চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যের শুভ উদ্বোধন ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয় বিতরণ কার্যের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহবাব হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেক মিয়া, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও নবীনগরে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের ভবানীপুর ও নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কালু মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে ও সরাইল উপজেলার পানিশ্বর এলাকার বাসিন্দা জনি মিয়া।
জানা যায়, বাজার থেকে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন চাচা কালু মিয়া ও ভাতিজা হোসেন মিয়া। পথে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের ভবানীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজা গুরুতর আহত হলে দ্রুত তাদের আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক কালু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং হোসেন মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে।
এদিকে, বিকেলে নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা বাজারের বৃষ্টি শুরু হলে জনি মিয়া নদীর পাশে বালুর নৌকায় উঠে। এ সময় বজ্রপাতে জনি গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা জনিকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহম্মেদ জানান, বিকেলে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে ভবানীপুরে বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজা গুরুতর আহত হন। পরে চাচা মারা যান। ভাতিজাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। তবে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আজ ১১ অক্টোবর বুধবার আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ বিভিন্ন পার্টির ৬জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। প্রার্থীরা সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত মোঃ শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ আবদুল হামিদ, জাকের পার্টি মনোনীত জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ, দুপুর পৌনে ১টার দিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, পরে পর্যায়ক্রমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ রাজ্জাক হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম।
অপরদিকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
মনোনয়রপত্র দাখিল শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম বলেন, ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছে মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টির প্রার্থী। উপ-নির্বাচনে দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা খুশী। জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিব ইনশাল্লাহ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমার অসমাপ্ত কাজগুলোসমাপ্ত করার জন্য উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের অনুসারী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। জাতীয় পার্টিতে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা আছে। যার কারনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আশা করি নির্বাচনে জনগণের দোয়া এবং ভালোবাসা নিয়ে আমি বিজয়ী হবো।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, এক মাসের জন্য নির্বাচন হলেও এটি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আমার বিশ্বাস। কেননা এর পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আশা করি নির্বাচন কমিশন এবং সরকার চাইবেনা নির্বাচনটি বিতর্কিত হোক। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহগীর আলম বলেন, উপ-নির্বাচনে ৬জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপীল ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপীল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর ও আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ নৌবন্দর উন্নয়ন ও সরাইল-ধরখার-আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী নেতৃত্তে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনের দিন গুলোতে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে। যাতে করে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারি। তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি যে এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সহিত আমাদের সহযোগিতা করেছেন যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমি আজ এখানে এসেছি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক যে প্রকল্পের কাজ হচ্ছে সে কাজের গতিবিধি কেমন চলছে এবং প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে আমাদের আরও কি করনীয় আছে তাই দেখলাম। কানেক্টিভিটির এই প্রকল্পটি আমাদের দু’দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার আশুগঞ্জ নৌবন্দর হয়ে সড়ক পথে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌছালে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার অংগ্যজাই মারমা ও স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের পরিচালক শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক খালেদ সাহিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পের কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় তিন দফায় বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ভারতের ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।