অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ৩ এপ্রিল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে এ সহযোগিতা চান তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাকিদের ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ইতোমধ্যেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। আমি চাই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীন সহায়তা করুক।’
নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল এতোদিন অবহেলিত ছিল। কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো সরকারই এ এলাকার উন্নয়নে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
ইয়াও ওয়েন শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল, দুই ছেলে আদিল রশিদ ও আয়ান রশিদ, বোন মেহেতাজ চৌধুরী, ভাই মুনাফ মজিব চৌধুরী ও নিকট আত্মীয় কাওসার হোসেন চৌধুরী; শিক্ষক মাসুকা বেগমের বোন পাপড়ি রহমান ও ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান এবং শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা, বোন মুরশিদা খাতুন, ভাগ্নে মো. মাইদুল ইসলাম ও নিকট আত্মীয় হুমায়ূন কবির।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানামাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, এ শোক আপনাদের একার নয়। জাতি হিসেবে আমরা এই শোককে ধারণ করি। এসময় তিন শিক্ষক পরিবারের কাছে তাঁদের স্মৃতিকথা শুনতে চান প্রধান উপদেষ্টা।
শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, তাঁকে যখন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল তখন ফোনে আমার সাথে কথা হয়। সেদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে যে দৃশ্য দেখেছি, তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। জীবনে যেন কারো সেই অভিজ্ঞতা না হয়। তাঁকে দেখলাম, একপাশ পুরোটা পুড়ে গেছে। সেখানে (বার্ন ইনস্টিটিউট) কয়েকজন সামান্য দগ্ধ বাচ্চা চিকিৎসা নিতে নিতে বলল, “মিসই আমাদের টেনে টেনে বের করে আনল! মিস তো সুস্থ ছিল! এমন হলো কেন! তুমি বের হয়ে এলে না কেন? তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না?” সে আমাকে বলল, ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা রেখে আমি কী করে চলে আসি?” পৃথিবীর সকল মানুষ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তার জন্য দোয়া করেছে। সবার জন্যই সে নিবেদিত প্রাণ ছিল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৪ই আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষক মাহফুজা খাতুন। মায়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা।
আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, মা অনেকখানি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। আমি ভেবেছিলাম, মা’কে নিয়ে বাড়ি ফিরব। মা’কে যেদিন হুইলচেয়ারে বসাই সেদিন মনে হলো আমি বিশ্বজয় করেছি। মা ছাড়া একেকটা দিন আমার স্বপ্নের মতো মনে হয়। আমার তো বাবা নেই, এখন মাও চলে গেল। আমি এতিম হয়ে গেলাম। এখন পর্যন্ত নিজের বাসায় ফিরতে পারিনি। মা ছাড়া সে বাসায় ফিরব কী করে?
শিক্ষক মাসুকা বেগমের ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেক দিন ধরেই তাঁর বোন অসুস্থ। চোখে কিছুটা কম দেখেন। মাসুকা সবসময় তাঁর বাবা ও বোনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, তাঁদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা ছিল। বাবাকে নিয়মিত হাতখরচ পাঠাত। আমার ছেলে-মেয়েদের ও নিজের সন্তানের মতো মনে করত। প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে ওর কথা হতো। আমরা আর তার স্কুল—এই ছিল তাঁর জীবন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তাঁদের কথা শুনতে কষ্ট লাগে। একইসঙ্গে গর্ববোধ হয় যে আমাদের দেশে এমন নাগরিক আছে যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে। মানবতার এই দৃষ্টান্ত তারা প্রমাণ করে গেছে। আমরা ক্ষুদ্র মানব ছিলাম, তারা আমাদের বড় করেছে। সবার ভেতরে নাড়া দিয়েছে। সবাই এটা নিজের মধ্যে অনুভব করেছে যে, “আমি যদি সেই অবস্থানে থাকতাম, আমি কী করতাম? আমি কি জীবনের পরোয়া না করে এভাবে ছোট শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে আত্মবিসর্জন দিতাম?” এই প্রশ্ন সবার মনে এসেছে। এই শিক্ষকগণ আমাদের গর্ব, আমাদের আদর্শ। তাঁদের স্মৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, আমাদের তা করব।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন।
লাইলাতুল কদর একটি সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আমি কুরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে।’ ‘লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ ‘এ রাতে ফেরেশতারা ও জিবরাইল তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় এ রাত ফজরের সূচনা পর্যন্ত’। (সূরা কদর)।
আভিধানিকভাবে লাইলাতুল কদর অর্থ সম্মানের রাত। তাফসিরের কিতাবগুলোতে উল্লেখ রয়েছে, একদিন নবী করিম (সা.) এ ভেবে অস্থির হচ্ছিলেন যে, আগের নবীর উম্মতেরা দীর্ঘ হায়াত পেত। ফলে তারা অনেক বেশি ইবাদত-বন্দেগির সুযোগ পেত। কিন্তু শেষ নবির উম্মতের হায়াত খুবই সীমিত। অতএব তাদের পক্ষে উচ্চমর্যাদা লাভের সুযোগ কম। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এ সূরা নিয়ে উপস্থিত হন হজরত জিবরাইল (আ.)। ফলে শান্ত হন মহানবি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা।
আল্লাহতায়ালা এ রাতেই কুরআন মাজিদ নাজিল করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তেমনি এ রাতটির মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি বলেও ঘোষণা করেছেন; কিন্তু রাত কোনটি তা বলে দেননি। হাদিস শরিফেও নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোনটি কদরের রাত। নিঃসন্দেহে এতে অনেক রহস্য ও তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। তবে রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত অনুসন্ধানের তাগিদ দিয়েছেন। ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাতে পারলে এ রাতের প্রকৃত সুফল পাওয়া যায়।
হয়তো আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূল (সা.) চাননি মুসলমানরা একটি রাতের ভরসায় বসে থেকে সারা বছর বা সারা মাস অবহেলায় কাটিয়ে দিক। এজন্য এটিকে রহস্যময় করে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমেই মূল্যবান কিছু অর্জন করতে হয়। যে রাতের মূল্য হাজার মাসের চেয়ে বেশি, তা যদি সহজে পাওয়া যেত, তা হলে মানুষ হয়তো এটিকে বেশি গুরুত্ব দিত না। তাই তা অনির্দিষ্ট করে রেখে মানুষকে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
বেশিরভাগ বর্ণনা অনুসারে রমজানের শেষ দশকেই তা লুক্কায়িত রয়েছে। আবার কারও কারও মতে, এ রাতের তারিখ পরিবর্তনশীল। কোনো বছর একুশ, কোনো বছর তেইশ, কোনো বছর পঁচিশ, কোনো বছর সাতাইশ, আবার কোনো বছর ঊনত্রিশ তারিখের রাত লাইলাতুল কদর হয়।
কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে অনেক মনীষী রমজানের ২৭ তারিখের রাতকে লাইলাতুল কদর হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। সাহাবী হজরত উবাই ইবনে কাব (রা) জোর দিয়ে বলতেন, রমজানের সাতাশতম রাতই কদরের রাত। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন ২৭ রমজানের রাতটিই কদরের রাত? জবাবে তিনি বলেন, এ রাতের যেসব আলামত মহানবী (সা.) আমাদের বলেছেন, আমরা সেগুলো সাতাশ তারিখে পেয়েছি।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন, কদরের রাতের যে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য, তার মূল উপাদান কুরআন মজিদ। শেষ নবীর (সা.) উম্মতের জন্য জীবনব্যবস্থার চূড়ান্ত নির্দেশনা হিসাবে কুরআন মাজিদ নাজিলের সঙ্গে রাতটি সম্পর্কিত হওয়ায় এ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য সাব্যস্ত হয়েছে। অতএব এ রাতের সুফল পুরো মাত্রায় পাওয়ার জন্য কুরআন মাজিদের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করাই আসল উপায়। কুরআন পাঠ ও অধ্যয়ন এবং কুরআনি বিধান ও নির্দেশনা অনুসরণেই নিহিত রয়েছে মানুষের প্রকৃত সাফল্য। লাইলাতুল কদরে সালাত, তেলাওয়াত ও জিকির তাসবিহের সঙ্গে যেমন অতীত জীবনের পাপরাশি মোচনের জন্য মহান প্রভুর কাছে আকুল আবেদন জানাতে হবে, তেমনি তার তাওফিক প্রার্থনা করতে হবে কুরআনকে জীবনের দিশারি হিসাবে মেনে চলার।
মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যদিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল ৫ এপ্রিল রবিবার সরকারি ছুটি থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নগরীর বান্দ রোড কেন্দ্রীয় হেমায়েতউদ্দীন ঈদগা ময়দানে বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান ক্বারীদের নিয়ে বরিশাল নগরীতে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল কুরআন একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।
আল কুরআন একাডেমি বরিশালের আয়োজক কমিটির আহবায়ক মো. আব্দুল হাই জানান, বরিশালে আন্তর্জাতিক এই ক্বিরাত মাহফিলে ক্বিরাত পরিবেশন করেন মরক্কোর ক্বারী ইলিয়াস আল মিহয়াউঈ, পাকিস্তানের ক্বারী হাম্মাদ আনওয়ার নাফীসী, ইরানের ক্বারী হামীদ রেজা আহমাদী ওয়াফা, মিশরের শাইখ ইয়াসির শারক্বাউঈ এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত ক্বারী শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী। আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংগঠন ‘ইক্বরা’র আমন্ত্রণে এসব বিদেশি ক্বারী বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন- আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
বক্তব্য রাখেন বরিশাল আল কুরআন একাডেমির প্রধান উপদেষ্টা মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলতাফ উদ্দিন আহমেদ।
আল কুরআন একাডেমি বরিশালের সভাপতি ও বিএম কলেজ ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসাইন ও প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুর রব জানিয়েছেন- আল-কুরআনের মোহময় সুরে প্রকম্পিত হয়েছে বরিশালের ময়দান।
ক্বিরাত মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তৈয়বুর রহমান আজাদ জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে ইসলামী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলো ঢাকার সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী ও হ্যাভেন টিউন নাশিদ ব্যান্ড, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংসদ, হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী ও সূচনা সাংস্কৃতিক সংসদ।
মাহফিলে মহিলাদের জন্য ছিলো আলাদা প্যান্ডেল। বিশাল এলইডি ডিসপ্লেতে তিলাওয়াত শোনার সুযোগ পেয়েছেন তারা।
মঞ্চের ব্রাকগ্রান্ড ও মাঠের দুই প্রান্তে বিশাল ডিসপ্লেবোর্ডের মাধ্যমে বিদেশি ক্বারীদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন আগত কুরআন প্রেমী হাজার হাজার দর্শক।
বর্ণিল আলোর ঝালকানি আর কুরআনের মোহনীয় সুর একাকার হয়ে তৈরি করে এক নৈসর্গিক পরিবেশ। যা বরিশালবাসী মনে রাখবেন অনেক দিন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক মো. নিজামুল করিমকে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিএ (সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ওই কর্মকর্তাকে নিজ বেতন ও বেতনক্রমে প্রেষণে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, তিনি নিজ বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন ভাতা নেবেন এবং তিনি পদ সংশ্লিষ্ট ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিনা ভাড়ায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করলে তিনি কোনো বাড়ি ভাড়া ভাতা নিতে পারবেন না। সরকারি বাসায় বসবাস করলে বাড়িভাড়াসহ সব ধরনের সরকারি পাওনা নিজ দায়িত্বে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টখাতে জমা দেবেন।
তিনি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাধ্যতামূলক ভবিষ্য তহবিল, গোষ্ঠী বিমা ও অন্যান্য তহবিল চাঁদা দেবেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী তার লিভ সেলারি ও পেনশনের চাঁদা দেবেন। সরকারের প্রচলিত ও প্রণীতব্য বিধি বিধান ও আদেশ অনুসারে তার চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
হাওর অঞ্চলের প্রত্যেকটি সড়ক উড়াল সড়ক হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হাওর অঞ্চলের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য উড়াল সড়ক করা হবে। হাওরে উড়াল সড়কের প্রকল্প ইতোমধ্যেই একনেকে অনুমোদন দিয়েছি।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরের পানি নিষ্কাশনের সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করেছি।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যেন গ্রামেই শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘আমার গ্রাম হবে আমার শহর’ এই স্লোগানে আমরা কাজ করছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, জমির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।
কৃষকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, করোনা মহামারির সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। একজন কৃষক এখন মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে হাওর উপজেলা মিঠামইনে পৌঁছান সরকারপ্রধান। সেখানে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন। এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে যান। সেখানে দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের পর তিনি বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন।