চলারপথে রিপোর্ট :
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর গ্রামের আপন দুই ভাইসহ চারজন নিহত হয়েছে।
গত বুধবার (ঈদের দিন) বাংলাদেশের সময় দুপুর ১২টায় (মালয়েশিয়ার সময় সকাল সাড়ে ১০টায়) এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, এক্তারপুর গ্রামের করিম সর্দারের ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ (২৫) ও হাফেজ মোঃ হুমায়ূন কবির ওরফে সোহেল (২৭), একই এলাকার মোঃ শাহাব উদ্দিনে ছেলে মোঃ সোহেল (২৫) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আশকর আলী- (৪০)।
নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করে গাড়ি নিয়ে মালয়েশিয়ার ক্যামেরুন থেকে কুয়ালালামপুরে যাওয়ার পথে তাদের গাড়িটির চাক্কা ফেটে গেলে গাড়িটি ধীর গতিতে চলতে থাকে। এমন সময় পিছনে থাকা মালবাহী একপি লড়ি গাড়িটিকে ধাক্কা দিলে সাথে সাথেই গাড়িটি দুমড়ে-মুচরে গিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এদিকে সন্তানদের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের চলছে শোকের মাতম। পরিবার গুলোতে ঈদের আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত হয়। আহাজারি করে সরকারের কাছে নিজের সন্তানদের লাশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ অলিউল্লাহ বলেন, মোঃ আবদুল্লাহ, হাফেজ মোঃ হুমায়ূন ওরফে সোহেল এবং মোঃ সোহেল আমার ভাতিজা, এবং আশকর আলী আমার গ্রামের জামাই হয়। ঈদের দিন নামাজ শেষে ঘুরতে গিয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তারা মারা গেছেন। আমরা এই শোক সইতে পারছিনা। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, পরিবারের কাছে যেন লাশ গুলা ফিরিয়ে দেয়াহয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি। লাশ যখন দেশে আসবে থানার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি আজ ২৮ মে জাপানের নাগাসাকি শহরের পিস পার্কে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত একটি শান্তি স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক একটি পারমাণবিক বোমামুক্ত, শান্তিপূর্ণ বিশ্বের অন্বেষণে জাপানের জনগণকে ও বিশ্বে ‘শান্তির সংস্কৃতি’র বার্তা পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। তৎপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করেন।
স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নাগাসাকির মেয়রসহ এ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ও জাপানের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
স্থপতি অনিন্দ্য পন্ডিত কর্তৃক নকশাকৃত ৩ মিটার উচু এ স্মৃতিস্তম্ভটি কালো গ্রানাইট ও সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিওর সহযোগিতায় স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানের আগে ১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার সময়ের সাথে মিলিয়ে বেলা ১১ টা ২ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি শান্তি-স্মৃতি (পিস মেমোরিয়াল) জাদুঘর পরিদর্শন করেন ও সেখানে দর্শনার্থী বই-এ মন্তব্য লেখেন।
দুপুরে নাগাসাকির মেয়র সুজুকি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। মধ্যাহ্নভোজের বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতার জন্য মেয়র সুজুকিকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হামিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন শাহ আসিফ রহমান, দূতালয় প্রধান শেখ ফরিদ এবং দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মোঃ ইমরানুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা প্রতিদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছেন। এই সংখ্যাটি ইউরোপ আমেরিকাতে উল্লেখ্য করার মতো। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে লন্ডনে।
জানা যায়, মুসলিমদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পিসি পল। তিনি ব্রিটিশ পুলিশের কর্মকর্তা। এ সময় মুসলিমদের কর্মকাণ্ড তাকে সন্তুষ্ট করেছে। অবশেষে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই, আল্লাহ এক, মুহাম্মদ (সা.) তার রাসুল ও প্রিয় বান্দা। আমি এখানে শুধু পুলিশ কর্মকর্তা নই। কারও ভাই, কারও চাচা, কারও ছেলে আবার কারও ভাতিজা এবং একজন বন্ধু। ইসলাম গ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত। ‘আমি ইসলামকে বেছে নিইনি। আল্লাহ আমাকে মনোনীত করেছেন।’
পল বলেন, সবাই আমাকে বলতেন যে আমি একদিন মুসলিম হবো। কিন্তু কেউ আমাকে জোর করেনি। পরে আমি কোরআন পড়া শুরু করি। এরপর আমি ইসলামের দিকে মনোনিবেশ করি। এটি মনোমুগ্ধকর ও শান্তির ধর্ম।
লন্ডনের এই পুলিশ কর্মকর্তা ১৬ বছর ধরে এজওয়্যার রোডে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছেন।
পল বলেন, আমি এখানে ১৬ বছর ধরে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি। গত জানুয়ারিতে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি।
তিনি বলেন, আমার কাজ হলো সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। আমি তাদের সবাইকে চিনি। শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সবাইকে। এটা আসলে একটা বড় পরিবারের মতো।
ব্রিটিশ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ৫ মাসে আমি দুইবার কোরআন পড়েছি। আমি কোনো নামাজে অনুপস্থিত ছিলাম না।
লোকেরা জিজ্ঞাসা করে- কেন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম? আমার উত্তর হলো- আমি ইসলাম ধর্মকে বেছে নিইনি। আল্লাহ আমাকে বেছে নিয়েছেন। সূত্র: টিআরটি
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার রেইনবো উপসাগরের গোল্ড কোস্ট সৈকতে পোষা অজগর নিয়ে সার্ফিং করায় এক ব্যক্তিকে ১ হাজার ৪৯৫ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। দেশটির বন্য প্রাণী কর্তৃপক্ষ এই জরিমানা করেছে। সূত্র : বিবিসি
ওই ব্যক্তির নাম হিগর ফিউজা। কুইন্সল্যান্ডের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগ তদন্ত শেষে চলতি সপ্তাহে তাকে এই জরিমানা করেছে।
এই মাসের শুরুতে ফিউজা তার পোষা ‘শিবা’ নামের ব্রেডলি কার্পেট পাইথন প্রজাতির সাপের সঙ্গে সার্ফিং করেন। তাদের সেই সার্ফিং করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
বন্য প্রাণী কর্মকর্তা জোনাথন ম্যাকডোনাল্ড এক বিবৃতিতে বলেন, জনসমক্ষে নিয়ে যাওয়ায় অজগরটি আতঙ্কিত হয়ে মানুষের ক্ষতি করতে পারত। এ ছাড়া এ ধরনের ঘটনা জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে।
তবে ফিউজা রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, তিনি এর আগেও তার পোষা অজগরের সঙ্গে অন্তত ১০ বার সার্ফ করেছেন। অজগরটি পানিতে সাঁতার কাটতে ও সার্ফিং করতে পছন্দ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার অবশেষে খোঁজ মিলেছে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয়া হয় বিজয়নগর থানা পুলিশকে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় থেকে উদ্ধার করেছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে আনতে নারাগঞ্জের কাঁচপুরে গিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরো বলেন, প্রীতি খন্দকারকে দুইজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল এরপর তার কিছু মনে নেই বলে জানায়। তবে সে নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর পর থেকে প্রীতির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দাবী করেন প্রীতি খন্দকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্ত্রীকে গুম করেছে। এ বিষয়ে তিনি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পাশাপাশি থানায় একটি জিডি করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে একটি তিনতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ে নয় জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের শহর মুলতানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি বহুতল পুরানো ভবন ধসে একজন শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
জেলাটির জরুরি কর্মকর্তা ডাঃ কলিমুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ে এবং ১০ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়ে।
’ ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ আশেপাশের বাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও তাদের তিন মেয়েসহ একই পরিবারের সাত সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভবনটি ধসে পরার পর জরুরি কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করেন। রেসকিউ ১১২২-এর আটটি গাড়ি এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
নয়টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ভবন ধসে পড়া সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানহীন উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।
সাধারনত খরচ কমাতে নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলো উপেক্ষা করা হয় সেখানে। ২০২০ সালের জুনে দেশটির বৃহত্তম শহর করাচিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ধসে ২২ জন নিহত হয়েছিল। সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া, সামা টিভি