চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যা ঘটনার মামলায় প্রধান আসামী খলিল মিয়া (৩৬) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (২৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা হতে প্রধান আসামী খলিল মিয়া ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৪ মার্চ রবিবার দুপুরে র্যাব-৯-এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত খলিল মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে ও আকলিমা বেগম খলিল মিয়ার স্ত্রী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আড়াইসিধা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিনের সাথে জায়গা সম্পত্তি তার ভাই কাশেম মিয়ার বিরোধ ছিলো।
এরই জেরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রোকন উদ্দিনের সাথে তার ভাতিজা আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা রোকন উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এই অবস্থায় রোকন উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়া বাবার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় সোহেল মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন বাদী হয়ে ০৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা গা ডাকা দেয়। গত শনিবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা হতে প্রধান আসামী খলিল মিয়া ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেফতার করা হয়। সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারত থেকে আমদানি করা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এক কোটি চার লাখ টাকার কাঁচামালসহ দুই কাভার্ডভ্যান নিয়ে পালিয়েছেন চালক। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার কোম্পানির লিগ্যাল অফিসার জুলফিকার হোসেন খান বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন, মাগুরা সদরের বুজরুক শ্রীকুন্ডি গ্রামের ওয়াহিদুল মোল্লার ছেলে কাভার্ডভ্যান চালক ইয়াছিন হোসেন (৩৩), একই এলাকার আবছার মোল্লার ছেলে হেলপার জিসান হোসেন (২৫), আনছার বিশ্বাসের ছেলে মিরাজ মিয়া (৩৯), অহিদুল মোল্লার ছেলে হেলপার মো. হৃদয় (১৯) এবং একই জেলার মহম্মদপুর থানার বিনোদপুর গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে কাভার্ডভ্যান চালক মো. তুহিন (৩৫)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ অক্টোবর ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির বৈদ্যুতিক মালামাল তৈরির কাঁচামাল (অ্যালুমিনিয়াম ইনগট) আমদানি করা হয়। মালামাল নিয়ে ৩০ অক্টোবর রাতে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কারখানায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে কোম্পানির নিজস্ব দুটি কাভার্ডভ্যান। পরদিন মালামাল নিয়ে হবিগঞ্জে পৌঁছানোর কথা থাকলেও কাভার্ডভ্যান দুটি যায়নি। এ অবস্থায় ১ নভেম্বর বুধবার রাতে কোম্পানির নিজস্ব কাভার্ডভ্যানগুলোতে সংযোজন থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে দেখা যায়, কাভার্ডভ্যান দুটি মেঘনা নদীর সেতু অতিক্রম করে আশুগঞ্জের দিকে যাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার ট্র্যাকিং করলে কাভার্ডভ্যান দুটি আশুগঞ্জে অবস্থান দেখায়।
২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় ট্র্যাকিং করলে কাভার্ডভ্যানের জিপিএস এবং চালক-হেলপারের ফোন বন্ধ দেখায়। এ অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও এক কোটি চার লাখ টাকার আমদানি করা কাঁচামালসহ কাভার্ডভ্যান দুটির সন্ধান মেলেনি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমদ বলেন, মামলার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মালামালসহ কাভার্ডভ্যান দুটি উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী মো. রুবেলের ছুরিকাঘাতে হৃদয় খান (২৫) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রুবেলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলায় আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে রুবেল, আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে সেলিম, সৈয়দ হোসেন মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন বাক্কি, আরিজ মিয়ার ছেলে মো. মনির ও আবু আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মতিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে হৃদয় খানকে ছুরিকাঘাতে খুন করে।
নিহতের পিতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল ও সেলিম। পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ আহম্মেদ জানান, নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা রুবেল ও মতিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলমান আছে। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলার আশুগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাস হত্যা মামলার দুই আসামিকে যাবজ্জীবন ও তিন জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় প্রদান করেন। রায়ে আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর গ্রামের জামাল হোসেন ও আড়াইসিধা গ্রামের জমির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুইবছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়াও একই উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মো. মোস্তফা, শাহাদাৎ হোসেন ও মাসুম কবিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্য তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া স্বাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় সাদ্দাম নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) দ্বীন ইসলাম বলেন, খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তা সন্তোষজসক। দেশে এভাবে ন্যায় বিচার হলে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, আলোচিত মামলাটির আসামিদের যথাযথ সাজা হওয়ায় অন্যান্য অপরাধীররা এ ধরনের অপরাধ থেকে নিভৃত থাকবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) শাখায় ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাসকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ওই শাখার ব্যবস্থাপক মোবাশ্বের হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তশেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যের শুভ উদ্বোধন ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয় বিতরণ কার্যের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহবাব হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেক মিয়া, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রমুখ।