চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কুখ্যাত ডাকাত শফিকুল ইসলাম (৩৫) কে ১টি সুইচ গিয়ার যুক্ত স্টীলের চায়না ধারালো চাকুসহ গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সরাইল থানা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম। এর আগে রবিবার রাত ১০টার দিকে সরাইল নাসিরনগর লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তি নামক এলাকায় আজম ২ নং ব্রীকস ফিল্ডের সামনে সড়কে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের আঃ রশিদ মিয়া ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরাইল থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এসআই (নিঃ) নুরুন নবী, এএসআই (নিঃ) দিলিপ কুমার নাথ সঙ্গীয় ফোর্সসহ রবিবার রাত ১০টার দিকে সরাইল নাসিরনগর লাখাই আঞ্জলিক সড়কের ধরন্তী নামক এলাকায় আজম ২ নং ব্রীকস ফিল্ডের সামনে রাস্তার উপর হতে কুখ্যাত ডাকাত শফিকুল ইসলামকে লুঙ্গীর কোমরের ডান পার্শ্বে খোচার মধ্যে ১টি সুইচ গিয়ার যুক্ত স্টীলের চায়না ধারালো চাকু, যাহা খোলা অবস্থায় লম্বা ৯ ইঞ্চিসহ আটক করা হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম জানান, চাকুসহ কখ্যাত ডাকাত শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গত ৫ তারিখ ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, পুলিশ আক্রান্ত মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে গরু চোরের বল্লমাঘাতে মোহাম্মদ পারভেজ (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের চর-কাকরিয়া গ্রামের মেঘনা নদীর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ পারভেজের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। নিহত পারভেজ অরুয়াইল ইউনিয়নের চর-কাকরিয়া গ্রামের গ্রামের উবায়দুল্লার ছেলে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, সোমবার রাতে চোরের দল পারভেজের বড় ভাই হুমায়ূন কবিরের গোয়ালঘর থেকে ২টি গরু চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের চোখে পড়ে। পরে কয়েকজন জেলে হুমায়ূন কবিরের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানালে হুমায়ূন কবির তার ছোট ভাই পারভেজকে নিয়ে গরু চোরদের ধরতে মেঘনা নদীর পাড়ে যায়।
এ সময় চোরেরা অন্ধকারের মধ্যে পারভেজকে বল্লমাঘাত করে গরু দুটো ফেলে নৌকায় করে পালিয়ে যায়।
পরে গ্রামবাসী পারভেজকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে পারভেজ মারা যায়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, গরু চুরি করার সময় চোরদের বল্লমাঘাতে পারভেজ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ভূমি দখলে চলছে জালজালিয়াতির তেলেসমতি। ৩৫ বছর আগে পিতার বিক্রি করে যাওয়া বিভিন্ন দাগে ০.৫২০ একর জায়গা তথ্য গোপন করে নামজারি ও একটি সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে দেন হারু মিয়া গংরা। ওই সিন্ডিকেটের সদস্য মূল তথ্য গোপন করে নাম খারিজ করেন। ক্রেতার উত্তরাধিকারীদের আপত্তির শুনানী শেষে গত ১০.০৯.২৩ খ্রি. তারিখে ১০৩১/২৩-২৪ নম্বর নামজারি মোকদ্দমা মূলে সৃজিত ১০৭৩ নম্বর খতিয়ান বাতিল ও নামঞ্জুর করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা। ব্যর্থ হয়ে অভিযোগকারী হযরত আলী গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা ও উচ্চ আদালতে রীট করে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে।
হারু মিয়া উপজেলার গোগদ গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে। দলিল, দখল, কাগজপত্র ও এসি ল্যান্ড অফিস সূত্র জানায়, গোগদ গ্রামের হারু মিয়ার পিতা আরজু মিয়ার কাছ থেকে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ৩৩৮২ নম্বর ও ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ২১৮৩ নম্বর সাফকাবলা দলিল মূলে বিভিন্ন দাগের মোট ০.৫২০ একর জায়গা ক্রয় করেন একই গ্রামের কালু মিয়া। ক্রেতা বিক্রেতা দু’জনই মারা গেছেন। জীবিত থাকাবস্থায় জায়গার নাম খারিজ করেননি কালু মিয়া। তাই বিএস রেকর্ডে আরজু মিয়ার নাম থেকে যায়। ভূমি দস্যু একটি চক্রের সহায়তায় সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আরজু মিয়ার ছেলে হারু মিয়াসহ ওয়ারিশগণ তথ্য গোপন করে ১৯৫৬/১৫-১৬ নম্বর মোকদ্দমা ওয়ারিশসূত্রে নামজারি করে ৮১৪ নম্বর খতিয়ান সৃজন করেন। ৮১৪ নম্বর খতিয়ানের মালিকগণ তড়িগড়ি করে গত ২০.১২.২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখের ১৯২১০ নম্বর দলিলমূলে নামজারি মোকাদ্দমা নম্বর ১০৩১/২৩-২৪ এর আবেদনকারীদের কাছে জায়গা হস্তান্তর করেন। বিএস রেকর্ডিয় মালিক কর্তৃক প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে বিক্রয় পূর্বক স্বত্ব ত্যাগকৃত ভূমির ওয়ারিশ কর্তৃক পুনরায় নামজারি করার আইনগত কোন সুযোগ নেই। তাই কালা মিয়ার ছেলে হযরত আলীসহ অন্যান্য ওয়ারিশগণ গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ খ্রি. তারিখে নামজরি মোকাদ্দমা ১০৩১/২৩-২৪ এর আবেদন নম্বর ৫২৯৭৩০ এর বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করে অত্র মোকাদ্দমাটি পুনরুজ্জীবিত করেন। উভয় পক্ষের অংশগ্রহণে দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ খ্রি. তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানার আদালতে আদেশ হয়, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৫০ ধারার বিধানমতে প্রথম পক্ষের/ আপত্তিকারীর আপত্তি মঞ্জুর করা হলো এবং ফাতেমা বেগম গং এর নামীয় ১৯৫৬/১৫-১৬ নম্বর নামজারি ও জমাভাগ মামলামূলে সৃজিত ৮১৪ নম্বর খারিজ খতিয়ান বাতিল করে ওই খারিজ খতিয়ানের ভূমি পূর্বের মূল বি.এস খতিয়ান সমূহে সংযোগ করে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ প্রদান করা হলো। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) এ অফিসকে আগামী তিন দিনের মধ্যে রেকর্ড সংশোধন করার জন্য বলা হলো। এই আদেশের পর আলফাজ আলী ও হযরত আলী গংরা ৩৫ বছর আগে পিতা কালু মিয়ার ক্রয়কৃত জায়গার নামজারির আবেদন (নামজারি মোকদ্দমা নম্বর-৪০৭৮/২০২৩-২৪) করেন। শুনানীর জন্য তারিখ ধার্য হয়। নোটিশ জারি হয়। বাদীরা শুনানীর জন্য হাজির হন। বিবাদী অনুপস্থিত। কোন আপত্তি দাখিল হয়নি। বিধি মোতাবেক সকল পক্রিয়া সম্পন্ন ও ডিসিআর-এর মাধ্যমে সরকারী রাজস্ব জমা দেয়ার পর আলফাজ আলী গংদের নামে গত ১৬.১১.২০২৩ খ্রি. তারিখে ১০৯৭ নম্বর খতিয়ান সৃজন হয়। হযরত আলী বলেন, সাফকাবলা দলিলমূলে বাবার ক্রয়কৃত জায়গায় বাড়িঘর নির্মাণ করে ৩৫ বছর ধরে নির্বিঘ্নে বসবাস করছি। তথ্য গোপনের মাধ্যমে নামজারি করে মালিকানা দাবী করছেন হারু ফাতেমা গংরা। আপত্তি দেয়ার পর শুনানী শেষে তাদের সৃজিত খতিয়ান বাতিল হয়ে গেছে। আমাদের নামজারি আবেদন গৃহিত হয়েছে ও অনুমোদিত হয়ে ১০৯৭ খতিয়ান সৃজন হয়েছে। ফাঁকে ঘায়েল করতে আমাদের বিরুদ্ধে মারধর, নারী নির্যাতন ও ধানকাটার অভিযোগে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট মামলা করছেন। মামলা করার পর আর আদালতে যান না। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণ হচ্ছে। নারাজ দিচ্ছেন। খারিজ হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ সৈয়দ সারোয়ার নামের এক ব্যক্তি আদেশের প্রায় ২ মাস পর আর নামজারির প্রায় ৩১ দিন পর উচ্চ আদালতে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে একটি রীট পিটিশন করেছেন। গোপনে আমাদেরকে পক্ষ করে আবারও তথ্য গোপন করে গত ২৭.১২.২৩ খ্রি. তারিখে ওই জায়গার উপর ষ্ট্যাটে-টাসকো আদেশ এনেছেন। এ গুলো করছেন শুধু আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য।
এ বিষয়ে জানতে হারু মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দিলে বলেন, ঝামেলা এখনো শেষ হয়নি। আমি এখন ব্যস্ত আছি। কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব। সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বলেন, দিন তারিখ ধার্য করেছি। তাদেরকে নোটিশ করেছি। হাজির হয়ে সময়ও প্রার্থনা করেছেন। সময়ও দিয়েছি। আদেশের এক মাস পর মিথ্যা তথ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে রীট করেছেন। আমি ষ্টে-টাসকোর অর্ডার পেয়েছি। দেখেছি।
চলারপথে রিপোট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন, উপজেলা সদরের নিজ সরাইল গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া (২৯), একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে আমজাদ (১৮) ও জিলুকদারপাড়ার মুজিব মিয়ার ছেলে শরিফ (১৫)।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে তেরকান্দা গ্রামের বরকত আলীর বাড়িতে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীরে রডের কাজ করছিলেন এই তিন নির্মাণ শ্রমিক। এ সময় বিদ্যুতের তারে রড লাগলে তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।