চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২৭ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা শহরের পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোডে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফজলুল হক জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের আলী আহাদের ছেলে।
ফজলুর রহমান ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী। তিনি জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বিকেলে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে দিন দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুর রহমান বলেন, সকালে বাসা থেকে জমি বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য রিকশায় করে রওনা দেই। বাসার একটু সামনে পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোড আসিফ টিউটোরিয়াল অ্যান্ড হাই স্কুলের সামনে গেলে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রঙের একটা হাইয়েক্স মাইক্রোবাসে থাকা তিনজন আমার রিকশা গতিরোধ করে। পুলিশের ড্রেস পরা একজন ও বাকী দুজন তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার নাম জানতে চায়। আমার সঙ্গে অবৈধ জিনিস আছে বলে জোড় করে গাড়িতে তোলে। উঠতে না চাওয়ায় তারা আমাকে মারধর করে। চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। আমার সঙ্গে থাকা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার ব্যাগসহ তারা আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আমারে অনেক ভয় ভীতি দেখিয়ে জেলা শহরের পীরবাড়ি এলাকার একটু সামনে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী পানের টংয়ের দোকানদার আলিয়া বেগম ও সেন্টু মিয়া জানান, পুলিশি পোশাক থাকায় ঝামেলা হতে পারে ভেবে কেউ এগিয়ে যাইনি। পরে জানতে পারি তারা পুলিশ ছিলো না। তারা পুলিশের পোশাক পড়া ছিনতাইকারী। দিন দুপুরে এমন ঘটনায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আশপাশে থাকা সব সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। শিগগিরই রহস্য উৎঘাটন করতে পারবো বলে আশা করছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চন্ডালখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে উঠান বৈঠক ও তেলীনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কমিউনিটি সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান সমূহে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে ভিডিও কলে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান সমূহে চণ্ডালখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসমা বেগম, সহ: শিক্ষক সাবেকুন নাহার, মাহবুবা খানম, তানজিয়া ইসলাম, ওমর ফারুক, আবু তাহের এবং তেলীনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ মাহমুদা আক্তার, সহ: শিক্ষক ফৌজিয়া আছমা, মমতা বালা দেবী, সাবরিনা আক্তার সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে ৫ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) এলাকার একটি বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে ৪ নারী ও ১ পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার খলাপাড়া গ্রামের আমির আলীর ছেলে মোঃ আবদুর রউফ, সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী শিল্পী, বিল্লাল মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া, সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়াইন গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে জাকিয়া, ভোলা জেলার ওয়াজপুর গ্রামের রুবেল মিয়ার স্ত্রী তামান্না আক্তার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের লোকনাথ উদ্যান এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বহুতল ভবনের ৫ তলায় অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ৪ নারী ও ১ পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা ওয়ারি জোনের ডিসি (উপ-কমিশনার) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যাত্রাপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতিকালে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে এক আনন্দ আড্ডায় মিলিত হন। এ সময় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাদা, সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আরজু, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত মোঃ সাবেরিন ভূঞা লিটন।
দুলাল মিয়া :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
এছাড়া, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত কলম) প্রতীক ২৭২৮, আব্দুল করীম (মোটর সাইকেল) প্রতীক ২৮২, মোহাম্মদ লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) ১৯৬ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রবিউল আলম (চশমা) প্রতীক ৩৬ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম) প্রতীক পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৩৩ ভোট।
এছাড়া, শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতীক ১৯ হাজার ৮১৭, মো: আনিছ খাঁন (টিউবওয়েল) ১৫ হাজার ২১৬, মোঃ আজহারুল ইসলাম (তালা) ৭হাজার ৫৯০, মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই) ৬ হাজার ৬৮২, তফাজ্জল শিকদার (উড়োজাহাজ) ৫ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল) প্রতীক ৩৯,১৩৪ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতীক পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২৬ ভোট।
এছাড়া, উম্মে হানি সেতু (কলস) প্রতীক ২৭ হাজার ৯২৬ এবং নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) প্রতীক পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৫৯ ভোট।