চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বেশি দামে মাছ ও ফল বিক্রি করার অপরাধে ৪ দোকানিকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২১মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান কসবা পুরাতন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা পুরাতন বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশী দামে ফল ও মাংস বিক্রির দায়ে এক তরমুজের আড়তদারকে ৩ হাজার, দোকানে সঠিক মূল্য তালিকা না থাকায় দুই ফল ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা করে ৬ হাজার টাকা এবং এক মাংস ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় প্রাইভেটকারে গাঁজা বোঝাইয়ের সময় দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ৩২ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর এলাকার শাহাপুর রাজাপুর গ্রামে গাঁজাসহ আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শাহপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর দুই ছেলে মো. সাত্তার (২৮) ও মো. সেলিম (৩২)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাইভেটকারে মাদক বোঝাইয়ের সময় দুই কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে৷
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন বিজিবি। আজ ৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোসাইস্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ও বিকেলে একই ইউনিয়নের চন্ডিদ্বার শেখ ফজলুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সুলতানপুর ৬০ বিজিবির পক্ষ থেকে এলাকার দুই শতাধিক অসহায়, দরিদ্র মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে আনন্দিত অসহায় পরিবারের লোকজন।
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
এসময় সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সহকারী পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান ও গোসাইস্থল বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মোঃ আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং এলাকার উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এএম জাবের বিন জব্বার বলেন, বিজিবি সবসময় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজ চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় প্রতারণা করে আত্মসাৎকৃত ১৫৮ বস্তা ভুট্টাসহ মো. আব্দুর রহমান নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৩ মার্চ শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. আব্দুর রহমান (৩৭) পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা (ছয়গড়িয়া পাড়া) এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের লালপুর খোলাবাজার মোহাম্মদ আলী মিয়ার রাইস মিলের গোডাউন থেকে ১৫৮ বস্তা ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার জয়নাল আবেদীন একজন সিজনাল পণ্যের ব্যবসায়ী। জয়নাল আবেদীনের ব্যবসায়িক পার্টনার আল-আমিন মিয়ার সাথে আব্দুর রহমানের মোবাইলে পরিচয় ছিল। আব্দুর রহমান জয়নাল আবেদীনকে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি বাজারের মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ তাদের নিকট থেকে ভুট্টা ক্রয় করতে ইচ্ছুক। পরে জয়নাল আবেদীন আব্দুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ১৬৪ বস্তা ভুট্টা একটি পিকআপভ্যানে করে ২০ মার্চ (বুধবার) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ হতে রওনা দিয়ে পরের দিন ভোরে কসবা তিনলাখপীর বাসষ্ট্যান্ডে এসে পৌঁছে। ২১ মার্চ সকালে আব্দুর রহমান লেবার দিয়ে তার আনা দুটি পিকাপে ভুট্টা বোঝাই করে করে কুটি এলাকায় তার গদির উদ্দেশ্য পাঠান। পরে ভুট্টার মূল্য বাবদ ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮০ টাকা দিবে বলে মো. নুরুল আলমকে আব্দুর রহমান মোটরসাইকেলে যোগে তার গদির উদ্দেশ্য রওনা দেন। পরে আব্দুর রহমান তার গদিতে না নিয়ে জেলার আখাউড়া খরমপুরের কেল্লাশাহর মাজারে নিয়ে যায়। পরে আব্দুর রহমান তার শশুরবাড়ি থেকে টাকা আনতে যাচ্ছে বলে নুরুল আলমকে তার মোটরসাইকেলটি পাহারা দিতে বলে। কিন্তু আব্দুর রহমান আর ফিরে আসেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ করে ফেলে। পরে ২৩ মার্চ সকালে জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, শনিবার রাতেই গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলার পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকা থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে রাতেই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের লালপুর খোলাবাজার মোহাম্মদ আলী মিয়ার রাইস মিলের গোডাউন থেকে ১৬৪ বস্তা ভুট্টার মধ্যে ১৫৮ বস্তা ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামল ছিল আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময়। গুম-খুন ও নিপীড়নসহ জাহেলিয়াতি যুগের সব অপকর্ম বিদ্যমান ছিল এ শাসনামলে। ১০ ফেরাউনকে একত্রে করলেও হাসিনার মতো জুলুমবাজ হবে না। তাই আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে চিরকালের মতো বাংলাদেশ থেকে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
আজ ২৪ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মহিলা কলেজ মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির সহবস্থান থাকবে। কিন্তু যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাইবে তাদের শত্রু বলে গণ্য করা হবে। ৫ আগস্টের পর তারাই শত্রু যারা আওয়ামী লীগকে বন্ধু বলে জ্ঞান করে। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাত্র জনতার পাশে ছিল। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিতে অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত দেড় দশকে যে জুলুম হয়েছে, আমি-ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে দিনের ভোট রাতে হয়েছে সে সময় কোনো জেনারেল-সচিবকে পদত্যাগ করতে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনমানুষের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে জনতাকে যাতে কেউ দাঁড় করিয়ে দিতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের চালানো গণহত্যার বিচার কাজ কতটুকু এগিয়েছে তাই স্পষ্ট করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দেশের সংস্কারের রোডম্যাপ দেশের মানুষের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিচার না হলে ধরে নেওয়া হবে এখনো দেশে আওয়ামী লীগের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিচার করে নাৎসি পার্টির মত আওয়ামী লীগকে ও বাংলাদেশ থেকে চিরকালের মত নিষিদ্ধ করতে হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের সম্মানে এ ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
মনিরুল হকের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির (দক্ষিণাঞ্চল) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চল সংগঠক ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম সুমন, জিহান মাহমুদ, কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, কসবা উপজেলা জামাতের নায়েবে আমির শিবলী নোমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তামান্না আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তবে পরিবারের লোকজন বলছে তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশারাবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তামান্না আক্তার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের ফজর পাড়ার মৃত নান্নু মিয়ার মেয়ে। ১৪ বছর আগে তামান্না আক্তারকে কসবার বিশারাবাড়ি মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সংসারে আনিকা (১২) ও সিয়াম (২) নামে দুটি সন্তান আছে।
তামান্নার চাচা ওমর ফারুক অভিযোগ, যৌতুকের জন্য স্বামী আনোয়ার ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন তামান্নাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তাকে হত্যার পর মুখে বিষ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত সহযোগিতা দাবি করেন ওমর ফারুক।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।