চলারপথে রিপোর্ট :
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এড সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা কৃষক লীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক সেলিম ভূইয়া, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
এছাড়া মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচী অংশ হিসেবে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৮.৩০টায় ফারুকী পার্কে (অবকাশ) অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনশুমারি ও গৃহগণনা এর রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি জেলায় সাক্ষরতার হার গত ১০ বছরে ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭২ শতাংশ হয়েছে। কমেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। সেটা ১.৬৮ থেকে নেমে ১.৩৫ এ এসেছে।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি, ২০২২ সালে হওয়া শুমারি অনুযায়ি জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩ জন। এর মধ্যে ৪৭ ভাগ হারে পুরুষ ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৬২ জন ও নারী ৫৩ ভাগ হারে ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৫ জন। হিজড়ার সংখ্যা ১৫৬ জন। ২০১২ সালের সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ি সাক্ষরতার হার ছিলো ৪৫.২৯, যা ২০২২ সালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.১২। সাক্ষরতার দিকে থেকে পুরুষের চেয়ে নারী এগিয়ে। পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭১.৭৪, নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২.৪৪।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন প্রবাসে থাকেন। সবচেয়ে বেশি নবীনগর উপজেলার ৫৭ হাজার ৯৮ জন প্রবাসে থাকেন। শুমারি চলাকালীন ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি ৪১.৭০ জন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছিলেন না, কাজে নিয়োজিত ছিলেন না কিংবা বৃত্তিমূলক কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহন করেননি। এর মধ্যে ৫৭.৩২ ভাগ নারী ও ২০.১৯ ভাগ পুরুষ।
পাঁচ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে ৮.১৬ ভাগ ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছেন। সাধারণ শিক্ষায় আছেন ৮৮.২১ ভাগ। কারিগরি শিক্ষায় ০.৩৪ ভাগ। অন্যান্য শিক্ষায় আছেন ২.৪৮ ভাগ। জেলায় মুসলমান ৯৩.২৯ ভাগ। হিন্দুর সংখ্যা ৬.৬৮ ভাগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পদোন্নতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, দীর্ঘ সময়ের কর্মক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আজীবন আমার হৃদয়ের মধ্যে গাঁথা থাকবে।
তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে অতীতের মতো সকলে একটি ইউনিট হয়ে কাজ করতে হবে।
আজ ১ জুলাই সোমবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে কর্মকর্তা কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত মোঃ মাসুদ পারভেজ জেলা ও দায়রা জজ পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ জজ) নিয়োগ হওয়ায় পদোন্নতি জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এঁর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকির যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সুমনময় চৌধুরী, বেঞ্চ সহকারী শরীফুল আলম, অফিস সহায়ক জিয়াউল আমিন প্রমুখ।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সকল বিচারক এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিদায়ী পদন্নোতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ এরঁ হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রয়াত দুই এমপির পুত্রসহ ২৫জন জামানত হারিয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সাবেক দুই এমপি পুত্র হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯১০। এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
এই আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ৪২৭ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম ওরফে গরীবুল্লাহ সেলিম-(লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ২০৪ ভোট, ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন (হাতুড়ি প্রতীক) ১৪০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এই আসনে নির্বাচন করেন জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭জন প্রার্থী। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০।
এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এই আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভ‚ইয়া মাত্র ৩ হাজার ৪০৮ ভোট, এই আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার ছেলে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ৪ হাজার ৩১৮ ভোট, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক) ৯৯৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক), ৩৭৯ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ( ফুলের মালা প্রতীক) ৫২২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩-(সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ২৯হাজার ৭৮৮। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী শাহ জামাল রানা-(নোঙ্গর প্রতীক) ৯৩১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা প্রতীক) সোহেল মোল্লা ৬৮৮ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ প্রতীক), মুজিবুর রহমান হামিদী ৪৭৩ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম (মোমবাতি প্রতীক), ৩৭৬ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ (আম প্রতীক), সৈয়দ মাহমুদুল হক ৩০৯ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান ওরফে ওমর (মশাল প্রতীক), ২২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি ২লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।
এই আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান (আম প্রতীক) ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট ও ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস (ফুলের মালা প্রতীক) ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১লাখ ৭৬হাজার ৮৭৩ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান ১লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন ( লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান (মিনার প্রতীক) মাত্র ২ হাজার ৭৫৪ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ (ফুলের মালা প্রতীক) মাত্র ৭৭৬ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার (একতারা) ৭৬২ ভোট, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ (ঈগল প্রতীক) ৪৭১ ভোট ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ প্রতীক) মাত্র ৪৩৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ০৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৯৭০জন। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন (লাঙ্গল প্রতীক) ২ হাজার ৮১৭ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া (একতারা প্রতীক) ১ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসে নতুন সূচনা করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী। আর ১১ জন পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মোট ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর নামের তালিকা পেয়েছি। এখানে আসার আগে তাদেরকে টেলিফোনে জানিয়েছি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব, মন্ত্রী হচ্ছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান এবং সামন্ত লাল সেন।
তাদের মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও ডা. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্রেট মন্ত্রী হচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল টিটু এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান হবে শুক্রবার। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে। নতুন সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন, তা জানা যাবে দপ্তর বণ্টনের পর।