চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদ আনন্দ হউক সবার- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা শ্রেণী পেশার ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাউল ৫ কেজি, আটা ২ কেজি, তেল ১ লিটার, পোলার চাউল, মুসুর ডাল, লবন, চিনি, সেমাই, ট্যাংসহ ১০ ধরণের খাদ্য সামগ্রী। মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ.এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মানবিক ডাকে সাড়া দিয়ে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অনুকরণীয়। সমাজের বিত্তবানরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে এলে সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামির সহযোগিতায় গড়ে উঠা এ সংগঠনটি ১১ বছর ধরে এ মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদ ভূইয়া (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ২০ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আগরতলা সড়কের কোড্ডা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
এই দুর্ঘটনায় একই কার্যালয়ের প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমানসহ (৩৮) আরো ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিকেলে একটি জরুরি সভায় অংশগ্রহণ করেন আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া।
সভা শেষে তিনি প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আখাউড়ায় যান। সেখান থেকে রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেরার পথে কোড্ডায় তিতাস নদীর সেতুর আগে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারা দু’জনসহ ৫ জন আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি (বারুণী) মেলা।
আজ ২৭ এপ্রিল) শনিবার সকালে তিতাস নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গা স্নানের মধ্য নিয়ে এই বান্নি শুরু হয়। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ১৪ তারিখ এ বান্নি অনুষ্টিত হয়। ঠিক কত বছর আগে এই বান্নির যাত্রা শুরু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারেননি। মূলত গঙ্গাস্নান কে কেন্দ্র করে তিতাস পাড়ে বসে এ বান্নি মেলা। মেলায় অংশ নেয়া ভক্ত ভক্তপূর্ণার্থীদের পাশাপাশি দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বেঁচাকেনা ভাল হওয়ায় বেশ খুশি তারা।
শনিবার সকালে ভাদুঘর তিতাস পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই নদীর তীরে এসে জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্তপুন্যার্থী। তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গা স্নানে অংশ গ্রহন করেন। নদীর পবিত্র জলে গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি দেশ জাতীর কল্যাণ কামনায় তারা বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।
সুস্মিতা রানী দাস নামে এক ভক্ত জানান, নদীতে গঙ্গাস্নান করেছি নিজের জড়ো দেহের জানা অজানা পাপ মোচনের জন্য। গঙ্গাস্নান শেষে গঙ্গা মায়ের কাছে পরমকরুনাময় ভগবানের কাছে নিজের পরিবার ও দেশের মানুষের মঙ্গলকামনায় প্রার্থনা করেছি।
মিষ্টিদেব নামে অপর ভক্ত জানায়, গঙ্গার পবিত্র জলে স্নান করার পর রোগশোগ মোচন হয়। এই বিশ্বাস থেকে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়েছি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন।
মেলায় আসা বিজয় দাস বলেন, গঙ্গাস্নান করেছি।মেলা থেকে নারু, মন্ডা মিঠাই,তিল্লাই, খই,চিড়া কিনেছি। বাচ্চাদের জন্য খেলনা সামগ্রী ক্রয় করেছি, বেশ ভাল লেগেছে।
এ দিকে ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নান কে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষো বসেছে লৌকজ মেলা (বান্নি)। মেলায় নাগরদৌলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাঠির তৈরী বাহারী খেলনা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। ভক্ত সমাগম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেঁচাকেনা ভাল হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা।
খাবারের দোকানের পসরা নিয়ে আসা রথিন্দ্র নাথ রায় জানান, ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভাল। বেঁচা-কেনাও হচ্ছে বেশ। তাই তিনি বেশ খুশি।
মাটির খেলনা সামগ্রী নিয়ে আসা পবিত্র পাল বলেন, প্রতিবছর ভাদুঘরের বান্নিতে আসি। এবারো এসেছি। ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভাল।
মেলায় ঘুরতে আসা রাফি বলেন, বৈশাখ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলা হয়ে থাকে। তবে ভাদুঘরের এই মেলা ঐতিহ্য রয়েছে। এই মেলাকে আমরা বান্নি বলে থাকি। আগে বাবা দাদাদের সাথে আসতাম। আজ নিজের ছেলে মেয়ে কে নিয়ে এসেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জানান, মেলায় যে কোনো ধরনের অপতৎপড়া রোধ করার জন্যে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এই মেলায় অন্তত ৫’শতাধিক দোকানি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে। এর থেকে কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্যের আশাবাদ স্থানীয়দের।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’টি রামদা, একটি ছুরি ও একটি লাঠিসহ চার ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পুনিয়াউট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যেটি তাদেরকে গ্রেফতারের চার-পাঁচ ঘন্টা আগে এক কলেজ ছাত্র থেকে ছিনতাই করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার রিপন মিয়া, আমীর হোসেন, মোঃ হৃদয় ও আকাশ মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন ও কয়েকটি রাম দা, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনজিও সংস্থা আশার উদ্যোগে খেলাপী হ্রাস ও ঝুঁকি নিরসনে বিএম’র করণীয় শীর্ষক কর্মশালা আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালায় আশার সকল ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগণ অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন আশার হবিগঞ্জ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ফ্যাসিলিটেটর সহায়ক একে.এম তারেক, সিনিয়র ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
কর্মশালায় খেলাপী বৃদ্ধকরণ, ঝুঁকিমুক্ত ঋণ বিতরণে করনীয়, ব্রাঞ্চ টেকসই উন্নতিকরণ, মানি লন্ডারিং, সার্বিক উন্নতি করণীয় ও কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন পৌর এলাকার মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোকিল টেক্সটাইল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা সড়ক ও জনপথের জায়গাসহ সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করেছিলো। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। কিছুদিন পরেই আবার প্রভাবশালীরা ওই জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করেন।
শনিবার পুনারায় ওই স্থাপনাগুলো পুনরায় উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকালে পুলিশ, ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেযারসহ জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।