চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় মফকাতুল ফিতরা নির্ধারণের লক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশপাশ এলাকার বাজার দর যাচাই বাছাই করে এবারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশপাশ এলাকার জন্য সর্ব নিম্ন প্রতিজন ফিতরা ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের খুতবায় জেলা জামে মসজিদের খতিব তাঁর আলোচনায়ও এই তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, রমজান মাসে বেশি বেশি করে দান করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিৎ। কারণ এই মাসে ১টি দান অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। বিশেষ করে মসজিদ, এতিম খানা এবং অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সকলের নিকট আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট ২০২৩-২৪ এর ফাইনাল খেলা নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার অপারেশন ম্যানেজার মোঃ আতিকুল ইসলাম খান।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আবু কাউছার খান, আহমেদ হোসেন বুলবুল, আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাজিব রায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচচ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সামন্নুহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোঃ রুহুল কুদ্দুছ (শামীম)।
খেলায় টসে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ জয়লাভ করে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৪৪.৫ ওভারে ১৬৯ রান করে অল আউট হয়। অধিনায়ক তপু দত্ত ৫৫ ও আব্দুর ২০ রান করে। সম্মান ৩টি উইকেট পায়। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ২১.৪ ওভারে ৪১ রান করে অল আউট হয়। অধিনায়ক মেহেদী হাসান সর্বোচচ ১০ রান করে। আইডিয়ালের আরমান হোসেন তারেক ৫টি ও তপু দত্ত ২টি উইকেট পায়।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের তপু দত্ত।
খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মোঃ আজিম ও আব্দুল্লাহ আল গাফ্ফার রিমন। স্কোরার আল মামুন ও রাহিম খান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়াস্থ ঐতিহ্যবাহী জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরী শিক্ষালয়ে ২০২৪-২৫ ইংরেজী সনের শিক্ষাবর্ষের প্রথম সবক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সবক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম আল্লামা আখতারুজ্জামান।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান, জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে মুহতামিম ও শাইখুর হাদীস আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আল্লামা শামছুল হক সরাইলী, আল্লামা তানভীরুল হক, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন লিটন।
হাফেজ মাওঃ আলহাজ্ব জাকারিয়ার সঞ্চালনায় উক্ত সবক অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হাঃ মাওঃ মোহাম্মদ ইদ্রিস মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের গুরুত্বপূর্ণ নসিহত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহের নিরাপত্তা নিরাপত্তা, বিপদমুক্তি রহমতের বৃষ্টি ও সার্বিক সফলতার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর আশপাশের এলাকার জন্য সদকাতুল ফিতর নির্ধারণকল্পে আজ ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও মুফতিয়ানে কেরামদের এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ সভায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ, শায়খুল হাদীস আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান, মুফতি শামছুল হক মুফতি মুহসিনুল করিম সহ শীর্ষ উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ১৪৪৪ হিজরি ২০২৩ ইং সনের ফিতরা জনপ্রতি (১০০ টাকা) নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিপিবি’র সভাপতি কমরেড শাহারিয়ার মোঃ ফিরোজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জেলা বাসদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপন,সাধারন সম্পাদক সোহেল সরকার,সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,সাংগঠনিক সম্পাদক আমিলুল ইসলাম আহাদ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দেরা বলেন শাহারিয়ার মোঃ ফিরোজের মৃত্যুতে যে অপুনীয় হ্মতি হয়েছে তা পুরন হবার নয়।পরিশেষে মরহুমের রুহের আত্মার প্রতি জনান এবং শোকাহত পরিবারে প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।মরহুমের জানাজা শেষে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাসদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপনসহ অনান্য নেতৃবৃন্দেরা।
স্টাফ রিপোর্টার:
আজ মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্ম সমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন কাল। জাতীয় পর্যায়ে এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তববক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিতিতে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থনরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে।
আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ’৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলীদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সাথে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ’৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।
বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কিভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয়ার পালা। অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশের গন্ধ, বারুদে বারুদে আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ। একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শ্মশান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের আর খুলির স্তুপ একদিন পাললিক হয়।
মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।
অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হল মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।