চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জয়নাল উদ্দিন (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ মার্চ রবিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকায়।
জয়নাল উদ্দিন অলিম্পিক গ্রুপের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবেশক ক্ষণিকা ডিস্ট্রিবিউশনের ম্যানেজার পদে আছেন।
ক্ষণিকা ডিস্ট্রিবিউশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইখতেয়ারুল বারী তানভীর জানান, পুনিয়াউট এলাকা দিয়ে ম্যানেজার জয়নাল আরো দুইজন সহকর্মীসহ ডিস্ট্রিবিউশনের নগদ টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ১০/১২জন ছিনতাইকারী তাদেরকে ঘিরে ধরলে জয়নাল ছাড়া বাকি দু’জন পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
এসময় ছিনতাইকারীরা জয়নালের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিতে হামলা করে। তারা একপর্যায়ে জয়নালকে ছুরিকাঘাত করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে জয়নালকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে আজ ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায়, টিএ রোডস্থ জেলা কার্যালয় চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কুমারশীল মোড় হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়।
সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান হিফয্ এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, দীনি সংগঠনের ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক ফয়েজী, শেখ মুহাম্মদ শাহ আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহসিনুল করীম হারুনী, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এম আবু হানিফ নোমান, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাও. নূরুল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাও. ফয়জুল্লাহ মুহসিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাও. আল আমীন হোসাইনী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরাইলী অব্যাহতভাবে বোমা বর্ষণ করে আরেকবার প্রমাণ করেছে তারা ধর্ম ও মানবতার শত্রু এবং আল্লাহর অভিশপ্ত জাতি। ইসরাইল যুগে যুগে নিন্দিত, আগ্রাসী বর্ণবাদী ও অভিশপ্ত সন্ত্রাসী জাতি। পাশবিকতাকে ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে, বর্তমান জাতিসংঘের ভূমিকায় বিশ্ব মুসলিম বিস্মিত ও মর্মাহত। তিনি জাতিসংঘকে মুসলিম নিধনকারী সংঘ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশ্বমুসলিমকে মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের আহ্বান জানান। সেই সাথে আরব বিশ্বকে মুসলমানদের পক্ষে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিয়ে শহর প্রকম্পিত করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-ঘাট।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি রাস্তা উপচে বিভিন্ন দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লায় আটকে আছে। দিনের পর দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেন পরিষ্কার করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মীদের ড্রেনগুলোকে নামমাত্র পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মহল্লায় থাকা খাল, নালা এবং পুকুর প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হালদারপাড়া, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) সামনের রাস্তা, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ির সামনের রাস্তা, মেড্ডা আরামবাগ, নোয়াপাড়া, কাউতলী থেকে মৌড়াইল জেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, কালাইশ্রীপাড়ার রাস্তা, কালীবাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, ফুলবাড়িয়ার রাস্তাসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত পানি। আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মানুষের সচেতনতার অভাবে শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তাদের দাবি পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন মহল্লার কিছু কিছু মানুষ তাদের বাসা বাড়ির বর্জ্য ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজের সময় সেই ক্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করলে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে এই অজুহাত গত ৩ দিন ধরে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। এতে করে শহরের প্রধান বাজার আনন্দ বাজার, ফারুকী বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বৌ বাজার, কাউতলী বাজার, ভাদুঘর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে চলমান সংকট নিরসন ও মাংসের মূল্যের বিষয়টি পুনঃ বিবেচনা করতে গত মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হকের নেতৃত্বে মাংস ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে একটি স্মারকলিপি দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সরকার নির্ধারিত মূল্যেই তাদেরকে গরুর মাংস বিক্রি করার তাগিদ দেন।
তিনি দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রির যৌক্তিকতা তুলে ধরে জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত মূল্যেই মাংস বিক্রয় করার জন্য মাংস বিক্রেতাদের তাগিদ দেন, নাহলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
কিন্তু মাংস ব্যবসায়িরা তাদের দাবিতে অনঢ় থেকে আজ ২০ মার্চ বুধবারও শহরের বাজারগুলোতে মাংস বিক্রি বন্ধ রাখে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরই সরকার নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রিতে লোকসানের কথা জানিয়ে ওইদিন থেকে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেয় শহরের মাংস বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীদের দাবি খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ তাদের কেনা পড়ে ৭২০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রয় করতে হয় ৭৫০টাকা দরে। এ জন্য সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে সে দরে বিক্রি করলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
এদিকে গরুর মাংস কিনতে আসা মারুফ আহমেদ, কবির মিয়াসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, গত ৩ দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গরুর মাংসের দোকান বন্ধ থাকাতে ক্রেতাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে মাংস বিক্রির সুযোগ নেই।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের সাথে মাংস ব্যবসায়ীদের আলোচনা হয়েছে। সেখানেও জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত দামেই ব্যবসায়ীদের মাংস বিক্রীর নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, তৃনমূল থেকে জেলা সদর পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলার আয়তন, জনসংখ্যা এবং অনগ্রসরতা বিবেচনায় জেলা পরিষদ থেকে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অতীতের মত গোপনীয়তা বা অর্থলোটপাটের অভিযোগ করার কোন সুযোগ থাকবেনা।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন। সভায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলা পরিষদের রাজস্ব এডিপি ও সংসদ সদস্যদের চাহিত প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দের আওতা সর্ব মোট প্রায় ১১ কোটি টাকার দুই শতাধিক প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।
এসব প্রকল্পের মধ্যে জেলা ঈদগাহ ময়দানের বাউন্ডারি দেয়াল, স্টেডিয়াম গেইট নির্মাণ, ডাকবাংলা স্থাপন ও সংস্কার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ প্রকল্প উল্লেখ যোগ্য।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা উপ-সচিব আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান অলিও, কসবা উপজেলা চেয়াম্যান অ্যাড. রাশেদুজ্জামান কাওসার, আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সী, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঠাকুর, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন ভূইয়া, নবীনগর পৌরমেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরমেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী এবং প্যানেল চেয়ারম্যান (১) মোঃ আব্দুল আজিজ (২) মোঃ নাছির উদ্দিন (৩) সনি আক্তার, সদস্য সামসুল কিবরিয়া রাজা ও রুমানুল ফেরদৌসী সহ কর্মকর্তা সদস্য নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনে জাবেদ রহিম বিজন সভাপতি, মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার মো: ইকরামুল হক (নাহিদ) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
জাবেদ রহিম বিজন এরআগে গত ১৬ আগষ্ট প্রেস ক্লাব সভাপতির শূন্য পদে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। দুপুর ১ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ক্লাব কার্য নির্বাহী পরিষদের ১১ পদের মধ্যে ৯টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অন্যান্য পদে জয়ীরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো: জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো: ইব্রাহিম খান সাদাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সদস্য নজরুল ইসলাম ভূইয়া বিল্লাল ও শাহজাহান সাজু।
২টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীরা হলেন পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবুর রহমান খান ও সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী।
নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ক্লাবের নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহবায়ক এমদাদুল হক। তার সাথে ছিলেন জালাল উদ্দিন রুমি ও উজ্জল চক্রবর্তী।