চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতি ঠেকাতে সাত কিলোমিটার ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার সরাইল থানা ও কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ধরন্তি এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কের দুই পাশে ছোট গাছপালা গজিয়ে ঝোপঝাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই এ সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের দল এসব ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে। এ কারণে যাত্রী ও পরিবহন চালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ অবস্থায় সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ থেকে ধরন্তি কুইট্টা ব্রিজ পর্যন্ত এবং কুইট্টা থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, সড়কে নিরাপত্তার জন্য সরাইলের অংশ আমরা পরিষ্কার করছি। নাসিরনগর থানা পুলিশ বাকি অংশ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবেশে মাদক পাচারের সময় দুই নারীকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়া (শহিদুলের বাড়ি) গ্রামের মো. সবুজ শেখের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) ও জামালপুরের সদর উপজেলার মহেশপুর (আনাকাছা) গ্রামের মো. আয়নাল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০)।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সবুজ বাংলা হোটেলের পাশে যাত্রীবেশে অপেক্ষা করার সময় দুই নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের তল্লাশি করে ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ রুবেল মিয়া (৩০) ও বাদশা মিয়া (২৬) নামের দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছেন সরাইল থানা পুলিশ।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বাড়িউড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি চালিত অটোরিকশাটিও।
পুলিশ জানায়, শনিবার গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে এস আই মো. ফারুক হোসেন ও এএসআই রুবেল আখন একদল পুলিশ নিয়ে মহাসড়কের বাড়িউড়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে তারা মহাসড়কের উত্তর পাশে কালু মিয়ার খাজা গরীবে নেওয়াজ ষ্টোর এর দক্ষিণ পাশের রাস্তার উপরে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটক করে তল্লাশি চালায়। সিএনজি থেকে ১৪ কেজি উদ্ধার করেন। সেই সাথে সিএনজি’র যাত্রী ২ মাদক ব্যবসায়ি রুবেল ও বাদশাকে গ্রেফতার করেন। রুবেল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবনগর গ্রামের প্রয়াত তৌহিদ মিয়ার ছেলে। আর বাদশা কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রামশংকরপুর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।
তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য ১ লাখ ১২ হাজার টাকা। মাদক ব্যবসায়ি রুবেল জানায়, গত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে এই রোডে মাদক পাচারের ব্যবসা করে আসছে সে। এক চালান পাচার করতে পারলে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত ২ ব্যক্তি পেশাদার মাদক ব্যবসায়ি। মাদকের সাথে কোন ধরণের আপোষ নেই। মাদক কারবারী ও সেবনকারীদের বিরূদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এবং এ ব্যাপারে আমরা সব সময় কঠোর অবস্থানে আছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত দরিদ্র অসহায় ২৩ রোগী পেল ১৮৪০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ প্রত্যেক রোগীর জন্য ৮ হাজার টাকা মঞ্জুর করেন।
৮ এপ্রিল সোমবার সকালে উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
সূত্র জানায়, দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল লোকজন আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ ২৩ রোগীর প্রত্যেকের জন্য ৮ হাজার করে মোট ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা মঞ্জুর করেন। সহায়তার ওই টাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে রোগীদের হাতে তুলে দিয়েছেন ইউএনও।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী।