চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন পৌর শহরের রাধানগর এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মামুন মিয়া বর্তমান দেবগ্রাম টানা ব্রিজ সংলগ্ন ইয়াকুব মিয়ার ভাড়াটিয়া ও উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে তুহিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে থানা পুলিশ এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদ মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে আখাউড়া-সিঙ্গারবিল সড়কের পৌর শহরের টানপাড়া এলকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই দুইজন রাস্তার পাশে যাত্রীবেশে পরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের হাতে থাকা ৯টি প্লাস্টিকের মোড়া সুতলি দিয়ে বাঁধা এর ভেতরে বিশেষ কায়দায় স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখেতে পেয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। এক পর্যায় মোড়াগুলোর স্কচপেট খোলে ভেতরে গাঁজা দেখতে পেয়ে তাদেরকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে।
আখাউড়া থানার ওসি মো. নূরে আলম বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানে ১০ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা যাত্রী বেশে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করতে কৌশলে প্লাস্টিকের মোড়ার ভেতরে বিশেষ কায়দায় স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্কচপেট খোলে ভেতরে গাঁজা দেখতে পেয়ে তাদেরকেগ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মাদক মামলা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, মাদক বিরোধী অভিযান নিয়মিত চলছে। যে কোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুরস্থ প্রখ্যাত আওলিয়া হযরত শাহপীর কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির ত্রি- বার্ষিক নির্বাচন ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ ৩ নভেম্বর শুক্রবার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনসহ ৪৩ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। একজন মনোয়নয়ন পত্র সংগ্রহ করেও জমা দেননি। ২৪ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৮ টা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এবং বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মাজারটি বাংলাদেশ ওয়াকফ্ এস্টেট এর তালিকাভুক্ত একটি দরগাহ শরীফ। ই. সি. নং ৪৫৬৬।
মাজার কমিটি সুত্রে জানা গেছে, খড়মপুর গ্রামের ৭ টি পাড়া বা গোষ্ঠী পুরুষ ভোটাররা গোপন ব্যালটে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রতিটি পাড়া থেকে ৩ জন করে মোট ২১ জন সদস্য নির্বাচিত করবে ভোটাররা। ৭ পাড়ার মোট ভোটার ১১৩১ জন।
পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক এই কমিটির সভাপতি এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিনিয়র সহ সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের উন্নয়ন কাজে ব্যবহারের জন্য আখাউড়ায় রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল জায়গা জুরে ইট ভেঙ্গে সুরকি করা হচ্ছে।
বছর খানেক আগে স্কুলের সামনের পুকুরটি ভরাট করে সেখানে ইট ভাঙ্গার কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইট ভাঙ্গা হয়। এসব ইটের কনা, ধুলাবালি, বাতাসে মিশে বাতাসকে দূষিত করছে।
এসব দূষিত বাতাস আর ধুলাবালি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। শ্রেণী কক্ষের চেয়ার টেবিলে জমছে ধুলাবালি। ধুলাবালিতে কাপড়-চোপড় ময়লা হচ্ছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়ালেখা করছে বিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার ছাত্রছাত্রী। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে অবগত করা হলেও সর্তকর্তামূলক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরজমিনে রেলওয়ে স্কুলে গিয়ে যায়, বিদ্যালয় মাঠের সামান্য দূরে মেশিন দিয়ে ইট ভাঙ্গার কাজ চলছে। শ্রমিকরা ইট ভেঙ্গে সুরকি করে স্তুপ আকারে রাখছে। পাশের রাস্তায় দিয়ে পথচারীসহ ছাত্রছাত্রীরা নাকে হাত চাপা দিয়ে যাতায়াত করছে। ভাঙ্গা ধুলিকনা বাতাসে মিশে চোখে মুখে লাগছে। বিদ্যালয়ের বাড়ান্দায় ধুলাবালু জমে আছে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, ধুলাবালির কারণে ছাত্রছাত্রীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। মেয়েরা বমি বমি ভাব হয়। তাদের মাথা ব্যথা হয়। ক্লাশ রুমে বসে থাকা দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণে অসুবিধা হয়।
বিষয়টি ঠিকাদারের লোকজনকে বলার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি ইট ভাঙ্গা বন্ধ করার দাবী জানান।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা বলেন, ধুলিকানা বাতাসে মিশে বায়ুদুষণ হচ্ছে। নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা এসব দুষিত বাতাস গ্রহণ করছে। এতে ফুসফুস জনিত প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হতে পারে। অনেকের ধুলাবালুতে এলার্জি থাকে। তাদের হাঁচি-কাশি হতে পারে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেল লাইন প্রকল্পের উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধার হওয়ার বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমি সরজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ এর আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে আরো ৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় আখাউড়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামসেদ শাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভূমিহীন গৃহহীন ব্যক্তিদের মাঝে ঘর প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথথিবীতে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন। পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র প্রধান আজও এধরণের কোন মহৎ উদ্যোগ নেয়নি। আজকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিরা ভ‚মি ও ঘর পেয়ে হাঁস-মুরগি, গরু, ছাগল লালন পালন করার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি চাষাবাদ করে আয় রোজগার বাড়ানোর আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলায় ৬৬৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মুসলেহ উদ্দিন আহম্মদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সুকুমার বড়ুয়া ও প্রণব কান্তি বড়ুয়া নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতারের পর তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুকুমার বড়ুয়া চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়া প্রণব কান্তি বড়ুয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সিন্ডিকেট সদস্য ও চট্টগ্রাম ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তারা সম্পর্কে শ্বশুর-জামাতা।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক খায়রুল আলম জানান, তাদের দুইজনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা আখাউড়া ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হয়েছে। পরে তাদের আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আব্দুল হাদিস নামের একজন গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৯ জনের নামে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার হাদিসের ভাই আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. বাহার মিয়া বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদের আদালতে অভিযোগ করেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এ বিষয়ে শুনানির পর ২০১৪ সালে হওয়া হত্যার অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য আদালত আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন: আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা, তৎকালীন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সরাইল ১২ ব্যাটালিয়ানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এরশাদ, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক কাশেম ভূঁইয়া, তাকজিল খলিফার আপন বড় ভাই আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান খলিফা, মো. জাহাঙ্গীর মিয়া, জুয়েল খান, নাহিদ খান ও নাছির মিয়া। এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রীকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী নুরুজ্জামান লস্কর সাংবাদিকদের জানান, দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারাসহ হত্যার অভিযোগে এজাহার করা হয়। আদালত এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করার জন্য আখাউড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।