চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যের শুভ উদ্বোধন ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয় বিতরণ কার্যের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহবাব হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেক মিয়া, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, মাদক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ ইমন মিয়া ওরফে সেলিম, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী মোঃ আজিজুল হক (৩২) এবং মাদক ব্যবসায়ী মোঃ হাসান মিয়া (৪৫)।
আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাতে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ ইমন মিয়া ওরফে সেলিমকে শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম কান্দিপাড়ার কাউছার মিয়ার ছেলে। একই রাতে গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী মোঃ আজিজুল হককে গ্রেফতার করা হয়। সে সদর উপজেলার ররিশল গ্রামের শেখ আহাম্মদের ছেলে। এ ছাড়া ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী হাসান মিয়াকে পৌর এলাকার সবুজবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হাসান মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার খোলাপাড়ার মোঃ মহিউদ্দিন প্রকাশ মহিজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা সবুজবাগ এলাকায় বসবাস করে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
আশুগঞ্জ উপজেলায় সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে মা ও দুই সন্তানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠান।
আহতরা হলেন- মনির হোসেনের স্ত্রী আকলিমা (৩৫), তার দুই সন্তান মোহাম্মদ (৮) ও মারিয়া (৬)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মনির মিয়া ইটভাটা শ্রমিক। গ্রামের অন্য বাড়িঘর থেকে মনির মিয়ার বাড়িটি কিছুটা দূরে। সেখানে চারচালা টিনের ঘর ও মেঝে কাঁচা অবস্থায় আছে। ইট তৈরির মৌসুম থাকায় তিনি ভাটায় আছেন। বাড়িতে শুধু তার স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান থাকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, বুধবার রাতের কোনো এক সময় ঘরের সিঁদ কেটে ভেতরে ঢুকে মনিরের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে এসে দেখি তিনজন রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। তাদের দ্রুত স্থানীয়দের দিয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়।
আব্দুর রউফ আরো বলেন, তিনজনকে কুপিয়ে জখম করলেও ঘরের কোনো জিনিস নেয়নি। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পুলিশকে খবর দিয়েছি।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় দিদার হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের এক পা গাছে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনার মূল হোতা মো. জামিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জামির গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে গাছের ডালে এক পা বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে দিদার হোসেনকে মারধর করে এবং তার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। অভিযুক্ত জামির উপজেলার চরচালতলা এলাকার বোমা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানায় তার নামে মোট ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে একই এলাকার চরচারতলা গ্রামের ল্যাংটার ব্রয়লারের সামনে তোফাজ্জলের কাছে নৌকার কাজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে দিদারের সঙ্গে তোফাজ্জলের বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুপুরে দিদার বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে একই এলাকার কুদ্দুছ ওরফে বোমা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে জামির (৪০), ইসলাম মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল (২৮), ইউনুছ মিয়ার ছেলে মাসুদ (৩৮), শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাকিল (৩০), হামদু মিয়ার ছেলে আকাশ (৩০) ও হারুন মিয়ার ছেলে নাসির (৪০) দিদারকে ধরে নিয়ে যায়। পরে দিদারকে মিডল্যান্ড পাওয়ার প্লান্টের পাশে নিউ এশিয়া প্রজেক্টের খালি জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে একটি কড়ই গাছের ডালে দিদারের ডান পায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে জামিরসহ অন্যরা মোটা রশি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এরপর দিদারের মাকে মাসুদের মোবাইল দিয়ে কল করে তার ছেলেকে ২ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। এসময় দিদারের মা আশপাশের প্রতিবেশী নিয়ে দৌড়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে যায়। সেখানে গিয়ে সে তার ছেলেকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার জন্য সবার পায়ে ধরে অনুরোধ করে। টাকা না দিলে দিদারকে নামানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। পরে দিদারের মা টাকা দিতে রাজি হলে দিদারকে গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়। দিদারের মা বাসায় এসে আশপাশের লোকের কাছ থেকে ধার দেনা করে ৩০ হাজার টাকা জামির ও তোফাজ্জলের কাছে দেয়। জামির, তোফাজ্জল, মাসুদ, শাকিল, আকাশ ও নাসিরসহ সবাই এই বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এই ঘটনায় দিদারের বাবা বাদি হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে আশুগঞ্জ থানায় জামিরসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ আহমেদ বলেন, দিদারের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা পেয়ে আমরা আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাই। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালাই। সেখান থেকে মূল হোতা জামিরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে জামিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জামিরের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মোট ৮টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জের আলোচিত সন্ত্রাসী মো. দ্বীন ইসলাম সরকার ওরফে ধীরাকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বন্দর এলাকার ট্রানজিট মাঠের বিদ্যুতের টাওয়ারের নিচে ঝোপের মাটির নিচ থেকে ৪ রাউন্ড সিসা কার্তুজসহ একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে উপজেলা শহরের আর জে টাওয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড বারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
মো. দ্বীন ইসলাম সরকার ওরফে ধীরা উপজেলার চরচারতলা গ্রামের হাজী মো. মোগল মিয়া সরকারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র মামলাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ জানান, সোমবার রাতে আশুগঞ্জের আলোচিত সন্ত্রাসী ধীরা আর জে টাওয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড বারের সামনে স্থানীয় লোকজনের সাথে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্যমতে ৪ রাউন্ড সীসা কার্তুজসহ কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরি একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়।
আটক দ্বীন ইসলাম সরকার ওরফে ধীরার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. কবির হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পর আশুগঞ্জ সার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে শুক্রবার রাত থেকে। কারখানা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ এ সময়ে কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রায় ৩ লাখ ( ২ লাখ ৯০ হাজার) টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। প্রথমে ওভারহোলিং (এসএনসি বয়লারের টিউবসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন ও মেরামত) ও পরে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় গত মার্চ থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় পর কারখানা উৎপাদনে ফিরে আসায় শ্রমিক-কর্মচারিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ৯০ দিনে কারখানার ওভারহোলিং কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এবং চলতি বছরের জুনের শুরুতেই পুনরায় উৎপাদনে ফেরার লক্ষ্যে গত ১ মার্চ থেকে কারখানাটি বন্ধ কওে কর্তৃপক্ষ। জার্মান, কানাডাসহ বিদেশি প্রকৌশলীদের সহায়তায় ১৫ জুন ওভারহোলিং শেষ করে কর্তৃপক্ষ। ওভারহোলিং কাজ শেষ হলেও কারখানার গ্যাস সরবরাহ না থাকায় কারখানাটির স্টার্টআপ কওে ওভারহোলিং কাজ যাচাই বা উৎপাদনে ফিরতে পারেনি। অবশেষে চলতি মাসের প্রথমদিকে কারখানার উৎপাদন বিভাগে গ্যাস সরবরাহ দেয় বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানাটি চালুর প্রক্রিয়া শুরু করে এবং শুক্রবার রাত (০৮-০৫) থেকে পুনরায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, কারখানাটি চালু থাকলে দৈনিক কমপক্ষে ১ হাজার থেকে সাড়ে ১১০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন হয়। প্রতিটন ইউরিয়ার তালিকাভুক্ত ডিলারের কাছে বিক্রয়মূল্য ২৫ হাজার টাকা। এ হিসেবে গত সাড়ে ৯ মাসে কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় পরে হলেও কারখানা চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারী নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে কারখানার সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক মো. কবীর হোসেন বলেন, কারখানা বন্ধ থাকলে দৈনিক ১ হাজার থেকে সাড়ে ১১০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়। দীর্ঘ সময় পর হলেও কারখানা চালু হওয়ায় তারা সরকার ও কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুনীল চন্দ্র দাস বলেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে।