চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র লাইলাতুল কদর, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে ৭ এপ্রিল রবিবার এ বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরদিন ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন যথারীতি যাবতীয় কার্যক্রম চালু থাকবে। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পযর্ন্ত টানা ৫ দিন এ বন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ খায়রুল আলম বলেন, পবিত্র শবেবরাত, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ৬ দিন বন্ধ থাকলেও এ বন্দর দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক থাকবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি পাহাড়ি রাজ্যে পাথর, ছোট বড় মাছ, সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রফতানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
গতকাল ৮ জুলাই শনিবার বিকেলে একটি ট্রাকে করে বন্দর দিয়ে ১১ টন পেঁয়াজ এসেছে ভারত থেকে।
এর মাধ্যমে আবারও সচল হলো বন্দরের আমদানি বাণিজ্য।
বিডিএস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করেছে। ৯ জুলাই দুপুরে বন্দর থেকে পেঁয়াজগুলো খালাস করা হবে বলে জানা গেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল আমদানিকৃত পেঁয়াজের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, বিডিএস করপোরেশন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। প্রথম চালানে গত ১২ জুন ১০ টন পেঁয়াজ আসে। দ্বিতীয় চালানে প্রায় এক মাস পর আজ আরও ১১ টন পেঁয়াজ এসেছে। আমদানি পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাশুল পাবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্টের (নোম্যান্সল্যান্ড) শূন্য রেখায় সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডারদ্বয়।
এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা আইসিপি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার মো. জাবেদ সশীলের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন আখাউড়া চেকপোস্ট ৬০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম। এ ছাড়া দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডাররা কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম বলেন, সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করে আসছে বিজিবি ও বিএসএফ। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সুদৃঢ় হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আদর আলী (৩০) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৫ জুলাই সোমবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আদর আলী ওই গ্রামের নিদু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় কামরুল ইসলাম নামে আরো একজন গুরুতর আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত আদর আলীর স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আদর আলী দুপুরের দিকে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি সংলগ্ন একটি ওয়ার্কশপে যান। ওই সময় ওয়ার্কশপের লোকজন সেখানে তাদের মতো করে কাজ করছেন। ওয়ার্কশপের ভেতরে প্রবেশ করতেই হঠাৎ অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে তার পা লেগে যায়। ওয়ার্কশপের মালিক কামরুল ইসলাম দেখেতে পেয়ে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয় লোকজন দেখে তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই আদর আলী মারা যান।
গুরুতর আহত কমারুলকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এনু মিয়া বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন ঘটনাস্থলে মারা যান এবং একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১৯৫টন ভাঙা পাথর আমদানি করা হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগরতলা বন্দর হয়ে ৯টি ট্রাকে করে এসব পাথর আখাউড়া স্থলবন্দর আসে।
এর মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
পাথরগুলো আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কের নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড আমদানি করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ পাথরগুলো বন্দর থেকে ছাড়করণের কাজ করবে।
মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক জানান, বন্দর দিয়ে এক হাজার টন ভাঙা পাথর আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বাকি পাথরগুলো চলে আসবে। এরপর বন্দর থেকে পাথর ছাড়করণের কাজ শুরু হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, গত ১০ জুলাই ভারত থেকে ১০ টন আদা আমদানি হয়েছিল। এরপর আর কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় ৯টি ট্রাকে করে ১৯৫ টন ভাঙা পাথর এসেছে। যদিও এদিন ১০টি ট্রাকে করে ২২০ টন পাথর আসার কথা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শুল্ক ও মাশুল পরিশোধের পর পাথর খালাস করবে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই হাজার ৭০০ টন চুনোপাথর আমদানি করেছিল এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে হাফিজুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে আখাউড়া- কুমিল্লা রেল সেকশনের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে রেল সেতুর ওপর থেকে তার দ্বিখন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। নিহত হাফিজুল আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বনগজ গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেনে কাটা মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই পুলিশ। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন শিকদার জানান, ধারণা করা হচ্ছে সেতু পার হওয়ার সময় আখাউড়া-কুমিল্লা রেলপথে চলাচলকারী রাতের কোনো এক ট্রেনে কাটা পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।