়। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার শপথে আজ ১৫ জুন শনিবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ষা উৎসব। আয়োজনে ছিল বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদ। বাংলার পঞ্চকবির গান, কবিতার পাশাপাশি সম্মিলিত নৃত্যে সাজানো হয় এ উৎসব। সকাল সাড়ে ৭টায় বকুলতলার মঞ্চে মো. হাসান আলীর বাঁশির লোকজ সুরে শুরু হয় উৎসব।
উৎসবে শিল্পী সাজেদ আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত ‘বহু যুগের ওপার হতে আষাঢ় এলো’; সালমা আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি শোনান নজরুলগীতি ‘বরষা ওই এল বরষা’। অনিমা রায় শোনান রবীন্দ্রসংগীত ‘নীল অম্বর ঘন কুঞ্জ ছায়ায়’। নবনীতা জাইদ চৌধুরী শোনান আধুনিক গান ‘এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে’। এদিন একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন আবিদা রহমান সেতু, শ্রাবণী গুহ রায়, স্নিগ্ধা অধিকারী, রত্না সরকার, ফেরদৌসী কাকলী।
দলীয় সংগীত পর্বে বৃষ্টি নামার গানের সঙ্গে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘গাঙ্গে যাইতাছে দেখো ভাই’। বহ্নিশিখা পরিবেশন করে নজরুল সংগীত ‘রুমুঝুম রুমুঝুম কে বাজায়’। সুরবিহার পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘এসো শ্যামল সুন্দর’। এদিন পঞ্চভাস্বর, সীমান্ত খেলাঘর আসর, সুরনন্দনের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে বর্ষার গান শোনান।
আবৃত্তি পর্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’। ত্রপা মজুমদার পাঠ করেন ইন্দ্রানী সমাদ্দারের কবিতা ‘বৃষ্টি’। তিনি শোনান প্রদীপ বালার কবিতা ‘যে বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে’। নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি শোনান জয় গোস্বামীর কবিতা ‘মেঘ বালিকা’। সম্মিলিত নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়, স্পন্দন, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি অব ফাইন আর্টস, কথক নৃত্য সম্প্রদায়।
কথন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নগরে বসন্ত উৎসব, শরৎ উৎসব, নবান্ন উৎসব আর বর্ষা উৎসব পালন করি আমরা। আমাদের শস্য, গাছপালা আর ফলন যেটির কথা বলি না কেন, তার সবটাই বর্ষার ওপর নির্ভরশীল।
বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিগার চৌধুরী নগরে বৃক্ষায়নে গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা বাড়িঘর বানাতে গিয়ে গাছ কেটে ফেলেছেন তারা আরও বেশি করে গাছ লাগান। আমরা প্রকৃতির বন্ধু হতে চাই।
পরে এ উৎসবের রীতি অনুযায়ী শিশুদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন অতিথিরা।
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করা যাবে না-উদীচী : প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে প্রকল্প বা স্থাপনা গড়ে তোলা চলবে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ করতে হবে। শহরে-বন্দরে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে গাছ কাটা, পশু-পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করা চলবে না। অবিলম্বে দেশের বিলুপ্তপ্রায় পশুপাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বর্ষা উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান বক্তারা। বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানাতে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ ‘প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বিশ্ব বিবেক’ এ স্লোগানে আয়োজন করে বর্ষা উৎসবের। সকাল ৭টায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর উদীচীর সভাপতি নিবাস দের সভাপতিত্বে বর্ষা কথনপর্বে আলোচক ছিলেন কৃষি ও কৃষকবন্ধু রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা।
আলোচক ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ও বর্ষা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। উপস্থাপনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কবি রহমান মুফিজ।
সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর।