আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারতে মাছ রপ্তানী শুরু হয়েছে। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ১০ টি পিক-আপে করে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের মূল্যমানের ৬৫ টন মাছ রপ্তানী হয়েছে। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে আগরতলা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত এক মাসের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। হঠাৎ মাছ রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের রপ্তানীকারকসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারীরা। এদিকে আগরতলায় মাছের চাহিদা থাকায় সেদেশের ব্যবসায়ীরাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। পরে রাজ্য সরকারের অনুরোধে কেন্দ্রীয় সরকার এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে বন্দরের আমদানী-রপ্তানীকারকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। অবশেষে আবারও মাছ রপ্তানী শুরু হলো। কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে এসছে বন্দরে।
স্থল বন্দর ও মাছ রপ্তানীকারক সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যটি বাংলাদেশী মাছের উপর নির্ভরশীল। এ বন্দর দিয়ে প্রচুর মাছ রপ্তানী হয় ভারতে। ১ ফেব্রুয়ারী হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকার এক মাসের জন্য আখাউড়া স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মাছ আমদানী বন্ধ করে দেয়। এর ফলে গত ১, ২ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ৩ দিন এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানী বন্ধ থাকে। পরে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে স্বস্তি ফিরে আসে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে। সোমবার ৬৫ মেঃ টন মাছ ভারতে রপ্তানী হয়েছে। যার মূল্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। রপ্তানী হওয়ার মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, পাবদা, পাঙ্গাস, পুটি, বিগ্রেট, ও মৃগেল ইত্যাদি।
আখাউড়া স্থল বন্দরের মাছ রপ্তানীকারক মোঃ শাহনেওয়াজ মিয়া শানু বলেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে এ বন্দর দিয়ে ভারতে তিন দিন মাছ রপ্তানী বন্ধ ছিল। গতকাল ভারতের চিফ কমিশনারের কাছ থেকে মাছ রপ্তানীর অনুমতি পেয়েছি। আজ থেকে মাছ রপ্তানী শুরু করেছি। আজ প্রায় ২ কোটি টাকার মূল্যের ৬৫ মেঃ টন মাছ রপ্তানী হয়েছে। মাছ রপ্তানী না হলে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে দেশ বঞ্চিত হতো।
আখাউড়া স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল বলেন, রোববার কেন্দ্রীয় সরকার এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাছ রপ্তানী শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। আজ এক লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের মাছ রপ্তানী হয়েছে। এতে ডলারের সংকটকালে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে দু দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। আজকে প্রায় ৬৫ মেঃ টন মাছ ভারতে রপ্তানী হয়েছে। মাছ রপ্তানি শুরু হওয়ায় বন্দরে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকার একদিন পর আজ ২২ মে বৃহস্পতিবার ফের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় মাছ ভর্তি ৭টি পিক আগরতলায় প্রবেশ করে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আরো কয়েকটি মাছের পিক-আপ আগরতলায় যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এরআগে ইএক্সপি না পাওয়ায় বুধবার ভারতে মাছ রপ্তানি করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, দিল্লীর এনিম্যাল কোয়ারেন্টাইন থেকে আমাদেরকে মাছ রপ্তানির পারমিট দেয়। ওই পারমিট আসতে দেরি হওয়ায় গতকাল মাছ রপ্তানি বন্ধ ছিল। পারমিট পাওয়ায় আজ থেকে যথারীতি মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। রপ্তানির জন্য সকালে ৩৩ মেট্রিক টন মাছ বন্দরে এনেছেন ব্যবসায়ীরা। ৭টি গাড়ি মাছ নিয়ে আগরতলায় গেছে। বিকালে আরো ১০ মেট্রিক টন মাছ যাবে। প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ ডলারের ৩৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে, ভারত সরকার হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ছয়টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতমুখী রপ্তানি বাণিজ্য কমে গেছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারতে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। আর চলতি অর্থবছরে গেলো এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয় ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার পণ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ভোজ্য তেল, তুলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মেলামাইন সামগ্রী ও শুটকি।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, সকাল থেকে মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। ৭টি গাড়ি মাছ নিয়ে আগরতলায় গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে কঠোর জবাব পেতে হবে। তিনি বলেছেন, ইরান ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতার রক্তের বদলা নেওয়া দায়িত্ব মনে করে।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার ভোরে রাজধানী তেহরানে হামাস নেতার হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “অপরাধী এবং সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী রেজিম আমাদের স্বদেশে আমাদের প্রিয় মেহমানকে শহীদ করেছে এবং আমাদেরকে শোকাহত করেছে, তবে এর মধ্য দিয়ে নিজের জন্য কঠোর শাস্তির ভিত্তি তৈরি করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ইসমাইল হানিয়ার দীর্ঘ আত্মত্যাগ ও সংগ্রামী জীবনের প্রশংসা করেন সর্বোচ্চ নেতা।”
এদিকে, ইরানের জাতিসংঘ মিশনের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, “গুপ্তহত্যার জবাব হবে একটি বিশেষ অভিযান— শক্তিশালী। যেটির লক্ষ্য থাকবে হত্যাকারীদের মধ্যে গভীর অনুশোচনা তৈরি করা।”
এর আগে ইরানের শক্তিশালী বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
লেবাননে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানি বিপ্লবী গার্ডের হুমকির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, “জবাব অবশ্যই আসছে।”
লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাইছিল না ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে এই অঞ্চলকে শিকার বানাতেও দেবে না ইরান।”
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্সি বাহিনীকে সহায়তা করে আসছে ইরান। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেনসহ অন্যান্য দেশগুলোকে ইরান রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য মারণাস্ত্র দিয়ে থাকে। যদিও ইরান এ বিষয়টি প্রকাশ্যে কখনও স্বীকার করে না।
অপরদিকে দখলদার ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মূলত ইসরায়েলকে দিয়ে ইরানকে দমিয়ে রাখতে চায়। সূত্র: সিএনএন, পার্সটুডে
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের চংকিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে চারজন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে চীনের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলে দেখা দেওয়া বন্যার কারণে চংকিংয়ের চারটি অঞ্চলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যায় গত সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল তার মাত্রাও ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে।
চংকিংয়ের পার্শ্ববর্তী সিচুয়ান প্রদেশেও বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা ৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তবে সেখানে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিচুয়ান প্রদেশের ৮৫ হাজারের বেশি বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধার ও জরুরি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য অন্তত চারশ’টি দল এই এলাকায় কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেলওয়ের মালামালসহ মো. ইয়াছিন মিয়া (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ৩নং প্লাটফরম থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আজজ ২৩ জুলাই বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই রেলের মালামাল চুরি হচ্ছে এমন অভিযোগ পাচ্ছিলাম। বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫১ টি সিগন্যাল জাম্পার, দু’টি সিগন্যাল বক্স কভার, দু’টি সিগন্যাল কানেক্টিং ক্যাবল, তিনটি ক্যাবল খন্ড, ২০ ফুট লম্বা তিনটি ক্যাবলসহ মো. ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের নতুনবাজার এলাকার মৃত হাছু মিয়ার ছেলে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা মালামালের দাম আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘরের সামনে পানি। পানি উঠেছে চুলায়। পানিতে তলিয়ে গেছে বাথরুমের রিং। নোংরা পানির দুর্গন্ধে অসহনীয় পরিবেশ। পানি জমেছে চলাচলের রাস্তায়। এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চরনারায়ণপুর এলাকার সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায়। গত ১০/১২ দিন ধরে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতায় দু:ষহ জীবন যাপন করছে প্রকল্পের বাসিন্দারা। বিশেষ করে নারী-শিশুরা খুব কষ্ট করছে। বাথরুম, গোসল, রান্না-বান্নাসহ দৈনন্দিক কাজে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হত-দরিদ্র পরিবারগুলো। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়েছে আশ্রয়ণের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে সারা দেশের ন্যায় আখাউড়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক ভূমিতে আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে আখাউড়ায় সাড়ে ৬’শ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়ণপুর এলাকায় ৭৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৬০টি উপকারভোগী পরিবার বসবাস করছে। গত কয়েক দিন ধরে আখাউড়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের একটি পাইপ বন্ধ যাওয়ায় পানি সরতে পারছে না। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে হত-দরিদ্র পরিবারগুলো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় পানি জমে আছে। বাথরুমের রিং পানিতে তলিয়ে গেছে। ছোট শিশুরা ঘর বের হতে পারছে না। ময়লা নোংরা পানি মাড়িয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন বাসিন্দারা।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা কাজল মিয়ার স্ত্রী আবেদা বেগম বলেন, আমার এক মেয়ে মৃগি রোগী। তাকে নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তাই থাকি। ছোট একটা নাতি আছে। কখন পানিতে পরে যায় সব সময় এই আতঙ্কে থাকি।
পারুল বেগম নামে আরেক নারী বলেন, বাথরুমের ময়লার রিং পানিতে তলিয়ে গেছে। বাথরুম করতে খুব অসুবিধা হইতেছে। দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যায় না। তাছাড়া রান্নার চুলা পানিতে তলিয়ে গেছে। রান্না-বান্না করতে খুব অসুবিধা হয়।
সবিতা রানী বর্মন নামে আরেক নারী দুঃখ করে বলেন, আমরর কষ্টের কপাল কষ্টই করতে অইব। তিনি বলেন, ঘরের সামনে ময়লা নোংরা পানি। রাস্তায় পানি। ঘর থেকে বের হতে পারি না। এভাবে আর ভালো লাগে না। ময়লা নোংরা পানিতে হেঁেট পুলাপাইনের পায়ে ঘা হয়ে গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প বাসিন্দাদের সভাপতি নিলেশ বর্মন বলেন, প্রায় ১৫ দিন যাবত পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। চলাফেলা করা যায়। তিনি বলেন, প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের ১টি পাইপ বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য পানি সরে না। পাইপটি মেরামত করে দিলে পানি সরে যেত। বৃষ্টিবাদলার দিন এভাবে পানি জমে আমরা বসবাস করতে পারব না। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিব।