চলারপথে রিপোর্ট :
ফুলে ফুলে সিক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া। নবাগত চেয়ারম্যান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ এবং মানবতার মাতা বিশ্বনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাবো। তিনি বলেন গ্রামকে শহরে পরিণতের মিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলে একযোগে কাজ করতে হবে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণ এবং ৮ম মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদকে একটি জবাবদিহি জেলা পরিষদ হিসেবে উপহার দিতে চাই। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ‘আমার গ্রাম, ‘আমার শহর।’ অর্থাৎ গ্রামের মানুষ সকল নাগরিক সুবিধা পাবে। এসময় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। বক্তব্যে রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান। উম্মোক্ত বক্তব্যে রাখেন নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন, নবীনগর পৌরসভার মেয়র এডঃ শিব শংকর দেবনাথ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ, রুমানুল ফেরদৌস, সনি আক্তার সূচী, সদস্য যথাক্রমে মোঃ নাছির উদ্দিন, পায়েল হোসেন মৃধা, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, সামুছল কিবরিয়া রেজা প্রমুখ। নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া, সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল আলম ভূইয়া, আখাউড়া নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাকসহ আমন্ত্রীত অতিথিবৃন্দ এবং জেলা পরিষদের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভা পূর্বে জেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান যোদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা জননেতা আল মামুন সরকারের রুহের মাগাফেরাত কামনা করে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন। এর পুর্বে জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মর্তা এবং পরিষদ সকল সদস্যগন পু®পস্তবক অর্পন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা।
আজ ৩১ আগস্ট শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পাঘাচং রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রেলওয়ে পুলিশও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার সময় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় ট্রেনটির সাথে অটোরিকসাটির ধাক্কা লাগে। এর আগেই অবস্থা বেগতিক দেখে অটোরিকসা চালক দ্রুত অটোরিকসা থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যায়। ফলে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ সময় অটোরিকসাটি ট্রেনের সামনের অংশে লেগে কিছুদূর নিয়ে যায়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ট্রেনটি থামিয়ে ট্রেনের গার্ড নেমে ইঞ্জিনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পর্যবেক্ষন করে পুনরায় ট্রেন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি।
গত মঙ্গলবার পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই দিনে এর সঙ্গে আরো দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে গত ৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ ও ৩০ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৭৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
এই স্বীকৃতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে গুণগত পরিবর্তন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ভোলার দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের জীবনমানে রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। খাবারেও রয়েছে নিজস্বতা। এরই অংশ হিসেবে এ জেলা দীর্ঘকাল ধরে পরিচিতি পেয়েছে মহিষের দুধের কাঁচা টক দই, যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি ভোলাবাসীর জন্য আনন্দের।
এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে।
জিআই-৫৫ নম্বরে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ভোলাবাসী এটি নিয়ে গর্বিত। এর মাধ্যমে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রথমত এই পণ্যটি ভোলার বলে চিহ্নিত হলো। দ্বিতীয়ত, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই দধি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দধি উৎপাদনে মানের উন্নতি হবে। কেননা জিআই স্বীকৃতি পণ্যের মান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।’
পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধিসহ তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকের ফি জমা না দেওয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের অফিসের ছাদে ৫০টি ফলজ ও ফুলের চারা রোপনের মাধ্যমে ছাদ বাগানের আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এর উদ্বোধন করেন। শক্তি ফাউন্ডেশনের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থার কর্ম এলাকা ৫৫ টি জেলায় ছাদ বাগান কর্মসূচির আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের অফিসের ছাদে বাগান করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভিন, শক্তিফাউন্ডেশনের সিনিয়র ডিরেক্টর ও হেড অব ট্রেনিং মোঃ নজরুল ইসলাম, জোনাল হেড মোঃ নাজমুল হক, রিজিওনাল হেড আল মামুন, এরিয়া সুপার ভাইজার মোঃ কামরুল হাসান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের যুব সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সেফার এক্সেস বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী (০৬-০৯ ডিসেম্বর ২০২৪) সেফার এক্সেস বিষয়ক কর্মশালা এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান ইফতেয়ার উদ্দিন রিফাতের সভাপতিত্বে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ”ইউনিট লেভেল অফিসার ইমরান হোসেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিট এর সাবেক যুব প্রধান সালাহ উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক যুব প্রধান ও প্রশিক্ষক ফয়সাল উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক যুব প্রধান ও প্রশিক্ষক শাহিদুল ইসলাম অপু, ইউনিটের উপ যুব প্রধান-১ ফাহিম মুনতাসির।
ইউনিটের প্রশিক্ষন বিভাগের প্রধান সাব্বির ভূইয়ার সঞ্চালনায় ৩দিনের সেফার এক্সেস কর্মশালা পরিচালনা করেন ফেসিলিটেটর মো: ফয়সাল আহমেদ ও সোনিয়া আক্তার।
ইউনিটের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মনির হোসেনের সার্বিক সম্মনয়ে ৩০ জন যুব সদস্য কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে ‘১৯৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭৫ এ জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ড পর্যন্ত প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মকে শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তিনি আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার খ্রীষ্ট্রিয়ান মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলাপরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ভাষা শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্যাপটিষ্ট মিশন ইনচার্জ ফাদার টাইটাস দাস গুপ্ত জয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা কর্মকার ও টমাস তুহীন দাস প্রমুখ মিশনের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।